Select Page

‘বন্ধু দেশের’ সিনেমায় শেখ মুজিবের এ কী হাল!

‘বন্ধু দেশের’ সিনেমায় শেখ মুজিবের এ কী হাল!

নিজেদের স্বার্থে শেখ হাসিনা প্রশ্নে ভারতের রাজনীতিবিদরা এখন ভেদাভেদ ভুলে এক হয়েছে। সেখানে তাকে ও অন্যান্য আওয়ামী নেতাদের আশ্রয়ের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশবিরোধী প্রচার জারি রেখেছে। সেই সময় বলিউড সিনেমায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে এমনভাবে দেখানো হয়েছে যে বাংলাদেশে তার শত্রুরাও এভাবে দেখানোর কথা ভাবে না।

কঙ্গনা রনৌত অভিনীত ও পরিচালিত ‘ইমার্জেন্সি’ নামের সেই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ১৭ জানুয়ারি। এই ছবি মুক্তির পর নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী। সেই বিতর্কের আঁচ ভারত ছাড়িয়ে এসে পড়েছে বাংলাদেশেও।

১৯৭৫ সালে ২১ মাস জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ছবিটি। নিজে বিজেপির রাজনীতি করলেও পর্দায় সাবেক কংগ্রেস নেত্রীর চরিত্র করেছেন কঙ্গনা।

‘ইমার্জেন্সি’ ছবির কয়েকটি ক্লিপ এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে অন্তর্জালে। একটি ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, হিন্দিতে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশিদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন, তাঁর মুখ থেকে এসেছে ভারতের প্রতি আজীবন আনুগত্য থাকার প্রতিশ্রুতি। বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে ভারত, এমন কথা বলতেও শোনা গেছে। ছবির সংলাপগুলো এমন— ‘ভারত মাতানে হামারে মাতৃভূমি বাঙ্গাল কো জনম দেয়া হায়’ ‘ওর হাম শপথ লেতে হ্যায়, যাব তাক হাম বাংলা বলেঙ্গে তাবতাক হাম ভারত মাতাকা আভারব্যাক্ত করতে রোহেঙ্গে’।

ভাইরাল হওয়া আরেকটি ক্লিপে দেখা গেছে শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর দৃশ্য। যেখানে গুলির সামনে পড়ে তাকে পালাতে দেখা যায়। কিন্তু দরজা বন্ধ করার আগেই আততায়ীদের গুলিতে লুটিয়ে পড়ে। যা শেখ মুজিব সম্পর্কে প্রচলিত সব বয়ানের এক বিপরীত।

এ ধরনের দৃশ্যে বাংলাদেশে অনেকে হাস্যরস করার পাশাপাশি ভারতীয় নির্মাতাদের নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। তবে দেশটির ‘বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋষি কৌশিক। তিনি কলকাতার টিভি সিরিয়ালের সুবাদে বেশ পরিচিত। বাংলাদেশের টিভিনাটকেও অভিনয় করছেন ঋষি।


Leave a reply