Select Page

সিনেমার টানে মুম্বাই পালিয়ে যান বালক মমতাজ আলী

সিনেমার টানে মুম্বাই পালিয়ে যান বালক মমতাজ আলী

সিনেমার প্রতি মমতাজ আলীর প্রেম জন্মে সেই শৈশবে। একসময় পালিয়ে যান উপমহাদেশের সিনেমার প্রধান তীর্থ বোম্বে শহরে। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন বেশ কিছু চলচ্চিত্র। এমনও বলা হয়, রাজ কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

মমতাজ আলী সেই সব নির্মাতাদের একজন, যাদের নাম দেখেই দর্শক হলে যেতেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তার হাতে ধরে বাংলা অ্যাকশন সিনেমা নতুস মাত্রা পায়। নায়ক উজ্জ্বলের মারকুটে ক্যারিয়ার নির্মাণে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে মমতাজ আলী নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘রক্তাক্ত বাংলা’ নানা কারণে সমালোচিত হয়।

সামাজিক-অ্যাকশান ছবির সুপারহিট পরিচালক মমতাজ আলীর ১৯৩৭ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকায়, মারা যান ১৯৯৭ সালের ৮ নভেম্বর।

বালক বয়সেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে, বোম্বে (মুম্বাই) চলে যান। জানা যায়, সেখানকার বিভিন্ন ফিল্ম ইউনিটে কাজ করার পাশাপাশি শিশুশিল্পী হিসেবে ১০-১২টি ছবিতে অভিনয় করেন। এমনও জনশ্রুতি আছে কিংবদন্তি রাজ কাপুরের সঙ্গে কাজ করেছেন মমতাজ আলী। ঢাকাই সিনেমার আরেক কিংবদন্তি সিনেমার টানে একাধিকবার ঘর ছাড়েন। তরুণ বয়সে তিনিও বোম্বে ছিলেন কিছুদিন।

মমতাজ আলী ১৯৫৭ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায় এসে প্রথমে এ জে কারদারের বিখ্যাত ‘জাগো হুয়া সাভেরা’ ছবিতে সহকারী হিসেবে কাজ করেন।

এরপর লাহোরে ও ঢাকায় অনেক পরিচালেকর সঙ্গে কাজ করেন মমতাজ আলী। ‘আকাশ আর মাটি’সহ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ও করেন।

মমতাজ আলী পরিচালিত প্রথম ছবি ‘নতুন নামে ডাকো’ মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালে। অন্যান্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— নতুন ফুলের গন্ধ, রক্তাক্ত বাংলা, সোনার খেলনা, কে আসল কে নকল, ঈমান, কুদরত, নালিশ, নসীব, উসিলা, নিয়ত, কারণ, বিশাল, নতিজা ও সোহরাব রুস্তম। পরিচালনার পাশাপশি প্রযোজক ও পরিবেশক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

মমতাজ আলী মানেই ছিল সুপারস্টার নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে বিশাল আয়োজন। তার চলচ্চিত্রের গানগুলোও হতো শ্রুতিমধুর। যেমন; তোমাকে চাই আমি আরো কাছে, অমন করে যেও নাগো তুমি, ও দাদা ভাই মূর্তি বানাও, কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো এবং খোদার ঘরে নালিশ করতে দিলো না আমারে।

/তথ্য ও ছবি: আজাদ আবুল কাশেম


মন্তব্য করুন