Select Page

অপু-জয়কে দেখে অমিত হাসানের যা মনে হয়েছে, সত্য নয়!

অপু-জয়কে দেখে অমিত হাসানের যা মনে হয়েছে, সত্য নয়!

সাম্প্রতিক সময়ে অপু বিশ্বাস ও জয় চৌধুরী অভিনীত ‘ট্র্যাপ’ সিনেমাটি আলোচনা এসেছিল। কারণ সিনেমাটির দর্শক একদমই কম ছিল। এবার এ জুটি নিয়ে তর্ক উসকে দিলেন অমিত হাসান। তার মতে, জয় বয়সে অপুর চেয়ে ছোট হওয়ায় তাদের মানায়নি। আসলে কি এ কথা সত্য।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্রের অবস্থা নিয়ে অমিত হাসান বলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রি অনেক পিছিয়ে গেছে। এখন হল নেই। সবাইকে নিয়ে বড় বাজেটের সিনেমা কেউ করতে পারছে না। এখন ডিজিটালে ছবি আসার পরে একটা গান, দুইটা ফাইট দিয়ে নাটকের মতো সিনেমা বানানো হচ্ছে। সুন্দর একটা নাম দিয়ে, ভালো একটা ট্রেলার দিয়ে দর্শক টানার চেষ্টা করছে। সিনেমা হলে গিয়ে দেখা যায়, গল্প ঠিক নাই। মনে হচ্ছে নাটক দেখছি। নাটক অবশ্যই ভালো। কিন্তু নাটক নাটকের জায়গায়, সিনেমা সিনেমার জায়গায়। নাটকের স্টাইলে ছবি বানালে চলবে না। ‘মনপুরা’, ‘আয়নাবাজি’ একটাই হয়। একই স্টাইলে ২০টা ছবি করলাম, তাতে লাভ নেই। কোনোটাই চলবে না। এসব কারণে সিনেমার মানই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যেভাবে মূলধারার সিনেমা করে আসছি, সেভাবে সিনেমা বানাতে হবে। এখন কী বলব, রোশানের প্রথম সিনেমা ‘রক্ত’। জাজের দারুণ একটা ছবি। কলকাতার সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায়। পরীমনি ছিল। কী ছিল না সিনেমায়? কিন্তু সিনেমাটি চলল না। আবার বাপ্পী জাজের সিনেমা করছে। বাইরেও সিনেমা করছে। কেউ কি বলতে পারবে বাপ্পীর ওই সিনেমাটি লাইমলাইটে গেছে? ইমন, নিরবের কোন সিনেমা আছে, যেটা দিয়ে কাঁপায়া দিয়েছে। কেউ বলতে পারবে তাদের সিনেমা হেভি ব্যবসাসফল হয়েছে। ইদানীং অপু বিশ্বাস জয়কে নিয়ে সিনেমা করছে। তাদের জুটি কি দর্শক গ্রহণ করেছে? আমার দৃষ্টিতে পর্দায় দর্শক তাদের পছন্দ করেন না। কারণ, জয় অপুর চেয়ে অনেক ছোট। তাদের সিনেমাটি দেখে মনে হয়েছে অপুর ছোট ভাই জয়।”

জয়-অপু নিয়ে মন্তব্যটি ভাইরাল হওয়ার পর সম্প্রতি দেশ রূপান্তর এর সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করেছে। অনেকেই মনে করেন জয় চৌধুরী অপু বিশ্বাসের চেয়ে বয়সে ছোট। আসতে সেটা কতটুকু সত্য? মূলত এটা একেবারেই সত্য নয়। জয় চৌধুরী অপু বিশ্বাসের চেয়ে দুই বছরের বড়। অপু বিশ্বাস এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন ২০০৫ সালে এবং জয় চৌধুরী এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন ২০০৩ সালে।

এ বিষয়ে জয় বলেন, ‘আমি ঠিক বুঝি না এটা নিয়ে মানুষ দ্বিধায় থাকে কেন? থাকাটাও হয়তো স্বাভাবিক। তবে আমি ২০০৩ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি।’

গেল বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছিল অপু বিশ্বাস ও জয় চৌধুরী অভিনীত ছবি ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন।’ এরপর ভালোবাসা দিবসে এই জুটির মুক্তি পায় ‘ট্র্যাপ।’

‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ ছিল অপু ও জয় চৌধুরীর রোম্যান্টিক অ্যাকশন ধাঁচের ছবি, কিন্তু ‘ট্র্যাপ’ হচ্ছে সাইবার জগতের গল্পে নির্মিত।

এদিকে সাম্প্রতিক এ মন্তব্য নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অমিত হাসান। এ বিষয়ে ১০ মার্চ ফেসবুকে লেখেন, ‘দুঃখ প্রকাশ: গত কয়েকদিন আগে প্রথম আলোর এক সাংবাদিক আমাকে টেলিফোন করে চলচ্চিত্র বিষয়ক সমসাময়িক কিছু কথা নিয়ে আলোচনা করা হয়।। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কথায় কথায় অনেক কথাই বলা হয়। যা পত্রিকাতে হয়তো নিউজ হয়েছে। কিন্তু অতিব দুঃখের সঙ্গে দেখলাম এই নিউজকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের অনেক অনলাইন পত্রিকার বিভিন্নভাবে ওই নিউজ থেকে কেটে কেটে তাদের মনগড়া হেডিং দিয়ে নিউজ করছে এতে একজন শিল্পীর সাথে আরেকজন শিল্পীর সম্পর্ক নষ্ট ছাড়া আর কিছুই হয় না। এভাবে নিউজে প্রকাশ হচ্ছে কথাগুলো সেই ভাবে বলা হয়নি। এগুলো দেখে মনে হচ্ছে দুই একজনকে ইচ্ছাকৃতভাবেই তাদের উদ্দেশ্যই শুধু বলা হয়েছে আসলে তা নয়। কথার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কথাই আসতে পারে। যাদের কথাগুলো বলা হচ্ছে তারা আমার ছোট ভাই বোন চলচ্চিত্রে তারা আমার পরে এসেছে তাদের সাথে সম্পর্ক আমার অনেক ভালো আশা করি এ ধরনের উল্টাপাল্টা নিউজের হেডিং দিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করবেন না। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।’


মন্তব্য করুন