Select Page

সিমলার হুমকিতে বিতর্ক বাড়ল!

সিমলার হুমকিতে বিতর্ক বাড়ল!

simlaবাড়াবাড়ি করলে পরিচালকের জিহ্বা টেনে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দিলেন সিমলা! ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায়। রুবেল আনুশের পরিচালনায় ওইদিন সকাল থেকে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ ছবির শেষ লটের শুটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুটিংয়ে আসেননি এ নায়িকা, উল্টো হুমকি দেন নির্মাতাকে।

সিমলার দেয়া সময়ানুযায়ী সকাল থেকেই ইউনিট নিয়ে স্পটে বসে ছিলেন পরিচালক। কিন্তু গাড়ি পাঠিয়ে দিলেও তার কোনো খবর নেই। ফোনে আসছি আসছি বলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেটে আসেননি তিনি। ফোনও ধরেন না তিনি। শেষবার ফোন ধরে বিরক্ত করার জন্য পরিচালককে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বেশি কথা বললে টেনে জিহ্বা ছিঁড়ে ফেলব।’ এরপর সিমলা ফোন বন্ধ করে দেন।

এর আগে সিমলা শিডিউল দিয়েছিলেন ৮ আগস্ট। শুটিংয়ের জন্য কলটাইম ছিল সকাল ৮টায়। সবাই ইউনিটে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে গেলেও নায়িকার ফোন ছিল বন্ধ। সকাল গড়িয়ে দুপুর পার হয়ে গেলে পরিচালক বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। সকালেই ইউনিট থেকে সিমলার বাসায় গাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। সেই গাড়িতে করে সিমলা ঠিকই বাসা থেকে বেরিয়েছেন। কিন্তু ফোন বন্ধ করে ইউনিটের গাড়ি ব্যবহার করে সারা দিন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ব্যক্তিগত কাজ সারেন। শেষে বিকাল পাঁচটায় পুরান ঢাকার সেটে পৌঁছান তিনি। ততক্ষণে দিনের আলো শেষ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে পরিচালক সেদিনের মতো শুটিং পেকআপ করেন। এতে কোনো ধরনের শুটিং ছাড়াই প্রযোজকের ক্ষতি হয় ৭০ হাজার টাকা। বিষয়টি নিয়ে সিমলার সঙ্গে বোঝাপড়ায় বসেন পরিচালক। কথা হয় ১১ আগস্ট শুটিং করবেন তিনি। নিরুপায় হয়ে পরিচালক সেটা মেনেও নেন।

পরে এ নিয়ে আনুশ শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেন। পাল্টা অভিযোগের কথা বলেন সিমলা। সেদিন বিকেলে সিমলা হাজির হন প্রযোজক সমিতির অফিসে। সেখানে জানান, আনুশ তাকে অপহরণের হুমকি দিয়েছেন। নবাগত এ নির্মাতা তা অস্বীকার করেন। পরে প্রযোজক নেতাদের চাপের মুখে ‘সরি’ বলেন আনুশ। আরো জানান, সিমলাকে ছাড়াই সিনেমাটির বাকি অংশের শুটিং করবেন। বিচারের ভার ছেড়ে দিয়েছেন উপরওলার কাছে।


মন্তব্য করুন