শাকিব খান : যেমন হতে পারত
শাকিব খান বর্তমান সময়ের ঢালিউডে অবধারিত শীর্ষ নায়ক। ‘শীর্ষ নায়ক’ কথাটা যখন বলছি মাথায় কাজ করছে কি হিসেবে শীর্ষ। শাকিব খান নামটির ওজন কি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছানোর জন্য একটা আদর্শ উদাহরণ তৈরি করা কোনো তারকা নাকি সে সম্ভাবনা তার তৈরি হয়নি। খেয়াল করলে দেখবেন শাকিব খান নামের সাথে একুশ শতকের বর্তমান প্রজন্ম ট্রল, সার্কাজম, মিম এসব ভার্চুয়াল ফানকে যুক্ত করেছে। এর পেছনে কারণও আছে। শাকিব খান ১৯৯৯ সালে ক্যারিয়ার শুরু করে এখন ২০ বছর পার করছে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। দীর্ঘ এ ক্যারিয়ারে শাকিব নিজেকে একটা প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারেনি নিজেকে এবং তার জন্য নিজেরই দায় আছে শাকিবের। কেমন হতে পারত বা নিজেকে কিভাবে সাজাতে পারত শাকিব তারই একটা বিশ্লেষণ চলবে এ লেখায়। তো চলুন শুরু করা যাক।
ফ্যাক্ট – ১ : ন্যাচারালিটি রাখা
————————————-
শাকিব খান ১৯৯৯ সালে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু করে। তখন দেশের বাণিজ্যিক ছবিতে অশ্লীলতা প্রায় ঢুকে গেছে। সময়টা টাফ ছিল। শাকিব নিজেও সেই অশ্লীল ট্র্যাপে ঢুকে গিয়েছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অশ্লীল ছবির সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী ছিল যে বাধ্য করা হয়েছিল অনেককেই সেসব ছবি করতে। শাকিব অপু বিশ্বাসের সাথে জুটি বাঁধার আগ পর্যন্ত ন্যাচারাল অভিনয় করত। তার প্রথমদিকের বেশকিছু ছবিতে চমৎকার ন্যাচারাল অভিনয় করত। এক্সট্রা হিরোইজম বিষয়টা ছিল না। একটা সময় ঐ অভিনয়টা আর থাকেনি। যার জন্য প্রথমদিকে তাকে যারা পছন্দ করতে শুরু করেছিল পরে আর সেটা থাকেনি। অভিনয় ভালোবেসে যারা ছবি দেখে তাদের কাছে শাকিব আর তখন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
ফ্যাক্ট – ২ : ওভার অ্যাকটিং বাদ দেয়া
————————————————
শাকিব একটা সময় ন্যাচারাল অভিনয় বাদ দিয়ে ওভার অ্যাকটিং শুরু করেছিল। ‘আমি অমুক আমি তমুক’ জাতীয় সংলাপ দিয়ে ভরা টিপিক্যাল হিরোইজমের ছবি করতে করতে সচেতন দর্শকের বিরক্তির কারণ হয়েছিল। অপু বিশ্বাসের সাথে লম্বা জুটির সময় এ সমস্যাটা শুরু হয়েছিল। ‘কিং খান, মাই নেম ইজ খান’ এরকম আরো ছবিতে শাকিবের অতি অভিনয়ের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। পরিচালকরাও বারবার তাকে দিয়ে সেটাই করাত আর সেও করত। সচেতন থেকে কাজ করলে এটা হত না। আরো একটা বড় কারণ হচ্ছে যখন শাকিব