অস্তিত্ব নকল নয়, প্রতিবাদ করল দর্শকই
বলা হচ্ছে অনন্য মামুন কলকাতার ‘ফোর্স’ নকল করে নির্মাণ করেছেন ‘অস্তিত্ব’। এ নিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে ফেসবুক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে। এমন অভিযোগ অনন্য অস্বীকার করলেও ঝড় থেমে নেই। এবার তার পক্ষ নিলেন দর্শকরা। তারা বলছেন থিম মিল থাকলেই সিনেমা নকল হয় না।
‘অস্তিত্ব’ মুক্তির প্রথমদিনেই নিজের ভাল না লাগার কথা জানান আবদুল্লাহ আল মানি। নকল বলার প্রতিবাদে ফেসবুকে সোমবার রাতে তিনি লেখেন, ‘এবার কাজের কথায় আসি, ‘অস্তিত্ব” নামের মুভিটি নাকি ফোর্সের নকল। আপনারা আবার কেঊ আমার মত ভেবে বসবেন না জন আব্রাহামের ফোর্সের নকল। প্রসেনজিৎ এর ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফোর্স মুভির নকল। আমি হেসেছি কেন জানেন? যিনি এই নকলের অভিযোগ করেছেন তিনি নিজেই জানেন না প্রসেনজিৎ এর ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফোর্স মুভিটি, ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল মুভি হরিদাসের নকল ছিলো। তিনি নকল বললে বলতে পারতেন এই হরিদাসের কথা, কারন এই মুভিটি তো আসল উৎস। আসলে উনার মুভি জ্ঞান নিয়ে আমি সেই মানের খুশি। পুরো ফ্যান (পাংখা) হয়ে গেছি।
এবার আসি, নকল কাকে বলে? মুভিতে নকল মানে হল সীন টু সীন কাট কপি পেস্ট করাকে বলে। আর মুভির থিম নিয়ে বানানো হলে তাকে নকল বলা হয় না। তাহলে জগতের সব মুভি নকল। কারণ রোমান্টিক মুভির থিমে কি থাকে? ভালোবাসা থাকে নিশ্চয় সরিষার তেল দিয়ে ইলিশ ভাজা থিমে থাকে না।
তাহলে কি দ্য নোটবুক, টাইটানিক, ডিডিএলজে, ভির জারা, চাওয়া থেকে পাওয়া, দ্যা ক্লাসিক, এ মোমেন্ট টু রিমেম্বার, ইদুকান্তে প্রেমান্তা, প্রেমাম, আনারকলি এইসব মুভিগুলো নকল। কারণ থিম হল ভালোবাসা, আর ভালোবাসার মুভিতে এন্ডিং হয় স্যাড নাহলে হ্যাপি।’
দীর্ঘ ওই পোস্টের শেষ দিকে লেখেনে, ‘অস্তিত্ব মুভিতেও তাই অটিজম কে কেন্দ্র করেছে আর সে ভালো দৌড়াতে পারে এই যা। মুভির এন্ডিং আর মাঝে যা আছে তা তো সব ভিন্ন। তাহলে এখন আমি বলব শাকিব খানের পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২, আমিরের লগন মুভির নকল। কারণ থিম হিসাবে ক্রিকেট আর মুভির শেষে আমির জিতে যায় এখনেও শাকিব জিতে যায়। পুরাই ভোগাস।
শোনেন এইসব ভুলভাল তথ্য বলে পাবলিক হয়রানি না করাই বেটার। ফোর্স কার নকল সেটা না জেনেই প্রচার করা হচ্ছে এইটা ফোর্সের নকল। আমি নিজে বলছি অস্তিত্ব নকল মুভি না, অস্তিত্ব নকল মুভি হলে অটিজম নিয়ে করা সব মুভি নকল কারন থিম এক। আগে নিজের মুভি জ্ঞান ভালো করুণ, দেশ বিদেশের মুভি দেখা শুরু করুণ। ঠিকঠাক তথ্য আনুন তারপর বলতে আসবেন এইটা নকল।’
আরেক পোস্টে আহমেদ অরিত্র লেখেন, “প্রসেনজিৎ – এর ফোর্স মুভিটা কেউ কি দেখেছে? যারা অস্তিত্ব মুভিকে ফোর্সের কপি বলছে। আর কপি সিনেমা কারে বলে? কপি হলো দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘ভালবাসা জিন্দাবাদ’ শাকিবের ‘তোর কারণে বেচেঁ আছি’ এরপর আরোও অনেক মুভি আছে যেগুলো কপি..
নতুন কোন সিনেমা নির্মাণ করলে সে সিনেমার থিম পুরানো কোন সিনেমার সাথে কিছুটা মিলে যাওয়া একদম স্বাভাবিক। ধরুন কিং খান শাকিবের নতুন মুভি ‘বসগিরি’ সেখানে চিকন আলী নামক ফালতু ভাড় কে আমির খানের পিকে সিনেমার সাজে সাজানো হইসে। তো এখন কি ‘বসগিরি’ কপি হয়ে যাবে?”
তিনি আরো লেখেন, ‘আরেকটা কথা, অস্তিত্ব জিতে গেলে জিতে যাবে বাংলা চলচিত্র। শুভ ছেলেটার দম আছে, ভালো কাজ করার আগ্রহ আর চেষ্টা দুইটাই আছে। অস্তিত্বের প্রচারণাতে শুভ প্রমাণ করে দেছে নতুন কিছু করার জন্যই ঢালিউডে এসেছে ছেলেটা।’