![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
জয়া আহসান কি অনুদানের নায়িকা হয়ে থাকবেন?
২০০৪ সালে জয়া আহসানকে প্রথম দেখা যায় ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায়। এরপর আরো ৬ বছর অপেক্ষা করতে হয় তাকে। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া নূরুল আলম আতিকের ‘ডুবসাঁতার’ ছিল নায়িকা হিসেবে তার প্রথম ছবি। ডিজিটাল ফরমেটের সিনেমাটি নানা কারণে উল্লেখযোগ্য হলেও জয়াকে নতুন রূপে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। নাটকের জয়াকে দর্শক আলাদা করতে পেরেছেন। কিন্তু কতটা তার প্রতি সুবিচার হয়েছে?
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2022/09/307215044_3423743784525830_5949398673199216467_n.jpg?resize=857%2C541&ssl=1)
গত ১৮ বছরে জয়াকে নিয়ে কয়েক হাজারবার খবর হয়েছে নিঃসন্দেহে। অদ্ভুত বিষয় হলো, যার বেশিরভাগ ছিল একের পর এক কলকাতায় সিনেমায় বাজিমাত করার খবর। কিন্তু ঢাকার চলচ্চিত্রে এই শক্তিমান অভিনেত্রী উক্ষেপিতই রয়ে গেলেন।
এ সময়ে বাংলাদেশে জয়ার ক্যারিয়ার গ্রাফ দেখলে মনে হতে পারে তিনি বোধহয় সরকারি অনুদানের নায়িকা। যেমন; মুক্তিপ্রায় শেষ পাঁচটি ছবিই অনুদানপ্রাপ্ত, যেখানে ‘পুত্র’ মূলত বিশেষ শিশুদের নিয়ে একটি মন্ত্রণালয়ের ছবি। এর বাইরে জয়ার ক্যারিয়ারের তৃতীয় সিনেমা ‘গেরিলা’ও ছিল অনুদানের ছবি। বাকিগুলোর মধ্যে ‘ফিরে এসো বেহুলা’ অনেকটা এক্সপেরিন্টাল ধাঁচের। বাণিজ্যিক ঘরানায় শাকিব খানের বিপরীতে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ সিরিজের দুই ছবিতে দেখা গেছে। অন্য ছবি ‘জিরো ডিগ্রী’ও প্রচলিত প্রযোজনা হাউস থেকে আসেনি।
সব মিলিয়ে একজন শক্তিমান অভিনেত্রী পেয়েও ব্যবহার করা হয়নি ঢালিউডে। যতটা কলকাতায় তিনি সমাদর পাচ্ছেন, আমরা যথাযথভাবে তাকে কাজে লাগাতে পারিনি।
বর্তমানে জয়ার হাতে দেশি চারটি সিনেমা রয়েছে। যার দুটোই সরকারি অনুদানের— আকরাম খানের ‘নকশী কাঁথার জমিন’ এবং জয়া প্রযোজিত ও মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘রইদ’। এ ছাড়া অভিনেত্রী প্রযোজিত ও পিপলু আর খান পরিচালিত ‘জয়া আর শারমিন’কে তাকে দেখা যাবে। অন্য ছবি ‘পেয়ারার সুবাস’ অনেকদিন খবরে নেই। সেটি বানিয়েছেন নূরুল আলম আতিক।
অথচ অভিনেত্রী হিসেবে জয়া কতটা পরিশ্রমী তা ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানেন। সাম্প্রতিক ‘বিউটি সার্কাস’ তার প্রমাণ। আবার বাণিজ্য সফল ছবির ক্ষেত্রে মিস্ট্রি ঘরানার ‘দেবী’ তো রীতিমতো ইতিহাস।
সব মিলিয়ে একটি হতাশাজনক পরিস্থিতি দেখতে পাবেন দেশের এই সময়ের সবচেয়ে মেধাবী অভিনেত্রীকে নিয়ে।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2022/09/beauty_circus_bmdb_image-4.jpg?resize=1004%2C629&ssl=1)
জয়া অভিনীত ছবির তালিকা: বিউটি সার্কাস (২০২২), অলাতচক্র (২০২১), দেবী (২০১৮), পুত্র (২০১৮), খাঁচা (২০১৭), পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি ২ (২০১৬), জিরো ডিগ্রী (২০১৫), পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩), ফিরে এসো বেহুলা (২০১২), চোরাবালি (২০১২), গেরিলা (২০১১), ডুবসাঁতার (২০১০) ও ব্যাচেলর (২০০৪)