![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’ ও ‘আলাদিন আলিবাবা সিন্দাবাদ’
আমি আর শাফায়াত ইবনে কামাল ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’ দেখতে গেছিলাম। বছর দুয়েক বা তিনেক আগে রোজায়, স্টার সিনেপ্লেক্সে। মুভিটা আমার ভালো লাগে নাই। এতো এতো সুপারহিরো একসঙ্গে, আগে না জানা সত্ত্বেও অবাক লাগে নাই। ও আমারে সান্তনা দিতেছিল আগে ক্যাপ্টেন আমেরিকা দেখি নাই— তাই এ অবস্থা। আমার কাছে আয়রন ম্যান ছিল বিরক্তকর। থর একদম সেকেলে ব্যাপার। একমাত্র মজায় পাইছিলাম হাল্ককে দেখে। রেগে গেলে কী কিউট দেখায়।
আসলে গোড়াতেই গলদ ছিল। আমরা দুজনের রোজা রাখছিলাম। সিনেমা শুরু হলো ১১টা কী ১২টার দিকে। আর দলে দলে লোক খাবার নিয়ে ঢুকতেছে। ভাবেন তো এ সময় খাবারের গন্ধে কেমন লাগে। সারাদিন কষ্ট পাইছিলাম।
আজ অ্যাভাঞ্জার্সের কথা উঠছে ক্যান? ঘটনা মজার। সত্যি সত্যি মজার। ফেসবুকে কবি ও কাব্য ভাই একখান পোস্টার শেয়ার দিছেন। যা কিনা লিগ অব এক্সটা অর্ডিনারি জেন্টলম্যানের আগে। এ মুভির কথা ক্যান বলছি। কারণ একটা— রাজ্যের সব অদ্ভুত মানুষ ওই সিনেমায় হাজির হইছিলেন। কবি ও কাব্য ভাই মানে পাপ্পু ভাই শেয়ার করলেন মুভি পোস্টার। মানে তিন তিনটে আরব্য রজনী কাহিনী একফ্রেমে।
১৯৮০ সালে সিনেমাটা মুক্তি পায়। ভাবতেই কেমন লাগছে। সিনেমায় কত কী সম্ভব! যেখানে বাস্তব জীবনে মরে যাওয়া জাতীয় নেতাদের একলগে ভাবতে পারি না। জ্যান্তদের তো দূর কী বাত! তাদের তুলনায় এ চরিত্রগুলো তো অনেক রহস্যময়, মজার ও অনেকটা নিস্পাপ, রোমান্টিক। তারা নিশ্চয় নিজেদের একলগে দেখে খুশি। তো, পোস্টারটা দেখে ভালো লাগতেছে।
তবে একই নামে একটি হিন্দি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬০ এর দশকে মাঝামাঝি। বাংলা চলচ্চিত্রটি ওইটা অনুপ্রেরণা হতে পারে। ব্যাপার না!