![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
একই স্কুলে পড়তেন সালমান-মৌসুমী
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’র মাধ্যমে বাংলা সিনেমা পায় অবিস্মরণীয় একটি জুটি। সালমান শাহ ও মৌসুমী। মাত্র চারটি সিনেমা করলেও তাদের রসায়ন এখনো দর্শকদের চোখে লেগে আছে। সালমান-মৌসুমী জুটি হওয়া অনেকটা সিনেমারই মতো। তারা নাকি একই স্কুলে পড়েছিলেন, পরে আলাদা হয়ে যান। সিনেমায় এসে ফিরে পান পুরনো বন্ধুকে।
সাম্প্রতিক এক স্মৃতিচারণে মৌসুমী বলেন, ‘ছবিতে অভিনয় করার আগে থেকেই আমার আর সালমান শাহ’র পরিচয়। আমরা খুলনায় একই স্কুলে প্রথম দুই ক্লাস পড়েছি। এরপর সে চলে গেছে অন্য কোথাও। আমিও আসি ঢাকায়। স্কুলে ওর নাম ছিল ইমন। আর আমার নাম আরিফা।’
তিনি আরো বলেন, “কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির শুটিংয়ে প্রায় সময় আমরা নিজেদের শৈশবের স্মৃতিচারণ করতাম। ও ছিল সবচেয়ে স্টাইলিশ নায়ক। আমাদের বন্ধুত্বের মধ্যে ছিল না কোনো স্বার্থপরতা। জীবদ্দশায় এমন কোনো বিষয় নেই যা আমরা শেয়ার করিনি। কখনও কখনও মনে হতো, প্রতিটি মানুষের জীবনেই এমন একজন বন্ধু প্রয়োজন।”
নিজেদের ভালো বন্ধু দাবি করলেও শেষ সময়টা ভালো যায়নি এ জুটির। এ প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘সাড়ে তিন বছরে আমরা মাত্র চারটি ছবিতে অভিনয় করেছি। এতে আমাদের দুজনের কোনো দোষ ছিল না। সত্যি বলতে, আমাদের পারিবারিক ভুল বোঝাবুঝির কারণেই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও একসঙ্গে কাজ করা হয়নি। দুঃখ একটাই, আমাদের সম্পর্কটাকে সবাই বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছুই ভেবেছে; যা কখনোই ছিল না। তার মৃত্যুর পর হয়তো সবারই এ ভুলটি ভেঙেছে।’
পরে তাদের আবারো একসঙ্গে অভিনয়ের কথা উঠে। এ নিয়ে বলেন, ‘সময়টা ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। এফডিসিতে বসে গল্প করছি আমি আর পরিচালক ইস্পাহানি। পরিচালক আমাকে আর সালমান শাহকে জুটি করে একটি ছবি বানানোর কথা বলছিলেন। আমি পরিচালকের কাছ থেকে ছবির গল্প শুনছিলাম। আর ভাবছিলাম সন্ধ্যায় সালমান শাহ এফডিসিতে এলে তার সঙ্গে কথা বলে ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হব। আমাদের কথার মাঝেই হঠাৎ কিশোর বয়সের এক ছেলে এসে বলল, সালমান শাহ তো মারা গেছে।’
সূত্র : যুগান্তর