Select Page

সজল-মাহি জুটিকে পর্দায় ফেরাবেন ইফতেখার

সজল-মাহি জুটিকে পর্দায় ফেরাবেন ইফতেখার

২০১৬ সালের অক্টোবরে বদিউল আলম খোকনের ‘হারজিৎ’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন আব্দুন নূর সজলমাহিয়া মাহি। এরপর প্রথম লটের কাজ করার পরই আটকে যায় ছবিটি। পাঁচ বছর পর এই অক্টোবর হঠাৎ আলোচনায় এলেও ‘হারজিৎ’। এ ছবি অনিশ্চিত হলেও শোনা যাচ্ছে সজল-মাহি অন্য ছবি নিয়ে জোট বাঁধছেন!

সেটি হলো ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত বায়োস্কোপের ওয়েব ফিল্ম ‘ড্রাইভার’। ১ নভেম্বর থেকে ছবিটির শুটিং মাঠে গড়াচ্ছে বলেও জানা গেছে।

এ নিয়ে সজল বলেন, ‘খুব ভালো একটি কাজ হতে যাচ্ছে। চমৎকার গল্প। আশা করছি সবাই পছন্দ করবেন।’

অন্যদিকে মাহি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবির পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী। তার সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত।’

বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য পাওয়া। সেখানে আরও বলা হয়, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দ্য অভি কথাচিত্র ‘ভালো থেকো’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় নানা প্রতিকূলতায় আর এগোয়নি ‘হারজিৎ’র কাজ।

সম্প্রতি কালের কণ্ঠ জানায় ছবিটি হচ্ছে। সেখানে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জাহিদ হাসান অভির মন্তব্য থাকলেও এবার তিনি বললেন, ‘এমন নয় যে ছবিটির কাজ একেবারেই বাতিল। আপাতত স্থগিত আছে। কলাকুশলীসহ প্রায় সবার পেমেন্ট ক্লিয়ার করে রেখেছি। ৭০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। কিন্তু করোনাসহ নানা কারণে ছবিটির কাজ শেষ করতে পারিনি। এর মানেই যে বন্ধ হয়ে গেছে, তা নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জানুয়ারিতে মার্কেট নতুন করে রিসার্চ করবো। এরপর দেখবো ছবিটির কাজ করতে আর কত টাকা লাগবে। সেটা নির্ধারণ করেই এর কাজ শুরু করতে চাই। পাশাপাশি এটাও মাথায় আছে, এবার আর ভেঙে ভেঙে কাজ করবো না। একেবারেই শেষ করবো।’

কালের কণ্ঠকে অভি বলেছিলেন, অভি বলেন, ‘পাঁচ বছরে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। গল্প থেকে শুরু করে ছবিটি নিয়ে যেসব পরিকল্পনা ছিল সেগুলো এখন সেকেলে হয়ে গেছে। তখন ১৬ দিন টানা শুটিং হয়েছে। মাহিয়া মাহি, সজলসহ বেশির ভাগ শিল্পীর পুরো টাকা দেওয়া শেষ। মৌসুমী, ওমর সানী, মিশা সওদাগরদেরও অর্ধেক পারিশ্রমিক দিয়েছি আমরা। সব মিলিয়ে ৬০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। এখন ছবিটি শেষ করতে গেলে আরো ৮০ লাখ টাকা প্রয়োজন। মুক্তি পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণাসহ খরচ হবে দেড় কোটি টাকা। এই মুহূর্তে এত টাকা লগ্নি করে বাজার থেকে ফেরত আনা সম্ভব নয়।’

‘হারজিৎ’ নিয়ে সজল ও মাহির ভক্তরা বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। এখন দেখার বিষয় ‘ড্রাইভার’ নিয়ে সেই উচ্ছ্বাস কতটা তাজা হয়।


Leave a reply