Select Page

সীমারেখার যত ভুল

সীমারেখার যত ভুল

সীমারেখা যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র। পরিচালক এ দেশের দেওয়ান নাজমুল আর ও দেশের স্বপন সাহা। এদেশের ববিতা, অমল বোস, কাবিলা অভিনয় করলেও নায়ক-নায়িকা সম্পূর্ণ নতুন। এই ছবিতে ছোট বড় ২১টি ভুল চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। চলুন দেখে নেই ভুলগুলো।

১. কলেজের জনৈক লোক যখন শ্রেয়ার বন্ধুর প্যান্টের জীপার খোলা দেখলেন‚ তখন ঐ বন্ধুর হাত দেখানো হলো নীচে‚ অথচ তখন তার হাত ছিল মাথার উপরে তোলা !!!

২. অমল বোস যখন শ্রেয়ার সাথে একই রুমে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন তখন মনে হয়েছে অমল বোসের শব্দ রুমের বাইরের কোথাও থেকে আসছে !!!

৩. ববিতা ম্যাডাম যখন অমল বোসের কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন তখন তিনি মুখ নেড়ে কিছু বললেও কোন শব্দ বের হয়নি! !!

৪. কাবিলার নায়িকা খাইরুন যখন গাছ থেকে একটু সামনে দাড়িয়ে কথা বললেও তার হাসির সময় দেখানো হলো সে গাছে হেলান দেওয়া। যা আবার পরের শটের সাথে অসংগতিপূর্ণ. !!!

৫. বাবাই যখন পানি থেকে উঠে আসলো তখন তার শরীর ভেজা থাকলেও গায়ে কোন কাদা ছিল না। পরের শটে আবার তার গায়ে কাদা আসলো কোথা থেকে? ??

৬. বাবাই শ্রেয়াকে জড়িয়ে ধরার আগেই শ্রেয়ার গায়ে কাদা লাগল কি করে?

৭. শ্রেয়ার কাছে থাকার সময় বাবাইয়ের গায়ে কাদা ছিল একরকম, পাখির কাছে গিয়ে কাদা হয়ে গেল অন্যরকম! !!

৮. ছবিতে বহুবার একই দৃশ্যের ধারাবাহিক শটে বাবাই ও শ্রেয়ার চুলের বিন্যাসের হেরফের দেখা গেছে। পরিচালক তা খেয়ালই করেননি! !!

৯. “ভালোবাসার সীমানা” গানে বাবাইয়ের চশমার লেন্সে ক্যামেরা ক্রুদের এক ঝলক দেখা গেছে! !!

১০. শ্রেয়া বাসা থেকে যে নোটবুক নিয়ে কলেজে গেল সেটা কলেজ গিয়ে অলৌকিক ভাবে পাল্টে গেল! !!

১১. দিনের বেলা বাবাইদের বাড়ি দেখানো হলো একরকম‚ এক শটে রাতের বেলা হয়ে গেল অন্যরকম.

১২. পাখির সাথে দাড়িয়ে কথা বলার সময় ববিতা ম্যাডামের কপালের টিপ লাগানো ছিল বাকা। ধারাবাহিক শটে হঠাৎ সেটা সোজা হয়ে গেল. আবার একটু সরেও গেল! !!

১৩. পাখির সাথে কথা বলার সময় তার দাদী দাড়িয়ে ছিলেন আলমারীর বামে। একটু না নড়েই তিনি কি করে আলমারীর একেবারে ডানে চলে গেলেন। আলমারীর শোপিস গুলোও অটোমেটিক পাল্টে গেল! !!

১৪. পাখি ও তার দাদী যখন কথা বলা শুরু করেন তখন ঘড়িতে সময় ১২ টা বেজে 2৭ মিনিট। অনেকক্ষণ কথা বার্তা শেষে দেখা গেল ঘড়িতে বাজে ১২ টক বেজে ৭ মিনিট। ঘড়ি কি উল্টো দিকে চলছে নাকি? ??

১৫. শ্রেয়া যখন বাবাইয়ের জন্য নাড়ু নিয়ে আসে তখন প্লেটভর্তি নাড়ু ছিল। বাবাই একটি নাড়ু খাওয়ার পরেই প্লেটের নাড়ু এক তৃতীয়াংশ কমে গেল!!!

১৬. “কাচের টুকরো” গানে শ্রেয়া যখন কাচের টুকরোগুলোর পাশে বসা ছিল. তখন অল্প বাতাসেই সেগুলো উড়ে যাচ্ছিল।
আসলে সেগুলো যে প্লাস্টিকের কাচ ছিল! !!

১৭. “কাচের টুকরো” গানে কাচের টুকরোর আঘাতে বাবাইয়ের দুইহাত ক্ষত হয়ে রক্তপাত হলেও পরে তা অটোমেটিক ঠিক হয়ে গেল! !!

১৮. শ্রেয়া ওর বাবার কল কেটে দেওয়ার এক সেকেন্ডের মধ্যেই ওর বান্ধবীর মোবাইলে ওর বাবার কল ঢুকে গেল। কিভাবে সম্ভব? ??

১৯. বাবাই ও শ্রেয়া দেখা করেছিল রাতে. ঠিক ঐ সময় ওর বাবার বাসায় দিনের আলো। কিভাবে সম্ভব? ??

২০. দিনে দুপুরে বর্ডার পার হওয়ার সময় বিএসএফ বা বিজিবির কোন সদস্য তাদের আটকালো না। এটাও কি সম্ভব?

২১. বর্ডার পারাপারের দৃশ্যে বাবাই যখন অনায়াসেই নিচ দিয়ে কাটাতাঁর পার হয়ে গেলেন্‚ তাহলে শ্রেয়াকে কেন জোর করে মাঝখান দিয়ে ঢুকানোর জন্য চেষ্টা করছিলেন? ??


Leave a reply