Select Page

এক উর্দুপ্রেমীর গল্প

এক উর্দুপ্রেমীর গল্প

নাম : ফাগুন হাওয়ায় – In Spring Breeze
ধরন : হিস্টোরিক্যাল-ড্রামা
পরিচালক : তৌকীর আহমেদ
প্রযোজনা : ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি.
কাস্ট : যশপাল শর্মা (ওসি জামশেদ), সিয়াম আহমেদ (নাসির), নুসরাত ইমরোজ তিশা (দীপ্তি), সাজু খাদেম (মঞ্জু), রওনক হাসান (ওয়াহেব), আবুল হায়াত (দীপ্তির দাদা), ফজলুর রহমান বাবু (থানার ঝাড়ুদার), ফারুক আহমেদ (মাওলানা), আফরোজা বানু (নাসিরের মা) প্রমুখ।
শুভমুক্তি : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

নামকরণ : ছবির গল্প শুরু হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৫১ হতে। আর শেষ হয়েছে ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ তে এসে; বাংলা সন অনুযায়ী এটি ফাল্গুন মাস। যে আন্দোলন পুরো পৃথিবীর বুকে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছে, সেই মাতৃভাষা নিয়ে আন্দোলনটি সংঘটিত হয়েছিল এই ফাল্গুন মাসেই। তাই সঙ্গত কারণেই এতো সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ নামটি নির্বাচন করা হয়েছে।

কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ : ছবিটি টিটো রহমানের প্রায় ১৬ বছর আগে প্রকাশিত ছোটগল্প “বউ কথা কও” এর অবলম্বনে তৈরী। মাত্র দুই পৃষ্ঠা দৈর্ঘ্যের এই ছোটগল্পটি নিয়ে ছবি তৈরির ঘোষণা আসে তখনই কিছুটা দ্বিধান্বিত হচ্ছিলাম, সোয়া দুই ঘন্টা করতে গিয়ে না আবার সবকিছু গড়মিল হয়ে যায়। অবশ্য ছবির চিত্রনাট্যকার তৌকীর আহমেদের ওপর অবশ্যই আস্থা ছিল, এর আগেও তার লেখা বেশ কিছু ছবির কাজ আমি দেখেছি। কোথাও হতাশ হয়নি।

ছবিটি দেখার পর একদম নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায়, তৌকীর আহমেদ কঠিন কাজটি সহজে করতে পেরেছেন। গল্প থেকে চিত্রনাট্যে যেমন কিছু বিষয় যোগ করেছেন, তেমনি প্রয়োজনে কিছু বিষয় বিয়োগ করেছেন। গল্পে অনেকগুলি চরিত্র, তাই একেকটি চরিত্র ডেভলপ করতে স্ক্রিনপ্লে কিছুটা সময় নিয়েছে। যার কারণে ছবির প্রথম ২০/২৫ মিনিট কিছুটা ধীরগতির। এরপর মূলগল্পে প্রবেশের পর দারুণ সব সিক্যুয়েন্সের সমন্বয়ে চিত্রনাট্য তার আসল গতি পায় এবং সেটি একদম ছবির শেষ সিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

ছবিতে দেখা যায়, তৎকালীন খুলনার অন্তর্গত ‘চন্দ্রনগর’ নামক একটি উপজেলায় নতুন এক ওসি পশ্চিম পাকিস্তান হতে বদলি হয়ে এখানে আসেন। তিনি যেমন মুসলিমদের আলাদা কদর করেন, তেমনি কট্টর উর্দুপন্থী। তিনি তার ভাষাকে এতোটাই ভালোবাসেন যে, তিনি চান তার গাছে বসে থাকা পাখিটাও উর্দুতে কিচিরমিচির করুক। তিনি এই অজপাড়াগাঁয়ে বসে প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত চিঠি পাঠিয়েছিলেন, উর্দুকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাস্ট্রভাষা হিসেবে চালু রাখা হোক। পরবর্তীতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দিলে তিনি খুশিতে পুরো থানায় মিষ্টি বিতরণ করেন।

