সাহসী ও জীবনঘনিষ্ঠ ‘চাঁদাবাজ’
১৯৯৩ – ২০১৯ সাল। দুই যুগ পার হয়ে গেছে। বদলে গেছে অনেক কিছু যেমন সত্য ঠিক তেমনি বদলায়নি অনেক কিছু এটাও সত্য। ২৬ বছর আগের বাস্তবতা আর ২৬ বছর পরের বাস্তবতার মাঝে ভয়াবহ রকমের মিল।
এমন মিল আমরা কেউই চাইনি তবুও বাস্তবতা এতোই নির্মম যে ২৬ বছর পরেও দেশের চারপাশের চিত্র আরও ‘ভয়াবহ’, আরও দুঃস্বপ্নের যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আশায় আমরা আজো দিন কাটাচ্ছি। ……বন্ধুরা, কথাগুলো বলছিলাম আজ থেকে ২৪ বছর আগে সিলেটের মনিকা সিনেমাহলে দেখা ‘চাঁদাবাজ’ সিনেমাটি নিয়ে যে চলচ্চিত্রটি শুধুই ৮/১০টি চলচ্চিত্র নয়, ছিলো হাসিকান্না মাখা স্বাধীন বাংলাদেশের বড় কঠিন ও নির্মম একটি চিত্র।
সিনেমাবোদ্ধা, সুশীল দর্শকরা চলচ্চিত্র বলতেই মনে করে তথাকথিত জীবন ঘনিষ্ঠ টাইপের বিকল্পধারার সিনেমা বা বিদেশি উৎসবে পুরস্কারের জন্য বানানো সাধারন দর্শকদের জন্য দুর্বোধ্য কোন সিনেমাকে। অথচ সেইসব অন্ধ, জ্ঞানপাপী সিনেমাবোদ্ধারা জানেই না যে বাংলাদেশের তথাকথিত বস্তাপচা (সুশিলদের ভাষায়) বাণিজ্যিক সিনেমার মধ্যে যে কত অসাধারন, সাহসী ও জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পের সিনেমা আছে তা। যে ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা কেন একটা টেলিভিশন চ্যানেলের নাটকও বানানোর দুঃসাহস আজো কেউ দেখায়নি ও আগামীতেও দেখাবে কারণ ‘চাঁদাবাজ’ শুধুই একটি চলচ্চিত্র নয়, ‘চাঁদাবাজ’ হলো এইদেশের ১৬ কোটি মানুষের না বলা আগুনঝরা ক্ষোভের ভাষা, ‘চাঁদাবাজ’ হলো ১৬ কোটি মানুষকে প্রতিবাদ করার সাহস যুগানোর শিক্ষা।
একটি বাড়ি নির্মাণের স্বপ্ন কিভাবে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়ে একটি সুখের সংসারকে তছনছ করে দেয় তা ‘চাঁদাবাজ’ সিনেমাটি না দেখলে অজানাই রয়ে যেতো। অথচ এমন হক সাহেবের করুন কাহিনী আমাদের চারপাশে আজো ঘটে চলেছে যার খবর আমরা কেউই রাখিনা।
১৯৯৩ সাল বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের অসাধারন একটি বছর। যে বছরটা ছিলো একঝাঁক নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রীদের জয়গানের পাশাপাশি প্রবীণ অভিনেতা অভিনেত্রীদের অসাধারন সব চলচ্চিত্র।‘চাঁদাবাজ’ সিনেমায় খুব খুব জনপ্রিয় নায়ক নায়িকা ছিলো না তবুও সিনেমাটি হয়েছিল সাধারন দর্শক ও সিনেমাবোদ্ধাদের কাছে বছরের অন্যতম সেরা একটি সিনেমা, অন্যতম ব্যবসাসফল একটি সিনেমা।
ছবির গল্পটি ছিলো সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে চাকরী থেকে অবসর নেয়া আরিফুল হক সাহেবের একটি বাড়ি নির্মাণের স্বপ্নটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার গল্প।চাকরী থেকে অবসর নেয়ার পর দুই সন্তানের পিতা আরিফুল হক নিজের শহরে ফিরে আসেন। নিজের শহরের একখণ্ড জমিতে নিজের একটি বাড়ি নির্মাণের কাজে হাত দেন। বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করতেই ছবির গল্পটি হয়ে উঠে বাংলাদেশের কোন মধ্যবিত্ত পরিবারের হাহাকার ও আর্তনাদের গল্প। যে গল্পের প্রতিটি পরতে পরতে উঠে আসে স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষমতাবানদের মুখোশ যেখানে সংসদের এমপি থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনের দুর্নীতি, অন্যায় অত্যাচারের সত্যিকারের চিত্র উঠে আসে।
