Select Page

কারা পেতে পারতেন ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার?

কারা পেতে পারতেন ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার?

১৯৭৫ সাল থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বছরের সেরা ছবি, সেরা শিল্পী এবং সেরা কলাকুশলীদের জন্য দেশের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরষ্কার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারের আয়োজন করা হয়।

১ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয় ‘লাঠিয়াল’, সেরা পরিচালক ‘লাঠিয়াল’ এর পরিচালক নারায়ণ ঘোষ মিতা, সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী হয়েছিলেন যথাক্রমে আনোয়ার হোসেন ও ববিতা। ধীরে ধীরে সময় যত এগিয়েছে এই আসরের মর্যাদা আরো বেড়েছে। সম্মানের পাশাপাশি এই পুরষ্কার প্রদান নিয়ে অতীতে বিতর্কও কম হয়নি। বেশ কয়েকবার শিল্পীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে পুরষ্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন, একাধিকবার এমন হয়েছে যখন কাউকে যোগ্য মনে না হওয়ায় পুরষ্কার প্রদান করা হয়নি। তবে ২০০০ পরবর্তী সময় থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রদান যেনো এক নিয়মিত বিতর্কে পরিণত হয়েছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে এই বিতর্কের মাত্রা আরো বেড়েছে, বিশেষ করে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের বেশিরভাগ পুরষ্কার প্রদান নিয়ে জুরি বোর্ড সমালোচনার পাত্র হয়েছেন।

সময়ের পরিবর্তনে বর্তমানে আমরা দাড়িয়ে আছি ২০২০ এ, করোনা মহামারীর মাঝেই ঘোষণা হলো ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার। বিগত সময়গুলোর মতো এবারও যেনো বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। ইতোমধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার-২০১৯ বিজয়ী মাসুদ পথিক। দর্শকদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিজয়ীদের নিয়ে একটি ব্যবচ্ছেদ সাজানোর চেষ্টা করলাম। এই লেখায় সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং সেরা প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে কোনো ব্যবচ্ছেদ করা হয়নি, এগুলো ব্যতীত চলচ্চিত্র সম্পর্কিত ক্যাটাগরিগুলো নিয়ে লেখা সাজানো হয়েছে। যেহেতু চলচ্চিত্র আহবান করার পর কোন কোন ছবি জমা পড়লো, সাধারণ দর্শক হিসেবে সেটা জানার কোনো সুযোগ নেই, তাই ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সকল চলচ্চিত্রকে মাথায় রেখে ব্যবচ্ছেদটি সাজানো হয়েছে। এক নজরে পড়ে নিনঃ

০১। সেরা চলচ্চিত্রঃ
(যুগ্মভাবে) ‘ন ডরাই’ ও ‘ফাগুন হাওয়ায়’

সত্যি কথা বলতে ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কোনো ছবিই সে অনুপাতে পরিপূর্ণ তৃপ্তিদায়ক না। দর্শক-সমালোচকদের মতে গত দশকে শিল্পমান এবং ব্যবসা দুইদিক থেকেই সবথেকে বাজে সময় কেটেছে ২০১৯ এ। ‘ন ডরাই’ ও ‘ফাগুন হাওয়ায়’ উভয় ছবির নির্মাণ ধরণ দেখেই মনে হয়েছে, চেষ্টা করা হয়েছে কম বাজেটের মধ্যে যতটা সম্ভব সুন্দরভাবে নিজ নিজ গল্পকে তুলে ধরা। যেহেতু ২০১৯ এ শিল্পমানে পরিপূর্ণ কোনো ছবি পাওয়া যায়নি, তাই এরা যে ডিজার্ভ করে না, সেটা বলার অবকাশ নেই। তবে এদেরই সমমানের কিছু ছবি ছিল যারা এ পুরষ্কার ডিজার্ভ করে। ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ হতে পারতো বেটার অপশন, যদিও আমার জানা নেই এছবি আদৌ জুরিবোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে কিনা।

০২। সেরা পরিচালকঃ
তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই)

এক্ষেত্রে আমার মতামত প্রথম পয়েন্টের মতো। এখানেও আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ এর জন্য পেতে পারতেন।

০৩। সেরা অভিনেতাঃ
তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)

