স্কুল খোলার অপেক্ষায় পরী-সিয়াম ও মাহি-রোশান
করোনা পরিস্থিতিতে মার্চ থেকে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখন স্কুল খোলার অপেক্ষায় আছে ঢালিউডের দুই জুটি পরী মনি-সিয়াম আহমেদ ও মাহি-রোশান।
এর মধ্যে স্কুল খুললে প্রথম জুটির ছবি মুক্তি পাবে, অন্যদের অপেক্ষা শুটিংয়ের।
চলতি বছরের মার্চে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ এর শুটিং শুরু হয়েছিলো । ২৫ দিন নায়ক-নায়িকা-নির্মাতা ও কলাকুশলী সদরঘাট থেকে লঞ্চে উঠেছিলেন সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। এই সময়ের মধ্যে ছবির পুরো কাজ শেষ করে ফেরার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু মাঝে করোনা ভাইরাসের কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। তাই বাকি রয়ে যায় ছবির অনেকটুকু কাজ।
অবশেষে সিরাজগঞ্জ গিয়ে শেষ হলো এ ছবির শুটিং। গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে একটি গানের দৃশ্যধারণের মাধ্যমে এর পরিচালক আবু রায়হান জুয়েল ফাইনালি প্যাকআপ ঘোষণা করেন।
নির্মাতা জুয়েল জানান,বর্তমানে চলছে ডাবিংয়ের কাজ। অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে কালার কারেকশন আর আবহসংগীত কাজও।
মুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, ‘জানেন তো কত ঝড়ঝাপটার মধ্যে পুরো কাজটি প্রায় শেষের পথে এনেছি। কিন্তু মুক্তি নিয়ে এখন আছি অনিশ্চয়তার মধ্যে। কারণ, স্কুল না খুললে তো ছবিটি মুক্তি দিতে পারবো না। ছবিটি নির্মাণের পেছনে আমার ও সরকারের একটাই লক্ষ্য, স্কুলশিক্ষার্থীদের কাছে এটিকে পৌঁছানো। সিনেমা হলে তো বটেই, আমরা চাই দেশের প্রতিটি স্কুলশিক্ষার্থীর কাছে ছবিটিকে নিয়ে যেতে। ফলে, কাজ শেষ করলেও আমরা অপেক্ষায় আছি স্কুল খোলার দিকে। সেটি না খোলা পর্যন্ত ছবিটি মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিটি। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন জাকারিয়া সৌখিন।
সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছে বঙ্গ। ছবিতে অভিনয় করছেন এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী সিয়াম আহমেদ ও পরীমনি।এছাড়াও আর অভিনয় করছেন আবু হুরায়রা তানভীর, কচি খন্দকার, আজাদ আবুল কালাম, শহিদুল আলম সাচ্চু প্রমুখ। এছাড়াও ছবিতে অভিনয় করছেন এক ঝাঁক শিশুশিল্পী।
এ দিকে স্কুল খোলার অপেক্ষায় আটকে আছে মাহি ও রোশন অভিনীত চলচ্চিত্রের শুটিং। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল তাদের ‘আশীর্বাদ’ ছবির কাজ। টানা কয়েকটি লটে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত হয়েছে শুটিং। তবে পুরো নভেম্বরে ছবিটির জন্য ক্যামেরা চালু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এর পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।
তিনি বলেন, ‘করোনায় অটিজম স্কুলে ছেলেমেয়েরা আসছে না। তাই আপাতত শুটিং বন্ধ আছে। এটা মাত্র দুই দিনের শুট। কিন্তু আমরা সেটি করতেই পারছি না। তাই এ মাসে এখনো কোনো কাজ হয়নি। ’
জানান, এরপর ডিসেম্বর থেকে আউটডোর শুটিংয়ে মাহি ও রোশানকে নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন মানিক। তারিখ এখন চূড়ান্ত না হলেও আউটডোর শুটের বিষয়টি চূড়ান্ত করা আছে। তবে শীতে যদি করোনার প্রকোপ আরও বাড়ে, তাহলে স্কুল খোলার বিষয়টি আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ঝুলে যেতে পারে।
পরিচালক বলেন, ‘আউটডোরটা শেষ করে অটিজম শিশুদের অংশ ধরবো। কিংবা দেখি অন্য কোনো উপায় বের করা যায় কিনা!’
সেপ্টেম্বর মাসে সূত্রাপুরে দু’দিনের কাজ দিয়ে শুটিং শুরু হয় ছবিটির। এতে অংশ নেন মাহি, রোশান, কাজী হায়াতসহ অনেকে। ছবিতে মাহির নাম সুবর্ণা আর রোশান হলেন আসাদ। পরিচালক জানান, গল্পটা সত্তর দশকের। ছবিতে মুক্তিযুদ্ধ ও অটিজম শিশুর বিষয়টি উঠে আসবে।
২০১৯-২০ সালের সরকারি অনুদানে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে তৈরি হচ্ছে ‘আশীর্বাদ’। এর প্রযোজনার পাশাপাশি কাহিনি ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন জেনিফার ফেরদৌস।