ছবিটির গল্পঃ আরিফুল হক বাড়ি নির্মাণ শুরু করার পর পরেই শহরের ভদ্র সমাজের, ক্ষমতাবান মুখোশধারি মানুষগুলোর মুখোশ উম্মোচিত হতে থাকে। শহরের সবাই যে গুরুভাইকে(রাজীব)চিনে ও জানে সেই গুরু ভাইয়ের লোকজন এসে প্রথমে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে পিস্তলের ভয় দেখিয়ে নিয়ে যায়। গুরুভাই ৫ হাজার টাকা গ্রহন করতে অপরাগতা প্রকাশ করে বরং ৫ তলা ভিত্তিস্থাপনের জন্য তলাপ্রতি ৫০০০ করে ২৫০০০ টাকা নির্ধারণ করে আবার তার লোকদের হক সাহেবের কাছে পাঠায়।হক সাহেব নতুন করে নির্ধারিত ২৫০০০ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। হক সাহেবের শিক্ষিত বেকার ছেলে সোহেল চৌধুরী প্রথমে, এরপর টেলিভিশনের পর্দায় চাঁদাবাজদের ব্যাপারে নিকটস্থ থানায় তথ্য দেয়ার বিজ্ঞপ্তি দেখে পুলিশ প্রশাসনকে বিশ্বাস করে থানায় গিয়ে ওসি মিজু আহমেদের কাছে অভিযোগ করে।কিন্তু সোহেল চৌধুরী জানেই না যে স্থানীয় এমপি ও পুলিশ প্রশাসন সবই গুরু ভাইয়ের কথায় চলে।
গুরু ভাইয়ের কানে অভিযোগের খবর গেলে ২৫০০০ টাকা চাঁদা ২০০০০ বেড়ে হয়ে যায় ৪৫০০০ হাজার টাকা।পুলিশের কাছে অভিযোগ করে ঘুষখোর ওসি মিজু আহমেদের কারণে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় এরপর স্থানীয় এমপির কাছে সরাসরি চাঁদাবাজ গুরু ভাইয়ের নামে অভিযোগ করে সোহেল চৌধুরী। এমপির কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি বরং এমপির কাছে অভিযোগ করায় গুরুভাই রাজীব ক্ষুব্ধ হয়ে চাঁদার টাকা আরও ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৯৫০০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।একদিন আরিফুল হকের কাছে ৯৫ হাজার টাকা চাঁদা নিতে এলে সোহেল চৌধুরী নিজেই প্রতিবাদ করে সন্ত্রাসিদের মেরে তাড়িয়ে দেয়। বিপদ আঁচ করতে পেরে আরিফুল হক ছেলের উপর ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়ে সোহেল চৌধুরীকে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং রাগের মাথায় ছেলেকে ত্যাজ্য বলে ঘোষণা দেন। সোহেল চৌধুরী ঘরে ফিরেনা।
গুরু ভাইয়ের আস্তানা থেকে ওসি মিজু আহমেদ সোহেল চৌধুরীকে তুলে নিয়ে অন্যায়ভাবে থানার ভেতর বেদম পেটাতে পেটাতে আধমরা করে রাখে, শেষে সেকেন্ড অফিসার শাহিন আলমের প্রতিবাদের মুখে সাদা কাগজে সই নিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে আসে। সেখান থেকে আরিফুল হকের বাল্যবন্ধু আশিস কুমার লৌহ তুলে নিয়ে নিজের ঘরে আশ্রয় দেয়। আশিস কুমার লৌহের বাসায় চিকিৎসা ও বিশ্রাম নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠে সোহেল চৌধুরী। সেখানেই আশিস কুমারের ভাগনি শাহনাজের সাথে পরিচয় , প্রেম ও বিয়ে।
সোহেল চৌধুরীর সাথে শাহনাজের বিয়ে মেনে নিতে পারেনা আরিফুল হক। কারণ শাহনাজের বাবা শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো একজন বদ্ধ পাগল (সাদেক বাচ্চুর) যিনি ১৯৭১ সালের একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।সোহেল চৌধুরীহীন একা আরিফুল হকের পরিবারের উপর গুরুভাই রাজীব নির্মম নির্যাতন শুরু করে। সোহেল চৌধুরী বোন কবিতাকে রাস্তা থেকে তুলে এনে উলঙ্গ করে রাস্তায় ছেড়ে দেয় যেন আরিফুল হক মেয়ের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য ৯৫০০০ টাকা নিয়ে আসে।