মান্না, আমিন খান, রিয়াজ, ফেরদৌস-দের সাথে দ্বিতীয় নায়কের কাজ করত ছবিতে তখন কিন্তু নিজেকে তাদের থেকে বের করে আনার জন্য নিজের সেরা অভিনয়টা দেয়ার চেষ্টা করত। একটা সময় এ প্র্যাকটিসটা শাকিব বন্ধ করে দেয় কারণ ততদিনে একক নায়কের একটা রাজত্ব তৈরি হয়ে যায় তার এবং সেটাকে যেমন খুশি তেমনভাবে কাজে লাগাতে গিয়ে ওভার অ্যাকটিং দখল করে নেয় ন্যাচারাল অভিনয়ের জায়গাটিতে।
ফ্যাক্ট – ৩ : সিনিয়রদের থেকে শেখা
———————————————
সিনিয়রদের কাছ থেকে ক্যারিয়ারের সমৃদ্ধির শিক্ষাটা শাকিব শিখতে পারেনি। শুধু কাজ করে যাওয়াটাই তার কাছে ফিল্ম মনে হয়েছে। রাজ্জাক, আলমগীর, জসিম, ইলিয়াস কাঞ্চন, সালমান শাহ, মান্না, রিয়াজ তাঁদের মতো আদর্শ নায়কের কাছ থেকে শাকিব ক্যারিয়ারকে মানসম্মত করার যে প্রয়োজনীয়তা তা শেখেনি। তাঁদের অনেকের সাথে কাজ করেছে এক ছবিতে বা তাঁদের প্রতি তার সম্মান আছে সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু তাঁরা যেভাবে বাণিজ্যিক ছবিতে সাহিত্য, চরিত্রনির্ভর, গল্পনির্ভর, অভিনয়শক্তি দেখানো কালজয়ী ছবি এসব শিক্ষা নিতে পারেনি। নয়তো ২০ বছরে ২০০+ ছবিতে তার মনে রাখার মতো ছবির সংখ্যাই থাকত অনেক।
ফ্যাক্ট – ৪ : মাস্টারপিস ছবি করা
——————————————
২০ বছরের ক্যারিয়ারে শাকিবের একটা মাস্টারপিস ছবিও নেই এখন পর্যন্ত। এটা অনেক বড় শূন্যস্থান তার জন্য। তার ফ্যানবেজের মধ্যে না বুঝে ভুল জিনিস প্রচারের প্রবণতা আছে। তারা ‘সুভা, ডাক্তারবাড়ি, সত্তা’ এগুলোকে মাস্টারপিস ছবি প্রচার করে। এগুলো ভালো বা মানসম্মত ছবি কিন্তু মাস্টারপিস নয়। মাস্টারপিস অন্য জিনিস। যদি ৪/৫ টা মাস্টারপিসও থাকত তাহলে তাকে মূল্যায়নের জন্য একটা মানদণ্ড থাকত। নামকরা নির্মাতাদের সাথে বেশি করে কাজ করলে নামকরা ছবিও থাকত বেশি পরিমাণে।
ফ্যাক্ট – ৫ : নায়ক থেকে অভিনেতা হওয়া
—————————————————-
শাকিব সবসময় নায়কই থাকতে চেয়েছে। একাধিক ইন্টারভিউতে নায়ক হওয়াটাই তার কাছে বড় জানা গেছে। অথচ সব ইন্ডাস্ট্রিতেই একটা সময় ক্যারিয়ারের বয়স বাড়ার সাথে সাথে নায়করা স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করে। বলিউডের অক্ষয় কুমার কিংবা টলিউডের প্রসেনজিৎ-রা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নায়ক থেকে অভিনেতা হবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। শাকিব সেখানে নায়ক হয়েই পার করতে চায়। এই ইমম্যাচিউরিটি তাকে পিছিয়ে দিয়েছে। যদি অভিনেতা হয়ে দর্শকের ডিমান্ড বুঝে কাজ করত তাহলে এতদিনে গর্বের জায়গায় পৌঁছে যেত।
