![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
দুই কালজয়ী গানের অভিনেতা জলিল
কাজী জহিরের ত্রিভুজ প্রেমকাহিনি ‘ময়নামতি’তে কবরীর বিপরীতে দুই নায়কের একজন জলিল। যদিও কৌতুক অভিনেতা হিসেবেই তার পরিচিতি। ছবির শুরুর দিকে তাকে কমেডিয়ান হিসেবে উপস্থাপন করলেও শেষে সিরিয়াস প্রেমিকের ভূমিকায় দেখা যায়। এই ছবিতে তার লিপে ‘টাকা তুমি সময় মতো আইলা না’ গানটি তখনকার দর্শকদের মুখে মুখে ফিরেছে।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2023/02/jalil_bmdb_image.jpg?resize=857%2C603&ssl=1)
এহতেশাম পরিচালিত ‘পীচঢালা পথ’ ছবির দুই নায়কের একজন ছিলেন জলিল, তার সঙ্গে নায়িকা ছিলেন বেবী রিতা। এ ছবিতে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় চিত্রায়িত জলিলের লিপ ‘পীচঢালা এই পথটারে ভালবেসেছি’ মাস্টারপিস গান, এখনো সমান জনপ্রিয়।
বোঝাই যাচ্ছে কমেডি ধাঁচের চরিত্রে অভিনয় করলেও জলিল সিরিয়াস চরিত্রে ছিলেন সমান পারদর্শী। তবে তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল সংক্ষিপ্ত।
পুরো নাম আবদুল জলিল, জন্ম ১৯৪০ সালে বাহরাইনে। মারা যান ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায়।
তার পৈতৃক বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়ায়। বাবা আব্দুল হাফিজ ছিলেন বিচারপতি, মা আজিজা বেগম। জলির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেছিলেন।
তৎকালীন টেলিভিশনের তুমুল জনপ্রিয় সিরিজ ‘ত্রিরত্ন’-এর এক রত্ন ‘পান্না’ ছিলেন জলিল। এ কারণে তার পরিচিতি বাংলার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে গিয়েছিল।
১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আজিজুর রহমানের ‘মধুমালা’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন জলিল। এরপর করেন ময়নামতি (১৯৬৯), মধু মিলন (১৯৭০), পীচ ঢালা পথ (১৯৭০), আদর্শ ছাপাখানা (১৯৭০)-সহ কয়েকটি চলচ্চিত্র।
প্রতিভাবান এ অভিনেতা আমেরিকান অয়েল কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কোম্পানিটি মেঘনা পেট্রোলিয়াম নামে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন জলিল।
তথ্য ও ছবি ঋণ: আজাদ আবুল কাশেম