Select Page

মন্ত্রীর আগমনে বক্তাকে ফেলে সাংবাদিকদের দৌড়, আলমগীরের ক্ষোভ

মন্ত্রীর আগমনে বক্তাকে ফেলে সাংবাদিকদের দৌড়, আলমগীরের ক্ষোভ

সদ্য প্রয়াত দুই সংগীত ও অভিনয় কিংবদন্তির স্মরণে চলছিল শোকসভা। তাদের নিয়ে মঞ্চে বলছিলেন আরেক কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার।  এর মাঝে মন্ত্রীর আগমনে বোম তুলে নিয়ে সাংবাদিকরা ক্যামেরা সেদিকে ছোটেন। এমন অপমানজনক পরিস্থিতিতে আলমগীর বলেই ফেললেন,  ‘এটা একটা শোকসভা, আর আপনারা সাংবাদিক। তাই আর কিছু না বলি।’

২৩ জুলাই সকালে এফডিসিতে এ ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক লিমন আহমেদের ফেসবুক পোস্টে পড়ে নিন বিস্তারিত –

‘মঞ্চে তখন কিংবদন্তি আলম খান ও শর্মিলী আহমেদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছেন শত শত সুপারহিট ও কালজয়ী গানের গীতিকার প্রায় ২০ হাজার গান লেখা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। মন্ত্রী আসবেন টের পেয়ে গাজী সাহেবের বক্তব্য চলাকালীন টিভি সাংবাদিক ও তাদের সঙ্গে আসা ক্যামেরাম্যান ভাইয়েরা শুরু করে দিলেন হট্টগোল। সবাই বিরক্ত হচ্ছিলেন। গাজী সাহেব বিব্রত।

চরম অপমানটা হলো উনার বক্তব্য চলাকালীন উনার সামনে থেকে একটা একটা করে বোমগুলো তুলে নিয়ে সাংবাদিকদের বাইরে চলে যাওয়া। যেন গাজী সাহেবের জন্য একেকটা থাপ্পড় ছিলো এগুলো! আহা…..! মন্ত্রীর আগমন তো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একজন গাজী মাজহারুল আনোয়ার কথা বলার সময় তার সম্মান রক্ষার চেয়ে বেশি নয়। তার উপর মন্ত্রী এই অনুষ্ঠানেই আসছেন, বক্তব্য তার পাওয়া যাবেই। এবং তিনি প্রায় ১০ মিনিট বক্তব্য দিয়েছেন! মাত্র ২ মিনিটের আগমনী ফুটেজের জন্য এই ঘটনার জন্ম দেয়াটা ঠিক হলো?

এই ঘটনার রাগ অভিনেতা আলমগীর সাহেব চেপে গিয়েও চেপে রাখতে পারলেন না। ক্ষোভে বলেই ফেললেন, ‘এটা একটা শোকসভা, আর আপনারা সাংবাদিক। তাই আর কিছু না বলি।’

তার এই একটা লাইন কানে বাজছে বারবার! শোকসভাটা লজ্জার হয়ে গেল…..

আমার ধারণা, এই ঘটনা জানলে মন্ত্রী নিজেও লজ্জা পাবেন। তিনিও শিল্প সংস্কৃতি চর্চার আবহে বেড়ে উঠা একজন মানুষ।’


মন্তব্য করুন