Select Page

হচ্ছে না ‘না মানুষ’

হচ্ছে না ‘না মানুষ’

Na-Manush0320131002024021২০১১ সালের ১৭ ডিসেম্বর ‘না মানুষ’র শুটিং শুরু করেছিলেন অনিমেষ আইচ। কিন্তু এ ছবির কাজ এখনো শেষ হয়নি। শহীদুল জহিরের গল্প আর অনিমেষের নির্মাণের কারণে অনেকেই অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন  ছবিটি নিয়ে। কিন্তু প্রযোজক জানালেন ছবিটি হচ্ছে না।

ছবিটির প্রযোজক মনজুর এহসান চৌধুরী। তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রথমে অন্য একটি ছবি নির্মাণের বিষয়ে কথা বলেন অনিমেষের সাথে। সে ছবির নাম ‘লাইন’। কিন্তু যে প্রজেক্টে খরচ বেশি হবে জেনে ‘না মানুষ’এ আসা। কিন্তু সেই বাজেটের কারণেই নির্মাণ বন্ধ হলো ‘না মানুষ’র।

তিনি জানান, আমি যখন তাকে ছবির বাজেট দিতে বলি, সে আমাকে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার বাজেট দেয়। আমি বলি এত টাকা দিয়ে আমি ছবি বানাবো না। এরপর আর তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। সে একদিন আমাকে বললো, আমার কাছে একটা ভালো স্ক্রীপ্ট আছে, শহীদুল জহিরের গল্প নিয়ে আমি স্ক্রীপ্টটা করেছি, চলেন এ ছবিটা বানাই। একটা এক্সপেরিমেন্টাল কাজ হবে। বাজেটও বেশি লাগবে না। অনিমেষ আমাকে এক কোটি টাকা দিলেই হবে বলে জানায়। আমি রাজি হই ছবিটি প্রডিউস করতে। ছবির কাজ শুরু হলো, সব হল, টাকা খরচ করতে করতে বাজেট গিয়ে দাঁড়ালো ১ কোটি ৮০ লাখ।

তখন টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিই আমি। যে ছবি সে এক কোটি টাকা দিয়ে বানাবে বলে আমাকে রাজি করিয়েছে, সে ছবির ৭০ ভাগ কাজ না করতেই তার খরচ হয় ১ কোটি ৮০ লাখ। আমি তখন হিসাব করে দেখলাম এ ছবি শেষ করতে হলে আমাকে আরো ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। এখন কথা হচ্ছে আমি ৩ কোটি টাকা দিয়ে ছবি বানিয়ে কয় টাকা লাভ করবো। লাভ তো হবেই না বরং পুরো টাকাই লস। নতুন করে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা লস করার কী দরকার— এ ভেবে আমি আমার ছবির সমস্ত ফুটেজ ও কাঁচা ফিল্ম নিয়ে নিই। সবমিলে আমার ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা নষ্ট করেছে অনিমেষ। আরো টাকা খরচ হয়েছে আমার সেগুলোর হিসাব নেই। আমি আর লস বাড়াতে চাই না। এ ছবির আর কোনো ভবিষ্যত নেই। আমি জানি কোন দিন এ ছবি আলোর মুখ দেখবে কি না”।

তিনি আরো জানান, অনিমেষ আইচ বেহিসাবে টাকা খরচ করেছেন এ ছবিতে। যাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার দরকার তাকে দিয়েছেন ৩ লাখ টাকা। এখনো ছবির এডিটিং, মিউজিক, কালার গ্রেডিং, এবং শুটিং সহ আরো অনেক কাজ বাকী আছে।

এ বিষয়ে কথা হয় নির্মাতা অনিমেষ আইচ বলেন, “আমি আসলে এ ছবি বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। নতুন করে কোনো ঝামেলা তৈরি করার ইচ্ছে নেই। একটি ভালো ছবির জন্য ভালো বাজেট দরকার হয়। আমি যা করেছি ছবিটির ভালোর জন্য করেছি। আর আমার নিজের হাতে কোন টাকা খরচ করিনি। সব টাকা প্রযোজকের নিয়োগপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক ও প্রযোজকের স্ত্রীর হাতেই খরচ হয়েছে। আমি শুধু আমার চাহিদা জানিয়ে দিয়েছি। যে টাকা খরচ হয়েছে সব টাকা ছবিতেই খরচ হয়েছে। কোন টাকা অপচয় করা হয়নি। আমি চাই ছবিটা মুক্তি পাক। ছবিটা নিয়ে আমার কষ্ট বেশি ওনার থেকে।”

সূত্র: বাংলা নিউজ ২৪.কম


মন্তব্য করুন