এক্ষেত্রে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সাথে তিনজন অভিনেতার নাম বলতে পারি, যারা এই ক্যাটাগরিতে অধিক যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। মোস্তফা মনোয়ার (লাইভ ফ্রম ঢাকা), প্রাণ রায় (মায়া দ্য লষ্ট মাদার) অথবা আলমগীর কবির (আলফা)… এদের যে কেউ এই ক্যাটাগরিতে বেশি ডিজার্ভিং ছিলেন। নিঃসন্দেহে তারিক আনাম খান বর্তমান সময়ের অন্যতম শক্তিমান অভিনেতাদের একজন, ‘আবার বসন্ত’ ছবিতে তিনি যে চরিত্র রূপদান করেছেন সেটিও বাংলা চলচ্চিত্রে কিছুটা আনকমন বটে। কিন্তু চরিত্রের উপস্থাপনার মধ্যে কোনো নতুনত্ব ছিল না। বিপরীতে মোস্তফা মনোয়ার, প্রাণ রায় কিংবা আলমগীর কবির তিনজনের চরিত্রই ছিল সাধারণ বাংলা চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রগুলোর তুলনায় বেশি জটিল, পর্দায় এগুলোর সঠিক উপস্থাপনা করাও বেশ জটিল কাজ।

০৪। সেরা অভিনেত্রীঃ
সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই)

এক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে, জ্যোতিকা জ্যোতি (মায়া দ্য লষ্ট মাদার) এই ক্যাটাগরিতে বেশি ডিজার্ভিং ছিলেন। সুনেরাহ বিনতে কামালের চরিত্রটি ‘ন ডরাই’ এর প্রধানতম চরিত্র, সেইসাথে তিনি খুবই পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। কিন্তু দুইটি চরিত্র এবং অভিনয়ের মধ্যে যদি তুলনা করি, তবে শিল্পমানের বিচারে জ্যোতিকা জ্যোতির চরিত্র ও অভিনয় বেশি এগিয়ে থাকবে। সুনেরাহর রূপদান করা চরিত্রর তুলনায় জ্যোতিকা জ্যোতির চরিত্র উপস্থাপন বেশি বাস্তবসম্মত মনে হয়েছে।

০৫। সেরা পার্শ্ব অভিনেতাঃ
ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়)

এটি আমার কাছে ঠিকঠাক মনে হয়েছে। ফজলুর রহমান বাবুর অভিনয় গূনাবলী নিয়ে আশাকরি আমাদের কারোই বিন্দুমাত্র অভিযোগ নেই, সেইসাথে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ তার চরিত্রটিও কিছুটা ভিন্ন্ররকমের ছিল। তবে তিনি বাদে মোস্তাফিজুর নূর ইমরানও (আলফা) এচরিত্রে যথেষ্ট ডিজার্ভিং।

০৬। সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীঃ
নারগিস আক্তার (মায়া দ্য লষ্ট মাদার)

এ ক্যাটাগরিতে পড়ে তেমন কোনো চরিত্রের কথাই আমার মনে পড়ছে না, যে চরিত্রটি প্রধান চরিত্রকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিতে পেরেছে। নারগিস আক্তারের রূপদান করা এচরিত্রটির ব্যাপ্তিও খুবই কম। তাই এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করছি না।

০৭। সেরা খল অভিনেতাঃ
জাহিদ হাসান (সাপ লুডু)

খলচরিত্রেও ২০১৯ এ তেমন কোনো ভিন্নতা পাওয়া যায়নি। দেশী কোনো ভালো পারফর্মার নজরে পড়েনি যারা পর্দায় যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছেন। বিপরীতে জাহিদ হাসানের চরিত্রটি সাপলুডুর গল্পের প্রধানতম চরিত্রের একটি। এক্ষেত্রে তাই জাহিদ হাসান কে আমার যথাযথ মনে হয়েছে।

০৮। সেরা শিশুশিল্পীঃ
(যুগ্মভাবে) নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) এবং আফরীন আক্তার রাইসা (যদি একদিন)

এই ক্যাটাগরির পুরষ্কার পারফেক্ট হয়েছে। দুজনেই যথেষ্ট ডিজার্ভিং ছিল।

০৯। সেরা সংগীত পরিচালকঃ
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন (মায়া দ্য লষ্ট মাদার)