উলঙ্গবস্থায় দৌড়ে বাড়ি না ফিরে লোকলজ্জা ও অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে কবিতা একটি মাইক্রোবাসের নিচে আত্মহত্যা করতে যায় কিন্তু ড্রাইভারের বিচক্ষণতায় বেঁচে যায়। মাইক্রোর ড্রাইভার একটি চাদরে কবিতার শরীর ঢেকে আহতবস্থায় কবিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কবিতার কাছে ঘটনা জানতে পুলিশ অফিসার শাহিন আলম বারবার এলেও কোন সাড়া পায়না। ওসি মিজু আহমেদ শাহিন আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে রাজীবের তদবিরে চাকরীচ্যুত করে। শাহিন আলম এরপরেও শহর ছেড়ে যায়না। একদিন শহরের দেয়ালে দেয়ালে রাজীবের বিরুদ্ধে নানারকম শ্লোগান লিখে ছড়িয়ে দিয়ে শহরবাসীকে রাজীবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানায়। এর জের ধরে রাতের অন্ধকারে রাজীব আরিফুল হক’কে খুন করে আর সেই খুনের মামলায় ওসি মিজু আহমেদ সোহেল চৌধুরীকে ফাঁসিয়ে দিয়ে জেলে নেয়।
পৌরসভা নির্বাচন এলে হুট করে মন্ত্রীর কাছে গিয়ে রাজীব নিজেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয় কিন্তু মন্ত্রী সাহেব রাজিবকে নিজ দল থেকে মনোনয়ন দেয় না। রাজীব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ায়, রাজীবের ভয়ে আর কেউ প্রার্থিতার নমিনেশন জমা না দিলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে কবিতা প্রতিবাদ স্বরূপ প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন জমা দেয়। কবিতাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য চাকরীচ্যুত পুলিশ অফিসার কবিতাকে নিয়ে আইজিপি সাহেবের সাথে দেখা করে শহরের সব ঘটনা খুলে বলে। আইজিপি সাহেব শাহিন আলমকে চাকরীতে ফিরিয়ে আনে এবং ঐ থানার ওসি মিজু আহমেদের বরখাস্তের চিঠি শাহিন আলমের হাতে তুলে দেয়। আইজিপি মিথ্যা খুনের দায়ে জেলে থাকা সোহেল চৌধুরীর জামিনের ব্যবস্থা করে। এরইমধ্য কবিতাকে খুন করার জন্য সারা শহর খুঁজে না পেয়ে পালিয়ে গেছে ধরে নেয়।
রাজীব নির্বাচনী সমাবেশে নতুন দল গঠনের ঘোষণা দেয় এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে সেই দল ৩০০ আসনে প্রার্থীতা দিবে বলেও জানায়। সেই সমাবেশে পাগল সাদেক বাচ্চু রাজীবের দিকে জুতা ছুড়ে মেরে অপমান করে। রাজীব প্রতিশোধ নিতে সাদেক বাচ্চুকেও হত্যা করে কারণ এই শহরের সবাই রাজিবকে মান্য করলেও, ভয় পেলেও পাগলা সাদেক বাচ্চু রাজিবকে মানে না। রাজীবের ভাষায় ‘ তুই আমাকে ঠিকই চিনে ফেলেছিস যা শহরের কেউ চিনতে পারেনি’’। ……এভাবে একের পর এক নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে সোহেল চৌধুরী ও শাহনাজের জীবন দিয়ে রাজীবের মতো ভণ্ড, সমাজের শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করে শহরবাসীকে মুক্তি দেয়।……
পুরোটা সময় নিস্তব্ধ, বিস্মিত হয়ে থাকা হলভর্তি দর্শকদের কলরবে মুখর হয়ে উঠেছিল সেদিনের মনিকা সিনেমাহল। সবার মনে, সবার মুখে একই প্রশ্ন ‘’ কাজী হায়াত লোকটার কি ডর ভয় বলে কিছু নাই’??? একজন পরিচালক কতটা সাহসী হলে দাঙ্গা, ত্রাস, সিপাহি চলচ্চিত্রের পর ‘’চাঁদাবাজ’’ নামের আরেকটি আগুঞ্ঝরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারেন সেটা কাজী হায়াত না থাকলে আমাদের হয়তো কোনদিন বিশ্বাসই হতো না, জানা হতো না। বাংলা চলচ্চিত্রের বাণিজ্যিক অবাণিজ্যিক কোন ধারাতেই ২য় আরেকজন কাজী হায়াত আজো পাওয়া যায়নি যিনি সকল ভয়কে জয় করে রাষ্ট্র,সমাজ ও রাজনীতির অন্ধকারগুলো সেলুলয়েডের ফিতায় তুলে ধরবেন, ভণ্ড মানুষগুলোর মুখোশ উম্মোচন করে দেখাবেন।