এসব করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, পশুপাখিও যেন উর্দুতে কিচিরমিচির/গর্জন করে সেরকম একটা আইন জারি করার জন্য তিনি আবারো প্রধানমন্ত্রীর নিকট চিঠি পাঠান। তিনি বিধর্মী, বিশেষ করে হিন্দুদের একদমই সহ্য করতে পারেন না; একইসাথে বাঙালিদের সংস্কৃতি, আচার, ব্যবহার, পোশাক, খাবার ইত্যাদিও তার সহ্যসীমার বাইরে। গ্রামবাসীদের মধ্যকার এসব বিষয় পরিবর্তনের জন্য তিনি তার ক্ষমতার বিরূপ প্রভাব খাটাতে শুরু করলে ঐ গ্রামেরই একদল নাট্যদলকর্মীর সাথে তিনি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। সেই দ্বন্দ্বের প্রভাব কতখানি এবং তার জন্য কি মূল্য দিতে হয় সেটাই ছবির বাকি অংশে দেখা যায়।

চিত্রনাট্যে তেমন বিশেষ কোনো ঘাটতি নেই, তবে কিছু অপূর্ণতা রয়েছে। সেগুলো নিয়ে পড়ে আলোচনা করবো। আসা যাক ছবির সংলাপের ব্যাপারে, যেটা এ ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখনকার বাংলা ভাষা কিন্তু আর আগের মতো মিষ্টি নেই, ছয় দশকে মুখের ভাষায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ভালো বিষয় হলো ছবিতে সিয়াম-তিশার মুখে সেই পুরোনো মিষ্টি ভাষাই পাওয়া গেছে, ফজলুর রহমান বাবু’র মুখে আঞ্চলিক ভাষা পাওয়া গেছে। যশপাল শর্মার মুখে পাওয়া গেছে উর্দু ভাষা, আর এর সাথে ইংরেজী তো রয়েছেই।

এ অংশ পাবে ১০০ তে ৯০

পরিচালনা এবং অভিনয় : বর্তমান সময়ে আমাদের যেকয়জন বড়পর্দার নিয়মিত পরিচালক রয়েছেন, তৌকীর আহমেদ হলেন তাদের মধ্যকার সেরাদের একজন। “ফাগুন হাওয়ায়” হলো তার মুক্তিপ্রাপ্ত ৬ষ্ঠ ছবি, একমাত্র “রূপকথার গল্প” বাদে আমি তার সবগুলো ছবি দেখেছি। তিনি প্রতিবারই ভক্তদের জন্য নতুন কিংবা ভিন্নধর্মী কিছু নিয়ে আসেন। এবার তিনি আনলেন ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ছবি, যা এর আগে কেউ করেনি। আর প্রতিবারের মতো এবারও তিনি তার সেরাটা ঢেলে দিয়েছেন। তিনি যে এখন কতটা পরীক্ষিত এবং অভিজ্ঞ তারই যেন জানান দিলেন এ ছবির মাধ্যমে। ঠিক দলনেতার মতোই পুরো কাজটিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

নিঃসন্দেহে, ভারতের যশপাল শর্মাই হলেন এছবির সেরা অভিনেতা। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রেই তিনি ছিলেন। একজন বদমেজাজি পুলিশ অফিসারের চরিত্রে তার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিল ছবির অন্যতম প্লাস পয়েন্ট! এছাড়া তার অভিনয় নিয়ে তো আর নতুন করে কিছু বলার নেই। সবমিলিয়ে বলবো চরিত্রটির জন্য তিনি একদম উপযুক্ত ছিলেন।

যশপাল শর্মাকে ঘিরে ছবির বাকি চরিত্রগুলো পর্দায় ডানা মেলেছে। সিয়াম-তিশা দুজনই ভালো পারফরমেন্স দিয়েছেন। সিয়াম এ ছবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিপ্লবী ছাত্রের চরিত্র রূপদান করেছেন, যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সদা সোচ্চার। অন্যদিকে তিশা এক হিন্দু ঘরের মেয়ের চরিত্র রূপদান করেছেন। মুক্তির আগে যারা জুটি হিসেবে সিয়াম-তিশাকে নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিলেন তাদের প্রতি রইলো সমবেদনা। নাসির-দীপ্তিরূপে তারা খুব ভালোভাবেই একসাথে পর্দা রাঙিয়েছেন, তাদের দেখতেও ভালো লেগেছে।

সিয়ামের ভাইয়ের চরিত্র প্লে করা সাজু খাদেম এবং গ্রামের মাওলানার চরিত্র প্লে করা ফারুক হোসেনের কথা আলাদাভাবে বলতেই হয়। দুজনের অভিনয় এবং সার্কাজমমূলক ডার্ক কমেডি অনেক বিনোদন দিয়েছে। তাদেরকে ভবিষ্যতে বড়পর্দায় নিয়মিত দেখলে বেশ ভালোই লাগবে।

