মান্নার নাম মুছে ফেলায় ক্ষোভ
শক্তিমান অভিনেতা মান্না মারা যান ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। তার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এফডিসিতে নির্মিত ডিজিটাল সাউন্ড কমপ্লেক্সের নামকরণ করা হয় ‘মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স’। এ শিরোনামে একটি নামফলকও স্থাপন করা হয়। কিন্তু শুক্রবার জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে ভবনটির উদ্বোধনকালে মান্নার নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি মান্নার নামে যে নাম ফলকটি ছিলো তাও মুছে ফেলা হয়েছে।
৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এফডিসিতে উদ্ধোধন করা হয় শুধু ডিজিটাল কমপ্লেক্স।
এ বিষয়ে মান্নার স্ত্রী শেলী বাংলামেইলকে বলেন, ‘এফডিসি কাদের জন্য? শিল্পীদের বাদ দিয়ে এফডিসির কোন পরিচয় আছে? আইনের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য আইন। শিল্পীকে যদি অসম্মান করা হয় তাহলে তো পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গনকেই অসম্মান করা হয়।একটি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে শিল্পীরা।শিল্পীদের জন্যইতো এফডিসি।এ ব্যপারে কি এফডিসির কিছুই করার ছিল না? তাহলে এফডিসির পরিচয় কি?যদি কোন ফাঁকফোকড় থাকে তাহলে আগেই তা পূরণ করা দরকার ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘মান্নার মত একজন অভিনেতার নামের স্মৃতিফলকটি খুলে ফেলার পরে এখন আবার তার নাম বাদ দিয়ে আরেকটি স্মৃতি ফলক উন্মোচন করা হলো, যা লজ্জার একটি বিষয়। মান্নার এ স্মৃতিফলকের বিষয়ে এফডিসির যারা সংশ্লিষ্ট তারা এ বিষয়টিকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে এনে মান্নার প্রতি সম্মান জানায় তাহলে তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ থাকব। ’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘মান্নার নামটি বাদ দেওয়া পুরোপুরি সরকারি একটি সিদ্ধান্ত। এজন্য আমরা অনেক ব্যথিত হয়েছি। এছাড়া আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে
চিত্রনায়ক ওমর সানি বলেন, ‘আমি যদি বিষয়টি আগে জানতাম, তাহলে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে পারফরম্যান্স করতাম না। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান, সেহেতু আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। তবে আমার মনে হয়, মান্নার মতো আপাদমস্তক চলচ্চিত্রপ্রেমী একজন শিল্পীর নাম মুছে ফেলার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানেন না। তিনি জানলে এফডিসি কর্তারা এমনটি করার সাহস পেতেন না।’