গ্রেপ্তারের ২৫ দিন পর পরীমনির পক্ষে পরিচালক সমিতি
গত ৪ আগস্ট পরীমনি আটক হওয়ার পর তড়িগড়ি করে একদিনের মাথায় তার সদস্য পদ স্থগিত করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়। সিনিয়র অনেক শিল্পী জানান, তাদের নাম ব্যবহার হলেও তারা স্থগিতের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেননি।
একই সময়ের অনেক পরিচালক পরীমনির প্রতি অনায্য আচরণ ও ন্যায় বিচার নিয়ে কথা তোলেন। এবার গ্রেপ্তারের ২৫ দিন পর বিবৃতি প্রকাশ করে নায়িকার মুক্তি চেয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি।
৩০ আগস্ট সংগঠনটির প্যাডে পাঠানো এ চিঠিতে নায়িকার মুক্তি দাবি করেন তারা।
সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ঘটনার সত্যতা না জেনে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। চেষ্টা সত্ত্বেও পরীমণির বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর পরীমণি বড় শিল্পী হওয়ায় সত্য-মিথ্যা খুঁজে বের করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।’
পরীর বিষয়ে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা সমিতিগতভাবে পরিষ্কার জানাতে চাই, পরীমণি আমাদের প্রিয় শিল্পী। তার গ্রেফতারে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। জামিন পেলে তিনি পালিয়ে যাবেন বলে একজন আইনজীবী পত্রিকায় যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক নয়। পরীমণি আমাদের দেশের জনপ্রিয় শিল্পী। তিনি যে মামলার আসামি তাতে তাকে জামিন দিয়ে এটি পরিচালনা হতে পারে। তিনি দোষী নাকি নির্দোষ তা আদালতে প্রমাণ হবে। কিন্তু জামিন পাওয়ার আইনি এখতিয়ার পরীর আছে। সুতরাং আমরা মনে করি, পরীমণিকে অবিলম্বে জামিন দিয়ে সত্য-মিথ্যা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হোক। তার প্রতি সুবিচার হোক।’
তবে এর আগে পরীমনিকে অসংযত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন সোহান।
গত ৭ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে পরীমনির সদস্য পদ স্থগিত করে শিল্পী সমিতি। তখন ও পরবর্তীতে নায়িকাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরে মন্তব্য করেন সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
তবে বিভিন্ন সময়ে নায়িকা আজমেরী হক বাঁধন, নায়ক শাকিব খানসহ অনেক অভিনয়শিল্পী পরীর পক্ষে মন্তব্য করেছেন।
এ চিত্রনায়িকা ২৫ দিন ধরে কারাগারে আছেন। তাকে তিন দফায় সাতদিন রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ সময় পুলিশের বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম বিভিন্ন ধরেন খবর প্রকাশ করলেও তার কোনোটি আদালতের সওয়াল জবাবে আসেনি।