![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
বেকার এফডিসির কালার ল্যাব
ঈদে মুক্তি পাওয়ার জন্য চার ছবি চূড়ান্ত হলেও চলচ্চিত্র নির্মাণের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) জহির রায়হান কালার ল্যাবে কোন কাজ নেই। অর্থাৎ ৪টি ছবিই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে মুক্তি পাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করায় এফডিসি কালার ল্যাবে কোন ছবিরই প্রিন্ট হচ্ছে না।
পুরো ল্যাবকে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত রোজার ঈদে এমএ জলিল অনন্ত পরিচালিত ‘নিঃস্বার্থ ভালবাসা’র ২৮টি প্রিন্ট হয়েছিল। তারপর থেকেই এই ঈদ পর্যন্ত একটি প্রিন্টও হয়নি। এর কারণ ৩৫ মি. মি. প্রযুক্তিতে চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ হয়ে যাওয়া। এবারের ঈদের জন্য চূড়ান্ত হওয়া চারটি ছবির সবক’টি ছবিই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে এবং মুক্তিও পাবে সর্বাধুনিক এ প্রযুক্তিতে। আর এ কারণেই এফডিসি কালার ল্যাবকে অলস সময় পার করতে হচ্ছে।
বর্তমান চলচ্চিত্রে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগায় ৩৫ মি. মি. প্রযুক্তিতে ছবি নির্মাণে ভাটা পড়ে গেছে নির্মাণ ব্যয়ের কারণে। তারপরও এফডিসি কর্তৃপক্ষ প্রায় ২ কোটি টাকার কাঁচামাল (নেগেটিভ, পজিটিভ) ক্রয় করেছে ৩৫ মি.মি. ছবি নির্মাণ হবে এ আশায়। অথচ ডিজিটালের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জোরালো অভিযোগ।
সরকার এফডিসিকে ডিজিটাল ও আধুনিকায়ন করার জন্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও এফডিসি কর্তৃপক্ষ সেই অর্থ কাজে লাগাতে পারেনি। এসব বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের প্রকাশ্য ক্ষোভ থাকলেও এফডিসি কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। যেখানে দুই বছর আগেও দুই ঈদে প্রিন্ট করার জন্য এফডিসির কালার ল্যাব নির্ঘুম রাত কাটাতো, প্রযোজকদের মধ্যে আগে প্রিন্ট করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত, সেখানে এবারের ঈদে কোন ছবির প্রিন্ট না হওয়ায় এফডিসি কালার ল্যাবের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সূত্র: মানবজমিন