আর কোন পরিচালকের সিনেমায় ‘’মুক্তিযোদ্ধা কোথায় তুমি / দেখো এসে এ জন্মভুমি/ তোমার বুকে করছে কারা রাজত্ব / এরজন্য কি লক্ষ শহীদ দিয়েছিলো রক্ত’’ …এমন ক্ষুরধার জ্বালাময়ী কথার গান শুনেনি। এই একটি গানের জন্যই কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক দুই শাখাতেই জাতীয় পুরস্কার ছিনিয়ে নেন আজাদ রহমান সাহেব।‘চাঁদাবাজ’ সিনেমাটি প্রমাণ করে দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র থাকলে শিল্প সংস্কৃতির মেধাবী মানুষগুলোও অসাধারনভাবে ও নির্ভয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে যা আজ কল্পনাতেও সম্ভব নয়।‘চাঁদাবাজ’ সিনেমাটি দেখার পর সব দর্শকদের ধারনা ছিলো কাজী হায়াত হয়তো শ্রেষ্ঠ পরিচালকের শাখায় জাতীয় পুরস্কার সহ আরও অনেকগুলো পুরস্কার অর্জন করবে কিন্তু ‘মাস্টার মেকার’ এ জে মিন্টু সেবছর শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেলেও জুরিবোর্ড ‘চাঁদাবাজ’ ও কাজী হায়াতকে নিরাশ করেনি। শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে কাজী হায়াত জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন এবং সেরা সঙ্গীত পরিচালক (আজাদ রহমান), সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী (আজাদ রহমান), সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (খল) রাজীব ও সেরা গীতিকার (লোকমান হোসেন ফকির) শাখাগুলোতে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে যা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উদাহরন হয়ে থাকবে।
‘চাঁদাবাজ’ ছবিটার প্রাণ হলো আমাদের সমাজে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া কিছু নির্মম ঘটনা নিয়ে সাজানো একটি অসাধারন গল্প, গল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আগুনঝরা সংলাপ এবং সবশেষে চরিত্রনুযায়ী প্রতিটি চরিত্রকে বাস্তবসম্মত রেখে সবার কাছ থেকে সেরা অভিনয়টা আদায় করে নেয়া। কাজী হায়াতের চিরস্মরণীয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে গুরুভাই চরিত্রে রাজীব ছিলেন অসাধারন, নির্মম, ভয়াবহ ও দুর্দান্ত রকমের দারুন যা দাঙ্গার চলচ্চিত্রের কালুর মতো আরেকটি মনে রাখার মতো চরিত্র। চাঁদাবাজ চলচ্চিত্রের জন্যই রাজীব দাঙ্গার পর ২য়বার পার্শ্বচরিত্র (খলনায়ক) শাখায় জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছিলেন।পাগল মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রে সাদেক বাচ্চুর অন্যতম সেরা অভিনয় ‘চাঁদাবাজ’। সাদেক বাচ্চুর অভিনয় দেখে সেদিন হলভর্তি দর্শকদের রক্ত টগবগ করে উঠেছিল।
‘চাঁদাবাজ’ সিনেমাটা যদি ১৯৯৩ সালে নির্মাণ না হয়ে ২০১৯ সালে নির্মাণ হতো তাহলে ‘চাঁদাবাজ’ কোনদিন সিনেমাহলে মুক্তি দেয়া হতো না কিংবা ‘চাঁদাবাজ’ সিনেমাটির কাজ বন্ধ হয়ে যেতো একথা আমি আজ নির্দ্বিধায় বলতে পারি।সবশেষে শুধু এইটুকু বলবো যে আপনার হৃদয় যতই শক্ত হোক না কেন , আপনি যতই কঠিন মনের মানুষ হোন না কেন, একটি চলচ্চিত্র আপনাকে কাঁদাবেই কাঁদাবে, আপনার মনকে নাড়া দিবেই দিবে। গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা বজায় থাকলে শিল্প সংস্কৃতির মাধ্যমগুলো কত শক্তিশালি ভূমিকা রাখতে পারে ‘চাঁদাবাজ’ সিনেমাটি তার অন্যতম একটি সার্থক উদাহরন।
মুক্তিযোদ্ধা কোথায় তুমি – https://www.youtube.com/watch?v=w8Ik9Neaq30
চাঁদাবাজ সিনেমাটির লিংক- https://www.youtube.com/watch?v=oXZxxHTabO4&t=2123s