![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
কাজলরেখা/ যে কারণে ঈদে মুক্তির চ্যালেঞ্জ নিলেন সেলিম
২০০৯ সালে ‘মনপুরা’ মুক্তির পর ‘কাজলরেখা’ নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এরপর বাজেটের অপেক্ষা ও দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণা শেষে ২০২২ সালে এসে ছবিটির শুটিংয়ে নামেন। আর আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে সরকারি অনুদানের ‘কাজলরেখা’। শুধু দেশেই নয়, একসঙ্গে মুক্তির প্রস্তুতি চলছে পশ্চিমবঙ্গ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতে।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/03/kazolrekha_mondera_chakroborty_bmdb_image.jpg?resize=1024%2C618&ssl=1)
গতকাল শনিবার (৯ মার্চ) রাতে রাজধানীর অভিজাত এক হোটেলে প্রথমবার ‘কাজলরেখা’র কুশলী ও সাংবাদিকদের একসঙ্গে ডেকে সিনেমার আদ্যপ্রান্ত জানান গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, ইরেশ যাকের, সাদিয়া আয়মান, আবুল কামাল আজাদ প্রমুখ। ছবিতেও আরো অভিনয় করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, খায়রুল বাশার, শাহানা সুমি, সুজয় প্রমুখ।
প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো প্রেক্ষাপটে ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে তৈরি ‘কাজলরেখা’।
গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলেন, তৎকালীন আপামর মানুষের যে বিনোদন ছিল সেটি এখনো প্রাসঙ্গিক। এ কারণে আমি মনে করি ছবিটি দর্শক দেখবে।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/03/kazolrekha_bmdb_image.jpg?resize=1024%2C574&ssl=1)
কিন্তু ঈদেই কেন ছবিটি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্ন বা আক্ষেপ রয়েছে অনেকের। কারণ, এই উৎসবে আরও অনেকগুলো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ফলে তৈরি হবে হল সংকট। এমন প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘ঈদে অনেকগুলো ছবি মুক্তি পাবে। ভালো কাজের প্রতিযোগিতা থাকাটা ইতিবাচক দিক। আর যে ছবির দম থাকবে সেই ছবি মানুষ দেখবে।’
“বড় আয়োজনের কাজলরেখা মুক্তির উপযুক্ত সময় হচ্ছে উৎসব। ঈদ ও বৈশাখ একসাথে আমরা পাচ্ছি। এ কারণে আমার কাছে মনে হয়েছে এই সময় ছবিটি মুক্তি দেয়া উচিত। সিনেমা নির্মাণ থেকে মুক্তি দেয়া সবকিছুই আমাদের এখানে চ্যালেঞ্জ। তাই আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, দেখা যাক ফলাফল কী আসে।”
গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘ছবিটি নির্মাণের জন্য এর প্রতিটি সেক্টরকে এক সুতোয় একটি মালা হিসেবে গাঁথতে হয়েছে আমায়। ধাপে ধাপে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে উতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে হাজির থেকে শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, সাদিয়া আয়মান প্রত্যেকেই দর্শকদের ঈদে ভিন্ন ধাঁচের ‘কাজলরেখা’ দেখার আমন্ত্রণ জানান।
দুই বছর ধরে ৫০ দিনে নেত্রকোনার দুর্গাপুর, খুলনা সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওড় ও রাজধানীর মিরপুরে ‘কাজলরেখা’র শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে প্রকাশ হয়েছে পোস্টার, গান ও টিজার।