ফ্যাক্ট – ৬ : শাবনূরের সাথে জুটি বড় করা
—————————————————–
শাবনূর ছিল শাকিব খানের জন্য আশীর্বাদ। শাবনূরের সাথে জুটি গড়ার পর দর্শকের কাছে শাকিবের একটা দারুণ জনপ্রিয়তা তৈরি হয়। সে জনপ্রিয়তায় চমৎকার কিছু ছবি হতে থাকে। বিশেষ করে ‘আমার স্বপ্ন তুমি’ ছবিটি ছিল শাকিবের জন্য টার্নিং পয়েন্ট। এ ছবির স্যাক্রিফাইসিং ক্যারেক্টারে শাকিবের অসাধারণ অভিনয় দর্শক ব্যাপকভাবে গ্রহণ করে। কিন্তু একসময় অপু বিশ্বাসের সাথে জুটি নতুন করে জনপ্রিয়তা পেলে শাকিব নিজেই প্রযোজকদের বলে দিত অপুকে নেয়ার জন্য। শাবনূর চুক্তিবদ্ধ হবার পরেও তাকে বাদ দিয়ে অপুকে নেয়া হয়েছিল কিছু ছবিতে। শাবনূর এজন্য অভিমানও করেছিল শাকিবের প্রতি। শাকিব এটা বোঝেনি যে শাবনূরের সাথে জুটিটা যদি অপু বিশ্বাসের মতো লম্বা হত তাহলে তার জন্য আরো বেশি পজেটিভ হত সেটা। ভালো মানের ছবি বাড়ত। শাবনূরের মতো অসাধারণ অভিনেত্রীর সাথে অভিনয়টাও তাকে দেখেশুনে করতে হত এবং নিজের অভিনয়ের সক্ষমতা বাড়ত।
ফ্যাক্ট – ৭ : অপু বিশ্বাসের সাথে ছবি কমানো
——————————————————–
অপু বিশ্বাসের সাথে প্রায় ৭০ টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছে শাকিব। এ জুটির জনপ্রিয়তা একসময় বেড়ে যায়। অনেক হিট ছবি আছে তাদের। কিন্তু ছবির নাম, গল্প, চরিত্র প্রায় একইরকম ছিল ঘুরেফিরে। প্রধান সমস্যা ওভার অ্যাকটিং বেড়ে গিয়েছিল শাকিবের। জাস্ট জনপ্রিয়তা মেইনটেইন করে টাকা কামাই করা ছাড়া তখন শাকিবের মাথায় আর কিছু ছিল না নয়তো শাবনূরের সাথেই জুটি লম্বা হত। এমনকি অপুর সাথে না হয়ে সাহারার সাথেই যদি জুটি লম্বা হত তাহলেও বৈচিত্র্য থাকত। সাহারা অপুর থেকে বেটার অভিনয় করত এবং শাকিব-সাহারার ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’ ছবিটি অপুর সাথের যে কোনো ছবির থেকে বেশি জনপ্রিয় ও ব্লকবাস্টার ছিল। কো-আর্টিস্ট বাছাই করতে পারেনি ঠিকমতো। শাকিব এ সমীকরণগুলো মেলাতে ভুল করেছিল।
ফ্যাক্ট – ৮ : সহনশীল ফ্যানবেজ তৈরি
———————————————–
ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত শাকিব খানের বড় ব্যর্থতা শিষ্টাচার বহির্ভূত অসহনশীল ফ্যানবেজ তৈরি করা। তার ফ্যানদের সমালোচনা নিতে না পারার নিম্ন মানসিকতা এবং অতিরিক্ত ভুল প্রচারণা শাকিবের সম্মান নষ্ট করেছে বিভিন্নভাবে। তার ফ্যানবেজ ছবি মুক্তির পর বারবার দেখে ছবি হিট করে সেটা তার জন্য পজেটিভ। ফ্যানরা এ কাজ করবেই এবং তা ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু সমসাময়িক অন্য নায়কদের ছবির নেগেটিভ প্রচারণা, শাকিবকে সর্বকালের সেরা নায়ক বানানো, মাত্রাতিরিক্ত ফেইক আইডি খুলে সমালোচকদের বিরক্ত করা এ ধরণের নানা বিরক্তিকর কাজে তারা ব্যস্ত থাকে। শাকিব তার ফ্যানবেজকে লক্ষ করে কখনোই বার্তা দেয়নি, তাদেরকে সহনশীল থাকার পরামর্শও দিতে দেখা যায়নি। যদি দিত তাহলে চিত্রটা ভালো হতে পারত।
