Select Page

মুক্তিপ্রতিক্ষীত ছবি নিয়ে নিন্দামুখর পিয়া

মুক্তিপ্রতিক্ষীত ছবি নিয়ে নিন্দামুখর পিয়া

Pyea talks about Story of Samaraসাধারনত চলচ্চিত্র মুক্তির আগে সে ছবির অভিনয় শিল্পীদের ছবি নিয়ে বেশ উৎসাহিত দেখা যায়। তারা নিজের ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে থাকেন। কিন্তু এবার যেন সম্পুর্ন উলটো ঘটনা ঘটল।

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে পিয়া অভিনীত নতুন চলচ্চিত্র ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’। রিকিয়া মাসুদো পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। ছবিটি সমন্ধে প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘কী যে ভুল করেছি, “দ্য স্টোরি অব সামারা” ছবিতে অভিনয় করে! ছবিটির জন্য পদে পদে আমাকে পস্তাতে হচ্ছে। মানসিক যন্ত্রণার মধ্যেও আছি—বলতে পারেন। কাউকে ছবিটি নিয়ে কিছু বলতেও পারছি না।

দ্য স্টোরি অব সামারা” মুক্তির আগেই আলোচনায় আসে। হরর এবং সাই ফাই জনরাতে নির্মিত এই ছবিটি নিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রদের দর্শকেরা বেশ আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু যখন ট্রেলার রিলিজ করল তখন সোশ্যাল মিডিয়া এ ছবির বন্দনায় ভরে গেল। অধিকাংশ দর্শকই ট্রেলার দেখে হতাশ হয়েছেন ।

আর ঠিক এ সময়ে পিয়ার এই মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে। ছবি মুক্তির আগ মুহূর্তে যেখানে ছবির অভিনয়শিল্পীর খুশি থাকার কথা, কিন্তু পিয়া বলেন ‘অন্যদের মতো আমি রেখেঢেকে কথা বলি না। যা বলি, স্পষ্ট বলার চেষ্টা করি। কথা হচ্ছে, প্রথমদিকে যখন “দ্য স্টোরি অব সামারা” ছবির পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন খুব ভালো লাগেছিল। মনে হয়েছে, ভালো কিছু একটা বানাবে। কাজ করতে গিয়ে পরে দেখি, কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই। বলতে পারেন সম্পূর্ণ উল্টো। তিনি আমাকে কিছু কাজ দেখিয়েছিলেনও।’

প্রযোজকের গার্লফ্রেন্ড হচ্ছে “দ্য স্টোরি অব সামারা” ছবির একজন নায়িকা। সেই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। ছবির ফেসবুক পেজটাও সে চালায়। সে নিজের সব ছবি দেয়। তার মানে, নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আর এসব কারনেই ছবিটি নষ্ট হয়েছে বলে পিয়া মনে করেন।

আর এসব কিছু পিয়া জানতই না। শুরুতে তো সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। আস্তে আস্তে আসল ঘটনা পরিষ্কার হতে থাকল। যখন পিয়ার কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেল , তখন ছবির কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সেই অবস্থায় ছবির কাজ ছেড়ে দেওয়ার মতো অবস্থাটা পিয়ার ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে কাজটা শেষ করতে হয়েছে তাকে।

ভারটেক্স ফিল্মস প্রযোজিত দ্য স্টোরি অফ সামারা তে অভিনয় করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, শিবা আলী খান, সন্জু সনজ, প্রসুন আজাদ এবং আমান খান। ছবিটির অনেক অংশে ভিজ্যুয়াল এফেক্টস প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ছবিটি তৈরী করতে সর্বমোট ৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

আর এ সবকিছু স্বার্থক হবে যখন ছবিটি মানুষের ভালো লাগবে। যদিও ফলাফল দেখার জন্য খুব বেশীদিন অপেক্ষা করতে হবে না। এ মাসের ১৮ তারিখ সারাদেশে মুক্তি পাবে দ্য স্টোরি অফ সামারা।

ছবিটি কেমন হবে? জানতে চাইলে পিয়া বলেন, ‘হয় সুপারহিট, না হয় সুপার ফ্লপ। একটু অন্য ধরনের। দর্শক গ্রহণ করতেও পারে, আবার নাও পারে।’


Leave a reply