এটা ঠিকঠাক মনে হয়েছে।

১০। সেরা সুরকারঃ
তানভীর তারেক, প্লাবন কোরেশী (মায়া দ্য লষ্ট মাদার)

এক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে, ‘তোমাকে চাই’ (ফাগুন হাওয়ায়) গানটির জন্য পিন্টু ঘোষ তুলনামূলক ভালো অপশন। ‘যন্ত্রণা’ (ন ডরাই) গানটির জন্য গানটির সুরকার মোহন শরীফও পেতে পারতেন।

১১। সেরা গীতিকারঃ
কামাল আহমেদ, নির্মলেন্দু গুণ (মায়া দ্য লষ্ট মাদার)

এটি আমার কাছে যথাযথ মনে হয়েছে।

১২। সেরা নৃত্য পরিচালকঃ
হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)

২০১৯ এ বাংলা চলচ্চিত্রে উল্লেখ করার মতো কোনো ভালো নৃত্য বা কোরিওগ্রাফি আমার নজরে পড়েনি। ‘নোলক’ এর গানগুলো নৃত্য পরিচালনা তুলনামূলক ভালো ছিল, তবে সেগুলো আমাদের দেশী কেউ করেনি। তাই এই ক্যাটাগরি নিয়েও কোনো মন্তব্য করছি না।

১৩। সেরা গায়কঃ
মৃনাল কান্তি দাস (তুমি চাইয়া দেখো – শাটল ট্রেন)

এটা বেশ সারপ্রাইজিং ছিল। এরকম কোনো স্বাধীন নির্মাতার ছবির গান যে জাতীয় পুরষ্কার পেতে পারে সেটা অপ্রত্যাশিত ছিল। জাতীয় পুরষ্কারে লবিং নিয়ে শতশত অভিযোগ শুনতে পাওয়া যায়, সেখানে এরকম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবিগুলো যদি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার অর্জন করে তবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকাররাও এর থেকে ভালো কিছু করে দেখানোর আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাবে। তবে গানটির কণ্ঠশিল্পী আসলেও এই পুরষ্কারের জন্য যোগ্যতম কি না সে ব্যাপারে আমি কিছুটা সন্দিহান।

১৪। সেরা গায়িকাঃ
মমতাজ বেগম (বাড়ির ও পূর্বধারে), ফাতিমা তুজ যাহর ঐশী (মায়া, মায়া’রে) [মায়া দ্য লস্ট মাদার]

ডিজার্ভিং। এটা নিয়ে আমার কোনো মতবিরোধ নেই। দুজনেই যথেষ্ট ভালো গেয়েছেন।

১৫। সেরা কাহিনীকারঃ
মাসুদ পথিক (মায়া দ্য লস্ট মাদার)

‘মায়া দ্য লষ্ট মাদার’ ছবিতে মূলত দুটি গল্প ছিল যা শেষে গিয়ে একসঙ্গে জোড়া লেগেছে। একটি হলো একজন লেখিকার গল্প যিনি বিদেশ দেশে বহুবছর পর দেশে ফিরেছেন, শেকড়ের টানে, নিজের অতীতকে খুঁজতে। অন্যদিকে আরেকটি নারী চরিত্র কুসংস্কারাচ্ছন্ন গ্রাম্যসমাজব্যবস্থার সাথে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে জীবনপণ লড়াই করছেন। এর মাঝে আরেকটি চরিত্র ছিল যিনি প্রকৃতিকে একটু ভিন্ন চোখে দেখে, লোকে তাকে এজন্যে পাগল বলে। এ সবগুলো চরিত্রই মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ- পরবর্তী প্রেক্ষাপটের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সবমিলিয়ে গল্প হিসেবে এটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে, তাই মনে হয়েছে শ্রেষ্ঠ কাহিনী হিসেবে এছবি যথেষ্ট ডিজার্ভিং ছিল।

১৬। সেরা চিত্রনাট্যকারঃ
মাহবুবুর রহমান (ন ডরাই)

২০১৯ সালের কোনো ছবিই চিত্রনাট্যের দিক থেকে পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি দিতে পারেনি। তাই এটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করছি না।

১৭। সেরা সংলাপ রচয়িতাঃ
জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)