নেগেটিভ চরিত্রে রওনক হাসান এবং শহীদুল আলম সাচ্চুও বেশ ভালো করেছেন। তারা দুজন যথাক্রমে মুসলিম লীগের নেতা এবং স্বনামধন্য ব্যবসায়ীর চরিত্র রূপদান করেছেন। এছাড়াও অনেকদিন বাদে আবুল হায়াত এবং আফরোজা বানুকে বড়পর্দায় দেখলাম। আবুল হায়াত একজন ডাক্তার এবং আফরোজা বানু ছিলেন নাসির অর্থাৎ, সিয়ামের মায়ের চরিত্রে। খুবই ভালো লেগেছে তাদেরকে একত্রে দেখতে পেয়ে।

আক্ষেপ লেগেছে ফজলুর রহমান বাবুর প্রতি। কেন জানি মনে হলো তার চরিত্রটি অন্য সবার তুলনায় একটু কম গুরুত্ব পেলো। তিনি যে অসাধারণ অভিনেতা সেতো সবার জানা, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ছবিতে তিনি কিছুটা কম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পাচ্ছেন। হয়তো ভবিষ্যতে তাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখতে পারবো এই আশায় থাকতাম।

এছাড়াও ছবিতে একঝাঁক পার্শ্বঅভিনেতা রয়েছে, সবার নাম জানিনা তাই উল্লেখ করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা না থাকলে ছবিতে অনেক কিছুই কমতি লাগতো।

এ অংশ পাবে ১০০ তে ৯০

কারিগরি : এর আগে যারা “হালদা” ছবিটি দেখেছেন তারা তো মোটামুটি সবাই জানেন, ছবিটি কারিগরি দিক থেকে কতটা উন্নত ছিল। এছবিটি তার থেকেও ঢের এগিয়ে। সিনেমাটোগ্রাফি বলুন, এডিটিং বলুন, কালার গ্রেডিং কিংবা ডাবিং, সবদিক থেকেই।

সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পঞ্চাশের দশকের আবহ তৈরি করা। এটা মোটেও সহজ কাজ নয়, প্রচুর খাটাখাটনি এবং বিপুল পরিমাণের জনশক্তির প্রয়োজন হয়েছে। এক্ষেত্রে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এবং পরিচালক তৌকীর আহমেদ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার, তারা সেই আবহটি স্বল্প বাজেটেই তুলে ধরতে পেরেছেন।

ছবির লোকেশনগুলোও দারুণ ছিল। আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, দীগন্ত বিস্তৃত আকাশ মিলে যাচ্ছে সবুজ ধানক্ষেতের সাথে, সকালের কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ কিংবা মধ্যরাতের দৃশ্য সবই দেখতে পাওয়া গেছে মনোরম লোকেশন এবং চোখ জুড়ানো সিনেমাটোগ্রাফির কল্যাণে। এডিটিং এবং ভিএফএক্স এর কাজ মোটামুটি হয়েছে। ছবিতে একটি সোনালী ধরনের কালার প্যালেট ব্যবহার করা হয়েছে, এটিও মানানসই ছিল। সাউন্ড এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কাজ মোটামুটি লেগেছে।

এ অংশ পাবে ১০০ তে ৯০

বিনোদন এবং সামাজিক বার্তা : আমাদের মধ্যে যারা বিংশ শতাব্দৗর শিশু-কিশোর, তারা শুধুমাত্র এটাই জানি ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস; এই দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কিন্তু কখনোই এই ভাষা আন্দোলনের মর্মার্থ বোঝার মতো পরিবেশ কিংবা সময় কোনোটাই আমাদের হয়নি। “ফাগুন হাওয়ায়” মাতৃভাষার মমত্ববোধ কতটা সেটার কিছুটা হলেও আন্দাজ দিতে পারবে। ছবিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব উপলব্ধি করানোর জন্য বাঙালিদের গাছে কথা বলা ময়না পাখির সাথে তুলনা করা হয়েছে। যে পরিবেশে বেড়ে ওঠে গাছের পাখি বাংলায় বলে “বউ কথা কও”, সেখানে পুরো একটি জাতি কীভাবে উর্দুকে আপন করে নিবে? ব্রিটিশদের অত্যাচারে পরিবার কিংবা ভিটেমাটি, অনেকেই অনেকিছু হারিয়েছে। তাদের আপন বলতে একমাত্র ছিল এই মাতৃভাষা।

