১১ বছর বন্ধ থাকার পর রাজশাহীতে চালু ‘রাজ তিলক’
চার বছর রাজশাহীতে ছিলো না কোনো প্রেক্ষাগৃহে …
২০১২ সালে ‘কমন জেন্ডার’ চলাকালে রাজশাহী শহরের অদূরে পবার কাটাখালী বাজারের রাজ তিলক হলটি বন্ধ হয়ে যায়। ১১ বছর পর সেটি নতুন করে চালু হলো। কয়েক মাস আগে স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখা চালু না হওয়া পর্যন্ত এই শহরে ছিল না কোনো প্রেক্ষাগৃহ।
এক দশক আগে রাজ তিলকের হাতবদল হয়। কিন্তু নানা কারণে প্রদর্শিত হয়নি ছবি। এবারের উদ্যোগটি নিয়েছেন চলচ্চিত্রের প্রোডাকশন ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন সাগর। গত বছরের অক্টোবর থেকে হলটি সংস্কারে টানা কাজ করেছেন তিনি।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে ‘হাওয়া’ সিনেমার মাধ্যমে হলটি অনুষ্ঠনিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। প্রথম দিন দর্শকের উপস্থিতি কম ছিল। তবে হল চালুর খবর আরও জানাজানি হলে দর্শক বাড়ার প্রত্যাশা হল মালিকের।
সাজ্জাদ হোসেন সাগর বলেন, ‘দীর্ঘ ১১ বছর পরে সিনেমা হলটি চালু হওয়ায় রাজশাহীবাসীর বিনোদনের নতুন দুয়ার খুলেছে। এই সিনেমা হলটি চালু করা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। হলটি চালু করতে নতুন করে আবার কাগজপত্র করতে হয়েছে। একই সাথে নতুন করে সংস্কার ও সাজসজ্জার কাজ করতে হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে তিন থেকে চার মাস কাজ করে হলটি চালুর উপযোগী করা হয়।’
টিকিট ক্লাস থাকবে তিনটি—রিয়াল স্টল, ডিসি সার্কেল ও আপার ক্লাস। দাম যথাক্রমে ৭০, ১০০ ও ১৫০ টাকা। হলটিতে একসঙ্গে পাঁচ শতাধিক দর্শক সিনেমা দেখতে পারবেন।
রাজশাহী শহরের শেষ সিনেমা হলটি বন্ধ হয়ে যায় ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর। এরপর বন্ধ হয় পবা উপজেলার বাবুল হল। পুরো রাজশাহী জেলা হয়ে পড়ে সিনেমা হলশূন্য। এখন রয়েছে দুটি হল- স্টার সিনেপ্লেক্স ও রাজ তিলক।
১৯৯৮ সাল থেকে হলটির সঙ্গে আছেন আক্কাস আলী। তিনি এই হলের গেটম্যান হিসেবে কাজ করেছেন। এবারও হলটির নানা কাজ করছেন। তবে এখনো নির্দিষ্ট দায়িত্ব বুঝে পাননি। সিনেমা হলটির ইতিহাস নিয়ে তিনি বলেন, নওগাঁর আজিজ খান নামের এক ব্যক্তি হলটি নির্মাণ করেছিলেন। পরে ঢাকার শহিদুল হক সিকদার নামের এক ব্যক্তি হলটি কিনে নেন। তার কাছ থেকে হলটি কিনে নেন রাজশাহীর রানা ও দুলু নামের দুই ভাই। তাদের কাছ থেকে আনোয়ারুল হক নামের আরেকজন হলটি কিনে নেন। সর্বশেষ ২০১২ সালে ‘কমন জেন্ডার’ সিনেমা চলাকালে হলটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুম্মান আলী হলটি কিনে নেন। এরপর আর হলটি চালু হয়নি।
সূত্র/ প্রথম আলো ও ঢাকা পোস্ট