![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
নায়করাজের জীবনী : বাপ্পারাজ বনাম ছটকু আহমেদ
প্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাকের জীবনী লিখছেন প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ছটকু আহমেদ। বইয়ের নাম ‘নায়করাজ রাজ্জাক : টালিগঞ্জ থেকে ঢালিউড’। আগামী একুশে বইমেলায় বিডিনিউজ পাবলিকেশন লিমিটেড (বিপিএল) থেকে বইটি বাজারে আসার কথা রয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি নায়করাজ রাজ্জাজের পুত্র বাপ্পারাজ আপত্তি তুলেছেন জীবনীটির ব্যাপারে। বাপ্পারাজ দাবি করেছেন, নায়করাজ এমনকি তার তার পরিবারের অনুমতি না নিয়েই বইটি লিখছেন ছটকু আহমেদ। এ নিয়ে আলাদা আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাগো নিউজ।
বাপ্পারাজ বলেন, ‘আমরা তাকে লেখার জন্য অনুমতি দেইনি। তিনি (ছটকু আহমেদ) কোথা থেকে অনুমতি নিয়ে বাবার জীবনী লিখছেন আমি জানি না।’
তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। লেখেন, ‘আমার বাবার জীবদ্দশায় তাকে নিয়ে যখন অপমানজনক উক্তি চালাচালি হচ্ছিল তখন যারা না শোনার না জানার ভান করে নিশ্চুপ ছিলেন, আজ তাদের উক্তি নিয়ে জবান ছটকু আহমেদ নায়করাজের জীবনী লিখছেন। ভালো প্রজেক্ট নিয়েছেন ছটকু সাহেব। আপনার কলমে তখন কালিহীন ছিল তাই একটু প্রতিবাদও করতে পারেননি। আজ জীবনী লিখছেন বইমেলায় আসবে বলে? ক্ষ্যান্ত হন, ক্ষ্যান্ত হন। আমি এখনো মরে যাইনি।’
তবে নির্মাতা ছটকু আহমেদ বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘রাজ্জাক ভাইকে আমি অনেক সম্মান করি। তিনি আমাকেও খুব ভালো জানতেন। তাকে নিয়ে ভালো কিছু লেখার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছি। আর তাকে নিয়ে ভুল কিছু কেন লিখব? লেখার পর বাপ্পারাজসহ ওদের পরিবাবের সবাইকে দেখাব।’
ছটকু আহমেদ আরো বলেন, ‘আমি চাইছি রাজ্জাক ভাইকে নিয়ে ভালো কিছু লিখতে। এটা নিয়ে এখনই এত প্রশ্ন কেন? লেখা শেষে প্রশ্ন তোলার মতো কিছু থাকলে তারা তা অবশ্যই বলবেন। এখানে বিভাজন করার কিছু নেই। আমরা একসঙ্গে বসে বিষয়গুলোর সমাধান করে নিতে পারি। তাছাড়া তার পরিবার দেখুক আমি কি লিখছি। ভালো-মন্দের বিচার তো না দেখে কেউ করতে পারে না, তাই না?’
জীবদ্দশায় নায়করাজ রাজ্জাকের অনুমতি নিয়েই বইটি লেখা হচ্ছিল দাবি করে বলেন, ‘রাজ্জাক ভাই আমাকে লিখতে বলেছেন। তার সকল কথার ভিডিও আমার কাছে আছে। তাছাড়া রাজ্জাক ভাই স্বাক্ষরিত অনুমতিপত্রও রয়েছে। আসলে এগুলো কিছু নয়, তাকে নিয়ে ভালো কিছু লিখতে চাচ্ছি। আমি ঘুরে ঘুরে বিভিন্নজনের মন্তব্য নিচ্ছি। তারাও সুন্দর সুন্দর মতামত দিচ্ছেন।’
ছটকু আহমেদ আরো বলেন, ‘রাজ্জাক সাহেবের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তাছাড়া নতুন প্রজন্মের জন্য রাজ্জাক সাহেবের জীবনী পাথেয় হয়ে থাকবে। সেই ভাবনা থেকেই বইটি লিখতে চাইছি। নায়করাজের জীবনী, শৈশব, উত্থান, জীবনের বাঁকবদল, সেসময়ের রাজনৈতিক অবস্থায়- সবকিছুর সঙ্গে সাহিত্যরস মিশিয়েই বইটি লেখা হচ্ছে।’
তাহলে কেন বাপ্পারাজ এই জীবনী নিয়ে আপত্তি তুলছেন? ছটকু আহমেদ বলেন, ‘আমার মনে হয় বাপ্পারাজকে কেউ ভুল বুঝিয়েছে। যাই হোক এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হচ্ছে শিগগিরই। বাপ্পারাজ ফেসবুকে যেসব কথা লিখেছিল সেগুলো সরিয়ে নিয়েছে। এই বইটি প্রকাশ করে তো আমি কোটিপতি হয়ে যাবো না। আমারও বয়স হয়েছে, এ কেবল রাজ্জাক ভাইয়ের জীবনী বলেই আগ্রহ নিয়ে লিখতে পারছি। ইনশাল্লাহ আগামী বইমেলাতেই নায়করাজের জীবনী প্রকাশ হবে।’
উল্লেখ্য, ছটকু আহমেদ পরিচালিত প্রথম ছবি ‘নাতবউ’-তে অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। সুপারহিট ওই ছবিতে আরও ছিলেন ববিতা, হাসান ইমাম ও প্রবীর মিত্র। এছাড়া ছটকু আহমেদের পারিবারিক প্রডাকশন থেকে নির্মিত আরও তিনটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাজ্জাক।