Select Page

‌‘পাইরেসি আর টিকেট চুরি আটকানোই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা’

‌‘পাইরেসি আর টিকেট চুরি আটকানোই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা’

আয়নাবাজি’। সাম্প্রতিক বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি আলোচিত নাম। শুধু দেশে-বিদেশে প্রশংসিতই হয়নি, বিদেশি ভাষায় রিমেকও আছে। টানা হাউসফুল হয়েছে দেশের প্রেক্ষাগৃহে। তা সত্ত্বেও ঢালিউডের নানা অব্যবস্থাপনার কারণে প্রযোজক প্রায় কোটিখানেক টাকা পান হল মালিকদের কাছে। এর মধ্যে দিয়ে উঠে আসে ‘অস্থায়ী প্রযোজক’ হওয়ার যন্ত্রণা।

সম্প্রতি এ নিয়ে সিনেমাটির পরিচালক অমিতাভ রেজার মুখোমুখি হই। সেখান তার থেকে জানা যায় কিছু তথ্য—

আয়নাবাজি মুক্তিতে কী কী প্রতিবন্ধতার শিকার হয়েছেন?

বাংলাদেশে সিনেমা নির্মাণের পুরো পক্রিয়াটাই কঠিন। ‘আয়নাবাজি’তে কাকরাইল পাড়া থেকে পূর্ণ সহযোগিতাই আমরা পাই বলা যায়। বিশেষ করে খসরু ভাই, ইকবাল ভাই (প্রযোজক ও পরিবেশক নেতা) আমাদের প্রাথমিক সব সহযোগিতা করে।

বাংলাদেশের সিনে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যসত্ত্বভোগীরা কীভাবে সমস্যা ক্রিয়েট করেছে?

মধ্যসত্ত্বভোগী কারা সেটা আমার জানা নাই। সেটা গাউসুল আজম শাওন (আয়নাবাজির প্রযোজক) ভালো বলতে পারবে। প্রাথমিকভাবে হলে আমাদের লোক নিয়োগ ছিল। এই লোক নিয়োগে বিশাল খরচ হয়। পাইরেসি আর টিকেট চুরি আটকানোর জন্য প্রযোজক থেকে লোক নিয়োগই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বলে আমার মনে হয়।

আয়নাবাজির বাজেট কত ছিল? তা কি বক্স অফিস থেকে উঠে এসেছে?

‘আয়নাবাজি’ নির্মাণের খরচ ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। বক্স অফিসের সঠিক আয় আমাদের প্রয়োজনা অফিস টপ অফ মাইন্ড বলতে পারবে, আমার কাছে পূর্ণ হিসাব নাই। তবে সঠিক কতগুলো টিকিট বিক্রি হয়েছে সেটা সেখান থেকে জানা যাবে।

ছবিটি করে আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলেছেন। কেন? এটি তো সিনেমা হলে অনেক মাস চলেছে টানা।

একটা সিনেমা নির্মাণ করতে এক/দুই বছর সময় লাগে। ‘আয়নাবাজি’তে ১৫ ভাগ খরচ আমি নিজেই করেছি, যেহেতু আমাদের সিনেমা পুঁজি অস্থায়ী তাই শেষ মুহূর্তেও হল থেকে শেষ কালেকশন আমরা করতে পারি নাই। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ হল মালিকদের কাছে আছে যা কালেকশন করা যাচ্ছে না যেহেতু আমাদের প্রযোজক নিয়মিত না।

আমি এক বছর কাজ না করে আমার ব্যক্তিগত উপার্জন, আমার কোম্পানি বিশাল দেনার স্বীকার হয়, যা পুরণ করতে আমাকে আবার নিয়মিত উপার্জন বিজ্ঞাপনে মনোযোগও হতে হয়। যার কারণে পরবর্তী সিনেমা নির্মাণে ভয় কাজ করে।

তারপরও বাংলা সিনেমার সম্ভবনা অপার, সেই ভরসায়্ আবার মেতে উঠবো আলো ছায়া, হল মালিক আর বক্স অফিসের খেলায়।


মন্তব্য করুন