Select Page

সুমন আনোয়ারের সেরা দশ একক নাটক

সুমন আনোয়ারের সেরা দশ একক নাটক

গত এক যুগের ও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা নাটককে সমৃদ্ধ করে চলেছেন সুমন আনোয়ার। অভিনয়শিল্পীদের যিনি শক্তিশালী চরিত্র দিয়ে পরীক্ষিত করেছেন দর্শকদের কাছে। গল্পের বৈচিত্র্যতায় তার নাটক পেয়েছে দর্শকদের কাছে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা। তার নির্মিত অন্যতম সেরা দশ নাটক নিয়ে এই আয়োজন-

রাতারগুল (২০১৪): সুমন আনোয়ারের ক্যারিয়ারের সেরা কাজ এই টেলিফিল্ম। গ্রামের মেম্বার কম বয়সী তরুণী লাইলীকে বিয়ে করে নৌকা ভাড়া করে নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামে। পথে ঘটে নানান রহস্যময় ঘটনা। রাতারগুলের সৌন্দর্যতা,বুনট চিত্রনাট্য আর অভিনয়শিল্পীর অভিনয় এই নাটকের প্রান। মামুনুর রশীদ,তিশার পাশাপাশি মাঝির চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রওনক হাসান সমালোচক বিভাগে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পান।

রাতুল বনাম রাতুল (২০১৭): এক্সিডেন্টে মারা যায় মৌমিতা ও রাতুল। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় শোয়েব,যার চেহারা হুবহু রাতুলের মত, এইদিকে রাতুলের প্রেমিকা অসুস্থ নবনী বান্দরবানে পালিয়ে যায়, তাকে খুঁজতে রাতুল সেজে বান্দরবানে আসে শোয়েব! আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজের এই নাটক উচ্চমার্গীয় কাজ হিসেবে পরিচিত,তখন অনেকেই পছন্দ করেনি। তবে পরবর্তীতে সমাদৃত হয়। মূল চরিত্রে আফরান নিশোর অনবদ্য অভিনয়,তবে মিম রশিদ ভালো অভিনয় করতে পারেননি।

পাঞ্জাবীওয়ালা (২০০৯): যাত্রার প্রিন্সেসে মুগ্ধ হয় গ্রামের এক সাধারন ছেলে। তারপর এই প্রেমকাহিনীর ও প্রিন্সেসের জীবনের জটিলতা নিয়ে নির্মিত এই নাটক তৎকালীন সময়ে খুব আলোচিত ও প্রশংসিত হয়। জয়া আহসান অভিনীত অন্যতম সেরা নাটক, সঙ্গে দারুণ ফজলুর রহমান বাবু সমালোচক বিভাগে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পান।

স্বপ্নকুহক (২০১৬): তাঁতী সম্প্রদায়ের জীবন সংগ্রামের চিত্ররুপ এই টেলিফিল্মটি। রওনক হাসান, আফরান নিশো, মৌসুমী হামিদ, মনিরা মিঠুর অভিনয় সমৃদ্ধ এই নাটক সেই বছরের অন্যতম সেরা প্রশংসিত নাটক।

জীবনসঙ্গী (২০১৭): বিয়ের রাতে গ্রামের সহজ সরল ছেলে শুনে তার নববধূ আরেকজনকে ভালোবাসে, তাকে পেতে চায়। স্ত্রীর এই চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি মিলিয়ে দিতে চান সেই প্রেমিকের সাথে, অত:পর খুঁজতে বের হন। এমনই গল্প নিয়ে নির্মিত এই নাটকের অনবদ্য চিত্রনাট্যে আফরান নিশোর অভিনয় এই টেলিফিল্মের অন্যতম প্রাণ। এছাড়া শ্যামল মাওলা, মৌসুমী হামিদ, মনিরা মিঠু সবাই দারুণ অভিনয় করেছেন।

ফুলমতি (২০১৬): গ্রাম্য রাজনীতির নোংরা রূপ এই টেলিফিল্মে মূল বক্তব্য। যার জন্য বাড়ির সাধারণ কাজের মেয়ে থেকে ফুলমতির চেয়ারম্যান হওয়ার গল্পে নাম ভূমিকায় ছিলেন জাকিয়া বারী মম। এছাড়া ছিলেন রওনক হাসান, মনিরা মিঠু। তবে আকর্ষণ হয়ে উঠেন মধু পাগলা চরিত্রটি, এই চরিত্রে আফরান নিশোর অসামান্য অভিনয় দেখিয়ে দিয়েছিল চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার একজন অভিনয় শিল্পী কী কী করতে পারেন। সেইজন্যই আফরান নিশোর ক্যারিয়ারে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

গুলবাহার (২০১৫): গুলবাহার নামক এক কন্যার গল্প।হিন্দু মাঝির সঙ্গে মন দেয়ানেয়া শুরু হলেও বিয়ে হয় মাতব্বরের পাগল ছেলের সঙ্গে। নাম ভূমিকায় তিশার অভিনয়ের পাশাপাশি ছিলেন মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ফজলুর রহমান বাবু, আফরান নিশো ও সদ্য প্রয়াত নিশাত আনোয়ার।

কমলা সুন্দরী (২০১৫): ‘দেশে মোবাইল এসেছে,ইন্টারনেট এসেছে’-গান খ্যাত এই নাটকের গল্প ফুটে উঠেছে কমলা নামক এক তরুণীর, যেখানে সে বাবার সাথে সাথে রাস্তায় গান করে। নাম ভূমিকায় ছিলেন স্বাগতা, এছাড়া হুজুর চরিত্রে আফরান নিশো ও গায়েন বাবার চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবুর অভিনয় সমাদৃত হয়।

এবং অতঃপর (২০১২): মিশনারি হাসপাতালের নার্সের সাথে সখ্য গড়ে উঠে অসুস্থ কম বয়সী এক ছেলের সাথে, কিন্তু ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, যা মোড় নেয় অন্যদিকে। নার্সের চরিত্রে ছিলেন জয়া আহসান, আর ঐ ছেলের চরিত্রে ছিলেন উৎস।

অন্তরালে (২০০৯): পোস্ট মাস্টারের অন্ধ মেয়ে পারুল, তাকে ভালো করার দায়িত্ব নেয় সালাম মাস্টার। কিন্তু এর জন্য পাড়ি দিতে কঠিন পথ। মীর সাব্বিরের প্রযোজনায় এই নাটকে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শিরিন আলম ও মীর সাব্বির।


মন্তব্য করুন