হঠাৎ ঢাকা ছাড়লেন শাবনূর
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ঢাকায় এসেছিলেন শাবনূর। এবারের যাত্রায় কয়েক মাস থাকার ইচ্ছাও ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনদিন আগে শাবনূর ঢাকা ছেড়েছেন।
এবারের যাত্রায় শাবনূর কিছু নতুন কাজের পরিকল্পনাও করেছিলেন। হঠাৎ তার এভাবে চলে যাওয়ায় সব পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত হয়ে গেছে।
শাবনূরের মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখন সে ঢাকায় এসেছিল, তখন বলেছিল এবার কয়েক মাস ঢাকায় থাকবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় হঠাৎ করে জরুরি কিছু কাজ পড়ে যাওয়ায় তাড়াতাড়ি চলে যেতে হয়েছে। তা ছাড়া এবার দেশে আসার পর ওর বাচ্চাটার শরীরও ভালো যাচ্ছিল না।’
এদিকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় সম্প্রতি শাবনূর বলেন, ‘চলচ্চিত্রের বর্তমান দৈন্যদশা দেখলে মনটা গুমড়ে কেঁদে উঠে। নব্বই দশক পর্যন্ত আমাদের এই শিল্পের কী যে রমরমা অবস্থা ছিল তা এখন ভাবাই যায় না। এখন কোনটি সিনেমা আর কোনটি নাটক নির্মাণ হচ্ছে তা বোঝা দায়। খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকাররা এখন আর নির্মাণে নেই। আগে অনেক শিল্পী ছিলেন। তাদের ছবি রীতিমতো প্রতিযোগিতা দিয়ে ব্যবসা সফল হতো। এখন তেমন শিল্পী কোথায়? সিনেমাহল উদ্বেগজনক হারে কমছে। নামি-দামি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে কী একদিন দেশের সবচেয়ে বড় এই গণমাধ্যমটি হারিয়ে যাবে?’
আবার কখন নিয়মিত ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন? এমন প্রশ্নে দীর্ঘশ্বাস ফেলে শাবনূর বলেন, নিয়মিত অভিনয় করে তো যেতেই চাই। কিন্তু, মানসম্মত গল্প, নির্মাতা আর ছবি কোথায়? ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন বহুদিন আগে। এর খবর কী? দৃঢ় প্রত্যয়ী কণ্ঠে শাবনূর বলেন, ‘এখনো চাই নির্মাণে আসতে। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ তো দরকার। সব ঠিকঠাক হলে অবশ্যই নির্মাণ করব। গল্প থেকে শুরু করে সবই তো চূড়ান্ত করে রেখেছি। হয়তো চলতি বছরেই কাজ শুরু করব।’
ঘন ঘন অস্ট্রেলিয়া চলে যাওয়ার কারণে অনেক ছবির কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে এমন অভিযোগ অনেক নির্মাতার। এমন প্রশ্নে শাবনূর বলেন, “আসলে যে কয়টি ছবির কাজ শেষ হচ্ছে না সেগুলো তো প্রযোজকের সমস্যার কারণেই হচ্ছে না। যেমন ‘স্বপ্নের বিদেশ’, ‘অবুঝ ভালোবাসা’ ইত্যাদি। গত বছর তো প্রয়াত এম এম সরকারের একটি অসমাপ্ত ছবির কাজ শেষ করে দিলাম। এখানে আমার দোষ কোথায় বলুন? আপনি যেহেতু অস্ট্রেলিয়ারও নাগরিক, তাই আবারও সহসা সেখানে ফিরে যেতে হচ্ছে তাই না?”