Select Page

সিনেমার জন্য নটরডেম কলেজের শিক্ষকতা ছাড়েন কাজী জহির

সিনেমার জন্য নটরডেম কলেজের শিক্ষকতা ছাড়েন কাজী জহির

কাজী জহির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বিখ্যাত নটরডেম কলেজে। কিন্তু তার হৃদয়ে ছিল শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ। জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রের সঙ্গে এবং স্থায়ী স্থান করে ঢালিউডের ইতিহাস। তার নির্মাণ সামাজিক সিনেমাগুলো আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে একেকটি রত্ন বলে বিবেচিত।

অনেক কালজয়ী চলচ্চিত্রের নির্মাতা কাজী জহির। তার নামে একসময়ে প্রতিটি সিনেমা হলে দর্শকদের ঢল নামত ।

কাজী জহির ১৯২৭ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালের ২০ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৬৫ সালে ‘বন্ধন’ (উর্দু) ছবিটি নির্মানের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কাজী জহির। তার পরিচালিত অন্যান্য ছবি হলো  ভাইয়া, নয়ন তারা, ময়না মতি, মধু মিলন, অবুঝ মন, বধু বিদায়, ফুলের মালা প্রভৃতি।

কাজী জহির প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছেন দস্যুরাণী, চাষীর মেয়ে, কথা দিলাম, আশার আলো, আকাশ পরী, নতুন বউ, স্বামীর ঘর, দ্বীপ কন্যা, রাজ কপাল, রানী চৌধুরানী, ঘরের সুখসহ আরো কিছু ছবি। তার পরিচালিত ছবিগুলোও নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা চিত্রা ফিল্মস লিমিটেডের ব্যানারে নির্মিত।

প্রযোজনা, পরিচালনা, পরিবেশনার পাশাপাশি তিনি একজন প্রদর্শকও ছিলেন। পুরান ঢাকায় চিত্রামহলের মালিক ছিলেন তিনি।

পরিচ্ছন্ন সামাজিক গল্প প্রধান ছবির সফল পরিচালক হিসেবে কাজী জহির-এর খ্যাতি অপরিসীম। নিটোল প্রেমের ছবি নির্মাণেও তিনি অগ্রপথিক। বিশেষ করে ত্রিভুজ প্রেমের অবুঝ মন আজো স্মরণীয়। অন্য ছবিগুলোও নিজ নিজ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল।

কাজী জহির ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিকে নায়িকা চিত্রা সিনহাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে চিত্রা জহির নামে পরিচিত হন চিত্রা সিনহা। তাদের দুই মেয়ে এক ছেলে ঝিনুক, শাপলা ও সাগর। ছেলে সাগর জহির চলচ্চিত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

তখ্যসূত্র: আজাদ আবুল কাশেম


মন্তব্য করুন