ফ্যাক্ট – ৯ : ব্যক্তিত্ব শক্তিশালী করা
——————————————-
শাকিব খানের আজ পর্যন্ত যত ট্রল, সার্কাজম, মিম হয়েছে তার বেশিরভাগ কারণই ছিল নিজের দুর্বল ব্যক্তিত্বের জন্য। বেফাঁস মন্তব্য করে প্রায়ই হাসির পাত্র হয়েছে। ইন্টারভিউ দিতে গেলে তার বডি ল্যাংগুয়েজে অহংকার ফুটে ওঠে, কথায় কথায় নিজেকে সুপারস্টার দাবি করে, আমি এই করেছি ঐ করেছি জাতীয় কথা বলে, প্রশ্ন ঠিকমতো খেয়াল না করে অন্য উত্তর দেয়। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে কথা বলার জন্য স্ট্রং পার্সোনালিটি তৈরি করতে পারেনি। এ সমস্যাটার জন্য তাকে দর্শকের বিশাল একটা অংশই পছন্দ করে না।
ফ্যাক্ট – ১০ : সুযোগসন্ধানীদের ত্যাগ করা
—————————————————-
শাকিব খানের ক্যারিয়ারে মান্নার মৃত্যু পরবর্তী আমিন খান, রিয়াজ, ফেরদৌস-দের অনিয়মিত হবার ফলে নিজের একক রাজত্ব তৈরি হয়। একটা সময় ডিজিটাল ছবির প্রজন্ম চলে আসে। এর মধ্যে শাকিবকে পুরনো ফর্মুলায় সস্তা হিরোইজমের ছবিতে আবারো দেখা যায়।
সুযোগসন্ধানী প্রযোজক, পরিচালকরা তাকে ব্যবহার করতে থাকে এবং শাকিবও সেসব নিয়মিত গ্রহণ করতে থাকে। যেখানে তার অনেক জুনিয়র নায়করা তার থেকে বেটার কাজ করে যাচ্ছে সে করছে মান্ধাতা আমলের কাজ। সময়ের সাথে যারা আপগ্রেড হতে পারেনি তাদের কাজই বারবার করতে থাকে। এভাবেও শাকিব হাসির পাত্র হয়েছে দর্শকের কাছে। সুযোগসন্ধানীদের ত্যাগ করাটা তার জন্য জরুরি ছিল। বারবার কথা দিয়েও একই ভুল করতে দেখা গেছে।
ফ্যাক্ট – ১১ : সর্বমহলের তারকা হওয়া
————————————————
শাকিব সর্বমহলের তারকা হতে পারেনি। নিজের ফ্যানবেজের কাছে বিগ হিরো থাকতে চেয়েছে সবসময়। গ্রাম থেকে শহর বা ফুটপাত থেকে কর্পোরেট বিল্ডিং সবখানে থাকা নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সব ধরণের দর্শকের নায়ক বা অভিনেতা হতে পারেনি। হতে পারলে তার জন্য আরো ভালো হত। স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে পারেনি। তার সমসাময়িক অন্য নায়কদের নিয়ে সর্বমহলের দর্শকরা যেভাবে গর্ব করে বা আদর্শ ভাবে শাকিব সেখানে বেশিরভাগই ট্রলের পাত্র। শাকিবের উচিত ছিল নিজের কাজের কোয়ালিটিতে মন দিয়ে সব দর্শকের কাছে পৌঁছানো।
