শাকিব-অপুর বিয়ের খবরে তোলপাড়!
২৯ আগস্ট বেলা ২টা ৪৭ মিনিট। একটি বিদেশি নাম্বার থেকে কল আসে। রিসিভ করতেই ভেসে আসে অপরিচিত মহিলার কণ্ঠস্বর। আমার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি নিজেকে অপু বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন এবং অপু সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানাতে চান। তিনি বলেন, অপু ভালো নেই। তার এই ভালো না থাকার জন্য শাকিব খান দায়ী। অপুকে বিয়ে করেছেন শাকিব এমনও দাবি তার।– বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘শাকিবের গোপন কথা ফাঁস!’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমনটা লিখেছেন আলাউদ্দিন মজিদ। এরপরই ঢালিউডে যেন মৌচাকে ঢিল পড়েছে।
ওই অজ্ঞাত নারীর বরাতে জানানো হয়, বিয়ের সাল উল্লেখ করতে পারলেও কোন কাজী অফিসে বিয়ে হয় তা সূত্রটি জানাতে পারেননি। একজন প্রযোজক যিনি কিনা শাকিব-অপুর খুব কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত তিনি এই বিয়েতে সহযোগিতা করেন, বাসায় কাজী নিয়ে আসেন। গুলশানে শাকিবের বাসাতেই বিয়ে পড়ানো হয় বলে সূত্রটি দাবি করে বলেন, ওই প্রযোজক ছিলেন বিয়েতে উকিল বাবা। আর শাকিবের এক চাচাতো ভাই ছিলেন সাক্ষী। অপুর পক্ষে কোনো সাক্ষী ছিল না বলেও দাবি সূত্রের।
বিয়েতে কারো পরিবারের অন্য কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, মুসলিম রীতি অনুযায়ী সম্পন্ন হওয়া বিয়েতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী অবন্তী বিশ্বাস অপুর নাম কাবিননামায় ‘অপু ইসলাম খান’ নামে লিপিবদ্ধ করা হয়। অপুর ঘনিষ্ঠ সূত্র বলে দাবিদার ব্যক্তি বলেন, বিয়ের পর বেশ সুখেই দিন কাটছিল তাদের। গুলশানে শাকিবের বাসাতেই বেশির ভাগ সময় কাটতো দুজনের।
শাকিবের অনুরোধে অপু অন্য কোনো নায়কের বিপরীতে তেমন একটা অভিনয় করতে পারেননি। সূত্র জানায়, এক সময় তাদের সম্পর্ক তিক্ততার দিকে মোড় নিতে শুরু করে। এর জন্য অপুর প্রতি শাকিবের আচরণই দায়ী বলে জানায় সূত্র। অপুর চেয়ে অন্য মেয়েদের প্রতি শাকিবের দুর্বলতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অপু আঁচ করতে পারলে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে।
সূত্রটি জানায়, অপু বিশ্বাস কোনোভাবেই শাকিব খানকে ছাড়তে চান না। শাকিব খানকে নিয়েই সুখে সংসার করার ইচ্ছে তার। বিয়ের কাবিননামার একটি কপি অপুর কাছেই ছিল। কিন্তু এ বছরের শুরুর দিকে দুজনের মনোমালিন্য চরমে পৌঁছলে শাকিব জোর করে অপুর কাছ থেকে কাবিননামা নিয়ে যান। এত কিছুর পরও শাকিবের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকেন অপু। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি। শাকিব-অপুর সম্পর্ক যখন চরম অবনতির দিকে গড়ায় তখনই হতাশ হয়ে অপু চলতি বছরের মার্চ থেকে নিজেকে সবার আড়াল করে নেন। শাকিবের বিপরীতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’ ছবির কাজ ফিরিয়ে দেন। শুটিং বাকি থাকা ‘পাংকু জামাই’, ‘রাজনীতি’, ‘মা’ ছবির কাজে আর ফেরেননি। গুলশানে নিজের জিম সেন্টারটিও বন্ধ করে দেন। নতুন কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া দূরে থাক কোনো নির্মাতা বা সাংবাদিকের মুখেমুখি পর্যন্ত হননি তিনি। এমনকি নিজের কাছের মানুষদের কাছ থেকেও দূরে সরে যান।
ব্যর্থ ও হতাশ হয়ে জুন মাসে বিদেশে চলে যান অপু। সূত্রটি জানায়, বর্তমানে নতুন নায়িকা বুবলীর প্রতি শাকিবের অতি প্রীতি অপুকে আরও বিধ্বস্ত করে ফেলেছে অপু নাকি বলেছেন শাকিব যত কিছুই করুক তাকে ডিভোর্স দেবেন না তিনি। সূত্রের দেওয়া তথ্য মতে, অপু বলেছেন শাকিব খান এতদিন ধরে তার ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছেন তার প্রতিশোধ কড়ায় গণ্ডায় উসুল করবেন তিনি। তাই শাকিবকে ডিভোর্স দেবেন না। শাকিবকে নিয়েই সংসার করবেন তিনি।
সূত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয় শাকিবকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তটি এখন কীভাবে দেখছেন অপু। সূত্র বলছে, অপু এটিকে ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখছেন এখন আর বারবার বলছেন ‘আমি ভুল করেছি’।
কাম্য নয়। সূত্র জানায়, অপু বিশ্বাস এ বছরের শেষ দিকেই দেশে ফিরবেন। এ সময়ের মধ্যে শাকিবের কাছ থেকে কোনো রকম ইতিবাচক সাড়া না পেলে সংবাদ সম্মেলন করে শাকিবের অনেক অজানা তথ্য সবাইকে জানিয়ে দেবেন অপু।
এ সব তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন সাজানো হলেও ওই অজ্ঞাত নারীর তথ্য ছাড়া অন্য কোনো সূত্রের বরাত দেননি প্রতিবেদক। এর জন্য শাকিব-অপুর বিদেশে থাকাকে উল্লেখ করেন তিনি। তবে অনেকদিন ধরে ঢালিউডের এ জুটির বিয়ের গুজব রয়েছে। এবারই প্রথম প্রথমসারির কোনো সংবাদমাধ্যমে খবরটি পরিবেশিত হলো।