![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
সফল নির্মাতাই নন, অভিনেতাও ছিলেন শামসুদ্দিন টগর
শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত প্রায় প্রতিটি ছবিই ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় হয়েছিল। পাশাপাশি একাধিক চলচ্চিত্রে বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। একজন ভালো অভিনেতাও বটে। অনেক চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2022/07/shamsuudin_togor_bobita_bmdb_image.jpg?resize=960%2C720&ssl=1)
ববিতা ও জাফর ইকবালের সঙ্গে টগর
শামসুদ্দিন টগর ১৯৪৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর খুলনার ডুমরিয়া থানার টুরনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকায় ২০১২ সালের ২৩ জুলাই মারা যান।
টগরের বাবা মিয়া মতিন ছিলেন পুলিশ অফিসার, মা নাসুদা খাতুন। তের ভাই-বোনের মধ্যে শামসুদ্দিন টগর ছিলেন সবার বড়। তার ছোট দুই ভাইও অভিনয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন। এক ভাই মহিউদ্দিন লালু অভিনয় করতেন মঞ্চে, আরেক ভাই মঞ্চ ও টেলিভিশনের বিখ্যাত অভিনেতা-নির্দেশক কামালউদ্দিন নিলু। এফডিসি’র কর্মকর্তা ও চিত্রপরিচালক প্রয়াত আবদুল মতিন ছিলেন তার শ্বশুর।
বাবার বদলির চাকরির সুবাদে শামসুদ্দিন টগর বিভিন্ন জেলায়, বিভিন্ন স্কুলে পড়া-লেখা করেছেন। তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে মেট্রিক ও ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে বি.এ পাস করেন। কলেজে থাকা অবস্থায়ই ফরিদপুরের বিভিন্ন মঞ্চে নাটক করে বেড়াতেন তিনি, ‘মিনার্ভা’ নামে তাদের একটি নাট্যগ্রুপ ছিল।
চলচ্চিত্রে আসার আগে পিডিবি’তে চাকরি করতেন শামসুদ্দিন টগর। অভিনয় পাগল সাংস্কৃতিমনা শামসুদ্দিন টগর, তৎকালীন সময়ে ভালোমানের সরকারি চাকরি ছেড়ে, নিজের ভালোবাসার জায়গা চলচ্চিত্রে মনোনিবেশ করেন ।
১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘কার বউ’ ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত হন তিনি। চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্তের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন ।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2022/07/shamsuudin_togor_bmdb_image.jpg?resize=720%2C960&ssl=1)
শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র পারভেজ ফিল্মস-এর ব্যানারে, সোহেল রানা প্রযোজিত ‘দস্যু বনহুর’ মুক্তিপায় ১৯৭৬ সালে। তিনি ‘সারথী’ ছদ্মনামে এই ছবিটি পরিচালনা করেন। তাঁর পরিচালিত অন্যান্য ছবিগুলো হলো- বানজারান, মহেশখালীর বাঁকে, আখেরী নিশান, হুর-এ আরব, গলি থেকে রাজপথ, দখল, সম্রাট, রাজ ভিখারী, নকল শাহজাদা, নূরী, মহুয়া সুন্দরী, হুমকী, রতনমালা, সতী কমলা, যুবরাজ, জজ সাহেব, চেনাজানা শত্রু, ইত্যাদি।
শামসুদ্দিন টগর তরুণ বয়সে তিনি কিছু চলচ্চিত্রে খলনায়ক-সহনায়ক হিসেবে বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করেছেন। শেষের দিকে তিনি নিয়মিত চলচ্চিত্র এবং নাটকে অভিনয় করেই ব্যস্ত ছিলেন । তার অভিনীত ছবি- সংগ্রাম, হারজিৎ, দস্যু বনহুর, এপার ওপার, গোপন কথা, দম মারো দম, মাসুদ রানা, জীবন নৌকা, জজ সাহেব, স্বপ্নের বাসর, স্বপ্ন পূরণ, জীবনের চেয়ে দামী, মেঘের কোলে রোদ, বিন্দুর ছেলে, ভালোবাসার লাল গোলাপ, হুমকীর মুখে, সুন্দরী বধূ, মা-বাবার স্বপ্ন, ভালোবাসার শেষ নাই, তুই যদি আমার হইতি, সমাজের শত্রু, মায়ের জন্য মরতে পারি প্রভৃতি।
তথ্য: আজাদ আবুল কাশেম, ছবি: ফিরোজ এম হাসান