স-তে সুড়ঙ্গ, ছ-তে ছবি
একটা সুড়ঙ্গ। একটা সংসার। একটা স্বপ্ন নাকি দুঃস্বপ্ন!
সংসার দিয়ে শুরুটা। ছেলেটির মন ভালোবাসায় ভরা। মেয়েটিরও কি তাই! ভালোবাসা দেয়া কখনো সহজ হলেও পাওয়া সহজ নয়। একজনের ভালোবাসা আর একজনের এটা দাও ওটা দাও!
আরো এক বিপন্ন-বিস্ময় আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে খেলা করে!
জীবনানন্দ দাশ বলেছেন কবিতায়, বাস্তবটা আরও কঠিন যদি তার দেখা কেউ পায়। বিপন্ন বিস্ময়ে নারী যেন এক আশ্চর্য রহস্য!
রহস্যময় নারীর চাওয়া পূরণে মাসুদ কি না করে! তার ভালোটা কেউ দেখে না, খারাপটা নিয়ে সমাজ বলে ‘ভালো হয়ে যাও মাসুদ!’
সুড়ঙ্গ খুঁড়ল মাসুদ তারপর চোখে নেশা জাগল বড় হবার। বড় হতে পারবে কি! নাকি অন্য কারো স্বপ্নের পারদ তার হাতে! জীবনে তৃতীয় পক্ষ বড় ভয়ঙ্কর!
একস্থান থেকে আরেকস্থান, বিপদের পর বিপদ কিন্তু মাথার ভেতর কেবলই সুড়ঙ্গ! ‘সুড়ঙ্গ মাসুদ’ নাম নিয়ে নিল সে। একের পর এক অন্য হিরোইজম যেন।
কয়টা সুড়ঙ্গের কথা জানে দর্শক! একটা নাকি দুইটা নাকি আরো! ছবি দেখে জেনে নেওয়া ভালো। টুইস্ট তো ভালোই আছে।
শেষটা? প্রকৃতির বিচার নাকি কর্মফল নাকি অন্যকিছু! সময় নাকি কথা বলে এ ছবিতেও বলেছে কারো জন্য! এটাও ছবি দেখে জানা ভালো। ছবির শুরুটা যেমন শেষটা হতে হতে দর্শক ভাববে কতকিছু ঘটে গেল!
রোমান্স, কমেডি, স্যাড সব ব্যালেন্সড গল্পে। বিজিএম! সুড়ঙ্গের ভেতরের ক্যামেরা যেন একটা হরর ফিল!
নিশো আর তার অভিনয়! অনেকদিন ফিল্মে থাকার মতোই দেখিয়ে দিল। তমা মির্জা? রহস্যে ঘেরা নারী কিছু কিছু জায়গায় যেন নায়কের থেকেও জটিল। অন্যরাও স্বাভাবিক।
‘স-তে সুড়ঙ্গ’
‘ছ-তে ছবি’
ছবির মতো ছবি।
রেটিং: ৮/১০