এছবিতে একটি লম্বা দৃশ্য ছিল যেখানে শাকিব খান এবং সাবেরী আলমের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথোপকথন হয়। দৃশ্যটির চিত্রায়ণ, অভিনয় এবং সংলাপ বেশ ভালো ছিল। তবে যদি সবমিলিয়ে চিন্তা করি তাহলে এছবির সংলাপ রচনা খুব আহামরি কিছু না। এর থেকে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবিতে তৌকীর আহমেদের করা সংলাপ রচনা আমার বেশি ভালো মনে হয়েছে।

১৮। সেরা সম্পাদকঃ
জুনায়েদ আহমদ হালিম (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

ভালো সিদ্ধান্ত। তবে ‘ন ডরাই’ ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ও ‘সাপলুডু’র সম্পাদনার কাজও বেশ ভালো ছিল।

১৯। সেরা শিল্প নির্দেশকঃ
মো. রহমত উল্লাহ বসু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না) ও মো. ফরিদ আহমদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)

শিল্প নির্দেশকের পুরষ্কার শিল্পমান বিচারে ভালো এমন ছবিরই পাওয়া উচিত বলে মনে করি। এক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে ‘আলফা’ পেতে পারতো, ‘ফাগুন হাওয়ায়’ পেতে পারতো, ‘মায়া দ্য লষ্ট মাদার’ ও পেতে পারতো।

২০। সেরা চিত্রগ্রাহকঃ
সুমন কুমার সরকার (ন ডরাই)

যথাপযুক্ত সিদ্ধান্ত। আমি গতবছর তার কাজ দেখেই একপ্রকার নিশ্চিত ছিলাম, তার হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার দেখতে যাচ্ছি।

২১। সেরা শব্দ গ্রাহকঃ
রিপন নাথ (ন ডরাই)।

এটাও যথাপযুক্ত সিদ্ধান্ত। রিপন নাথ সাউন্ড ডিজাইনে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। এই দশকে শব্দ গ্রাহকে তিনিই সবথেকে বেশি জাতীয় পুরষ্কার পেলেন।

২২। সেরা পোশাক ও সাজসজ্জাকারীঃ
খন্দকার সাজিয়া আফরিন (ফাগুন হাওয়ায়)

এটাও যথাপযুক্ত ছিল। পোশাক-সাজসজ্জায় ‘ফাগুন হাওয়ায়’ এ কোনো কমতি নজরে পড়েনি।

২৩। সেরা মেকআপম্যানঃ
মো. রাজু (মায়া দ্য লস্ট মাদার)

এটাও যথাপযুক্ত। খুবই ভালো হয়েছে।

ইন্ডাস্ট্রির দশা যতই ভঙ্গুর হোক, যেকোনো ইন্ডাস্ট্রিতে প্রদান করা প্রতিবছরের জাতীয় পুরষ্কারের তালিকা যেকারো জন্য সেই ইন্ডাস্ট্রির মান যাচাই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। ঢালিউড সম্পর্কে জানে না কিংবা কম জানে অথবা বাংলাদেশী ছবি কম দেখে এমন কেউ যখন জাতীয় পুরষ্কারের ঝুলি দেখে কোনো চলচ্চিত্র দেখবে এবং যদি সেই চলচ্চিত্রটি নিম্নমানের হয়, তখন আপনা-আপনি ঢালিউড সম্পর্কে তার একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়ে যাবে। ভালো ছবিগুলোকে যথাযথ সময়ে সম্মানিত করা খুবই জরুরি।

যদি উদাহরণ হিসেবে বলি, ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া যেছবিটি মাত্র ৩দিন সিনেমাহলে চলেছিল, ২০২০-এ দাড়িয়ে সেই ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’র নাম ঘরে ঘরে পৌছাতো না, যদি না ছবিটিকে তার প্রাপ্য সম্মান হিসেবে একাধিক শাখায় জাতীয় পুরষ্কার প্রদান করা হতো। সুতরাং ভালো ছবিকে যথেষ্ট সম্মান প্রদান করা অতীব জরুরি। নইলে একসময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার এর গুরুত্ব এবং মর্যাদা দুটোই হারাবে। ঢালিউড বর্তমানে ধ্বংসস্তুপ থেকে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে, সেই চেষ্টা যেনো দলাদলির মধ্যে পড়ে বিফলে না যায়।


মন্তব্য করুন