ফ্যাক্ট – ১২ : বিয়ে, সন্তান আড়াল না করা
—————————————————–
বিয়ে, সন্তান আড়াল করা আজকাল তারকাদের ফ্যাশন হয়ে গেছে। ক্যারিয়ারে ভাটা পড়বে বা জনপ্রিয়তা নষ্ট হবে এ ভয়ে অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করে, ছেলে থাকার পরেও শাকিব জানায়নি দর্শককে। তার যে জনপ্রিয়তা ও প্রভাব ইন্ডাস্ট্রিতে এ খবরটা আগে থেকে সবাইকে জানালে ক্যারিয়ারে সমস্যা হত না বরং সম্মান বাড়ত।
ফ্যাক্ট – ১৩ : জুনিয়রদের সাথে কাজ করা
—————————————————–
শাকিব যেভাবে তার স্ট্রাগল পিরিয়ডে মান্না, আমিন খান, রিয়াজ, ফেরদৌস তাদের সাথে এক ছবিতে কাজ করেছে এবং শিখেছে অনেককিছু একইভাবে বর্তমান প্রজন্মের নায়ক যেমন আরিফিন শুভ, সিয়াম, রোশান, এবিএম সুমন-দের সাথে নিয়মিত কাজ করতে পারত। এতে করে জুনিয়র আর্টিস্টরা শিখতে পারত অনেককিছু এবং শাকিবও তাদেরকে কাছ থেকে দেখতে পারত, সম্পর্ক ভালো থাকত। একটা ভারসাম্যও থাকত সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে।
ফ্যাক্ট – ১৪ : প্রযোজনায় নতুনদের নেয়া
—————————————————
প্রযোজক শাকিব খান তার ছবিতে নিজেই একক নায়ক না থেকে যদি নিজের পাশাপাশি নতুনদের নিত তাহলে দর্শক খুশি হত। মান্নার সাথে শাকিবের ছবিগুলোতে দর্শক যেভাবে দুই নায়কের অভিনয়, রসায়ন দেখার সুযোগ পেত একইভাবে এখনো তাই পেত নতুন করে। কিন্তু শাকিব তা করেনি। এমনকি নিজে প্রযোজনা করে অভিনয় না করে যদি সম্পূর্ণভাবে নতুনদের সুযোগ দিত দর্শকের কাছে তার সম্মানের জায়গা আরো বেড়ে যেত। এ ধরণের কাজে তাকে দেখা যায়নি। এর থেকে ধারণা করা যেতে পারে শাকিব সম্ভবত ইনসিকিউরিটিতে ভোগে বা নিজের পজিশনে শুধুমাত্র নিজেকে দেখতেই এটা করে না। কিন্তু যদি করত তাহলে ইন্ডাস্ট্রিতে হিট ছবির সংখ্যা আরো বাড়ত কারণ দুই নায়কের ফ্যানবেজ এক হলে ছবির সাফল্য বাড়ার সম্ভাবনা থাকত।
ফ্যাক্ট – ১৫ : সিলেক্টিভ কাজে বাকি ক্যারিয়ার পার করা
————————————————————
ডিজিটাল সময়ের ছবিতে শাকিব সিলেক্টিভ ছবিতে কাজ করেই বাকি ক্যারিয়ারটা পার করে দিতে পারত। এতে করে ভালো বা মানসম্মত ছবির সংখ্যা বাড়ত। এ সময়ের আপগ্রেড দর্শকের কাছেও ভালো পজিশনে থাকত। সেটাই করা উচিত।
অবশ্যই শাকিব খানের লম্বা জার্নিতে পরিশ্রম ও ভাগ্যের সংমিশ্রণ আছে। কিন্তু একজন দীর্ঘ সময় রাজত্ব করা নায়ককে নায়ক থেকে অভিনেতা হয়ে ওঠার যে কৃতিত্ব থাকে সে কাজটিতে শাকিব অসচেতন। অথচ শাকিব খান নামটিকে আজ থেকে ৩০ বছর পরে বা আরেকটি প্রজন্মের গর্বের সাথেই দেখার কথা ছিল। শাকিব খান নিজে সেটা ভাবলেই মঙ্গল।