তবে ছবিতে যে শুধু বার্তা-ই দেওয়া হয়েছে তেমনটি না। প্রথম হাফের মাঝ থেকে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝ পর্যন্ত পুরো অংশজুড়েই ছিল নানারকম হাস্যরসাত্মক কর্মকান্ড। সেখানে যেমন সাজু খাদেমদের অভিনয় মজা দিয়েছে, তেমনি যশপাল শর্মা কিংবা মাওলানার বিভিন্নভাবে কুপোকাত হওয়ার ঘটনাবলীও আনন্দ দিয়েছে। ওসির আদুরে পোষা মোরগ চুরি, সকল পুলিশ অফিসার এবং গ্রামবাসীদের ধরে ধরে উর্দু শেখানো, ময়না পাখিকে উর্দু গান শোনানো, মাওলানা এবং ওসি জামশেদকে জ্বৗনের ভয় দেখানো, মঞ্জুর মেয়ে সেজে ওসি জামশেদকে কুপোকাত করাসহ আরো নানারকম মজাদার কান্ডকারখানা দেখা যায় ছবিতে।

ছবিতে গান রয়েছে সাকুল্যে একটি। “তোমাকে চাই” শিরোনামের গানটি গেয়েছেন সুকন্যা মজুমদার এবং পিন্টু ঘোষ। গানটি আমার ভালো লেগেছে, এর চিত্রায়নও ভালো ছিল।

 এ অংশ পাবে ১০০ তে ৭০

ব্যক্তিগত : ছবিটি নিয়ে যেমন আমার অনেক আশা ছিল তেমনি কিছুটা শঙ্কাও ছিল। শ্যামলী হলে হাউসফুল রেসপন্স দেখে শুরুতেই মন ভালো হয়ে গেলো, এ বছরের প্রথম কোনো ছবি হলভর্তি দর্শকের সাথে দেখতে পেলাম।

চিত্রনাট্যের সবগুলো দিক তো আগেই বলেছি, শুধু বলা হয়নি অপূর্ণতার বিষয়গুলো। ছবিটি কিছু নির্দিষ্ট চরিত্রের ওপর অনেকবেশি ফোকাস করা। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাচ্ছিলাম পাকিস্তান সরকার এবং থানার নতুন ওসির উদ্ভট কর্মকাণ্ডে চন্দ্রনগরের সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন সেটা দেখতে। গ্রামের মানুষদের ছবির প্রথমার্ধে দেখা গেলেও দ্বিতৗয়ার্ধে একদমই খুজেঁ পাওয়া যায়নি। তবে থানায় ওসির অন্তর্গত যেসব বাঙালি পুলিশ অফিসার রয়েছেন পর্দায় তাদের মনোভাব এবং প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এটি কিছুটা হলেও উল্লেখ করা অপূর্ণতা পুষিয়ে দিয়েছে।

অবশ্য এক্ষেত্রে বাজেটও একটা বড় ফ্যাক্ট। কয়েকটা ইন্টারভিউ এ দেখেছি তৌকীর আহমেদ বলেছেন, তিনি এছবিটি তৈরি করতে চেয়েছিলেন প্রায় ১২/১৩ বছর আগেই। কিন্তু তিনি কোনো প্রযোজক পাচ্ছিলেন না। এই সময়টায় তিনি ধীরে ধীরে চিত্রনাট্য প্রস্তুত করেছেন। অবশেষে তিনি প্রযোজক পেলেন এবং আজ ছবিটি মুক্তি পেলো।

রেটিং : ৮.৫/১০

ছবিটি কেন দেখবেন : তৌকীর আহমেদ, এই একটা নামই যথেষ্ট আগ্রহ সৃষ্টির জন্যে। তার ছবি ছোট থেকে বড় সবাই উপভোগ করতে পারে। আর এবার তিনি দর্শকের এমন কিছু এনেছেন যা আমাদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরছে। স্বপরিবারে আনন্দ সহকারে ছবিটি দেখে আসুন। বন্ধুবান্ধবদের সাথেও উপভোগ করতে পারবেন। ভালো লাগবে আশাকরি।


মন্তব্য করুন