ববিতা ও রজতাভ দত্তের একই অভিযোগ
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পায় ঢাকার দেওয়ান নাজমুল ও কলকাতার স্বপন সাহা পরিচালিত ‘সীমারেখা’। সিনেমাটি নিয়ে ববিতার বক্তব্য সে সময় আলোড়ন তোলে। এ অভিনেত্রী জানান, চুক্তির শুরুতে তাকে জানানো হয়নি এটি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা। এবার দেড় বছর পর একই কথা বলবেন কলকাতার অভিনেতা রজতাভ দত্ত।
ওই সময় সংবাদমাধ্যমকে ববিতা জানান, এই ছবির একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বছর তিনেক আগে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। প্রায় ৫০ শতাংশ শুটিং করার পর জানতে পারেন ছবিটি যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে। পরিচালকের কাছে এর সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ছবিটি যৌথ প্রযোজনার নয় জানিয়ে আশ্বস্ত করেন।
তিনি আরো ববিতা বলেন, “সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’-এর পর মুম্বাই ও কলকাতা থেকে অসংখ্য ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। অগ্রদূত, মৃণাল সেনের মতো পরিচালকরা আমাকে নিয়ে ছবি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমি চেয়েছি ‘অশনি সংকেত’-এর অর্জনটাই সারা জীবনের জন্য তোলা থাক। ভারতের আর কোনো ছবি করব না। অথচ শেষ পর্যন্ত আমাকে বোকা বানালেন একজন নামসর্বস্ব পরিচালক! আমি আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না। হয়তো অচিরেই অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিতে হবে। নইলে যেটুকু সম্মান আছে, তাও যাবে।”
এ দিকে সোমবার ‘আশিকী’ সিনেমার পোস্টার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রজতাভ দত্ত। শুভেচ্ছা বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি জানান, ‘আশিকি’ বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনার প্রথম ছবি। আর ‘অঙ্গার’ ছবির জন্য এবারই প্রথম বাংলাদেশে আসা।
তখন এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল ‘আশিকী’ যদি তার যৌথ প্রযোজনার প্রথম ছবি হয় তাহলে দেওয়ান নাজমুল ও স্বপন সাহা পরিচালিত ‘সীমারেখা’ ছবিটি কি? উত্তরে রজতাভ দত্ত বলেন, আমি যখন ‘সীমারেখা’ ছবিতে অভিনয় করি তখন জানতাম না এটা যৌথ প্রযোজনার ছবি। আমার টালিগঞ্জের স্বনামধন্য পরিচালক স্বপন সাহা আমাকে ‘সীমারেখা’ ছবির জন্য অফার করেন। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন স্বপন সাহার বিরাট একটা ভূমিকা আছে। আমি তার ছবি বলেই ‘সীমারেখা’য় অভিনয় করি। গল্প, চিত্রনাট্য, চরিত্র কিছুই দেখিনি। যদি জানতাম যৌথ প্রযোজনার ছবি তাহলে করতাম কিনা সন্দেহ। যদি জেনে করতাম তাহলেও ‘আশিকী’ হতো আমার যৌথ প্রযোজনার প্রথম ছবি।