Select Page

‘হাত ধরা’ নিয়ে আপত্তি, শুটিং শেষ না করেই কলকাতায় সায়ন্তিকা

‘হাত ধরা’ নিয়ে আপত্তি, শুটিং শেষ না করেই কলকাতায় সায়ন্তিকা

জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা ব্যানার্জি জুটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ও সত্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল। স্বীকার-অস্বীকারের মাঝে দুজন তাজু কামরুলের ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিংও করেন। এরপর নায়িকা কলকাতা ফেরার জন্য অন্য একটি সিনেমার জন্য বিমানবন্দরে চুক্তিবদ্ধও হন। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, নৃত্য পরিচালক মাইকেলের অধীনে কাজ করবেন না বলেই শুটিং শেষ না করে ঢাকা ছেড়েছেন তিনি। খবর আজকের পত্রিকা।

‘ছায়াবাজ’-এর শুটিং করতে গত ৩০ আগস্ট ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। সেদিন বিকেলেই জায়েদ খানের সঙ্গে শুটিং করতে চলে যান কক্সবাজারে। কথা ছিল ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুটিং করার। গান দিয়ে শুরু হয় কাজ। নির্বিঘ্নেই শেষ হয় প্রথম গানের শুটিং। দ্বিতীয় গানের শুটিং চলাকালীন হঠাৎ করেই সায়ন্তিকা অভিযোগ করেন নৃত্য পরিচালক মাইকেলের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, পরিবর্তন করতে হবে নৃত্য পরিচালক, অন্যথায় কাজ করবেন না তিনি। কিন্তু মাইকেলকে দিয়েই কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত জানান প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। তাই, শুটিং না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে কলকাতায় ফিরে যান সায়ন্তিকা।

এ বিষয়ে জানতে নির্মাতা তাজু কামরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি। তবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রযোজক ও নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নৃত্য পরিচালক মাইকেল বলেন, ‘প্রথম গানের শুটিং শেষ করে দ্বিতীয় গানের শুটিং করছিলাম আমরা। নাচের স্টেপ দেখানোর জন্য সায়ন্তিকার হাত ধরতেই তিনি বলেন, হাত ধরো না, মুখে বুঝিয়ে দাও। আমি কথা না বাড়িয়ে সেভাবেই তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এ নিয়ে আমার সঙ্গে তার কোনো তর্কবিতর্কও হয়নি। কাজ শেষে পরিচালক ও প্রযোজককে সায়ন্তিকা জানান, আমি থাকলে তিনি কাজ করবেন না। পরদিন স্পটে এসে গাড়ি থেকেই নামতে চাইছিলেন না তিনি। পরিচালক আমাকে বুঝিয়ে বললে আমি মনিটরে বসে ছিলাম। পরিচালক আমার সঙ্গে কথা বলে বলে দৃশ্যগুলোর শুটিং করেন। রাতে পরিচালক ও প্রযোজক সায়ন্তিকাকে জানান, আমার সঙ্গেই বাকি কাজ করতে হবে। পরদিন সকালে সায়ন্তিকা চলে যান। আমাদের ১২ তারিখ পর্যন্ত শুটিং করার কথা থাকলেও ৭ তারিখেই প্যাকআপ করে চলে আসতে হয়। আমার সঙ্গে সায়ন্তিকার কী সমস্যা বুঝতে পারছি না। তার সঙ্গে আগে কখনো কাজ হয়নি। এমনকি এই প্রথম তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে।’

প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বিতীয় গানের শুটিংয়ের সময় সায়ন্তিকা অভিযোগ জানান, নৃত্য পরিচালক মাইকেল নাকি তার হাত ধরেছেন। সিনেমা থেকে মাইকেলকে বাদ না দিলে তিনি কাজ করবেন না। খোঁজ নিয়ে জানলাম, মাইকেলের দোষ নেই। কাজের স্বার্থেই সায়ন্তিকার হাত ধরেছিলেন তিনি। তাই, সায়ন্তিকাকে জানালাম মাইকেলের সঙ্গেই তাকে কাজ করতে হবে। না হলে কাজ করার প্রয়োজন নেই। পরদিন সকালে সায়ন্তিকা সেট ছেড়ে চলে যান। আমি আমার কথায় এখনো অনড়। কাজ করতে হলে মাইকেলের সঙ্গেই করতে হবে। আমার দেশের শিল্পীদের ছোট করে আমি কোনো কাজ করতে চাই না। এতে আমার ক্ষতি হলেও সমস্যা নেই।’

সায়ন্তিকা না এলে অন্য নায়িকা নিয়ে কাজটি করা হবে কি না, জানতে চাইলে প্রযোজক জানান, সায়ন্তিকা যদি মাইকেলের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে রাজি হন, তাহলে আবার শুরু হবে কাজ। অন্যথায় নয়। অন্য কাউকে নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তা করছি না। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে নায়ক-নায়িকা পরিবর্তন করে সিনেমার কাজ করতেও পারি।’

তবে সায়ন্তিকার চলে যাওয়ার বিষয়টি গুজব বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নায়ক জায়েদ খান। একটি চক্র ইচ্ছা করেই এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে বলে জানান তিনি।


Leave a reply