Select Page

‘গহীন বালুচর’ সৌদের দ্বিতীয় সিনেমা!

‘গহীন বালুচর’ সৌদের দ্বিতীয় সিনেমা!

বছরের শেষ সিনেমা হিসেবে ‘গহীন বালুচর’ এর কাছে দর্শক প্রত্যাশা কম নয়। ফ্রেশ নির্মাণের জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এতদিন দর্শক জেনে এসেছেন এটি নাট্যনির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের প্রথম সিনেমা। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে— এর আগে ‘খণ্ডগল্প ১৯৭১’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন সৌদ, যা একটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার জিতেছে।

‌‘খণ্ডগল্প ১৯৭১’ সিনেমা হিসেবে সৌদ নির্মাণ করেননি। বরং চ্যানেলের কারসাজির স্বীকার হয়েছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো প্রতিবাদও করেননি। তাই প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক— সৌদ বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন কিনা?

ভোরের কাগজের বিনোদন সাংবাদিক মাহফুজুর রহমানের এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে খবরটি উঠে এসেছে।

তিনি লেখেন, “যেকোন নতুন চিত্রনির্মাতার জন্য মিডিয়া উদার। নবাগত পরিচালক মিডিয়ার পৃষ্ঠপোষকতা পান ষোল আনা। কিন্তু কোন নির্মাতা যদি নিজের দ্বিতীয় ছবিকে ‘প্রথম’ দাবি করে বাড়তি কাভারেজ নেন, তবে কি সেটা সমর্থনযোগ্য? প্রথম সন্তানকে অস্বীকার করে কোন শিল্পের স্রষ্টা কি আর সৎ থাকেন?

২৯ ডিসেম্বর রিলিজ পাচ্ছে বদরুল আনাম সৌদের ছবি ‘গহীন বালুচর’। বাংলাদেশের প্রতিটি মিডিয়া ছবিটিকে সৌদের ‘প্রথম ছবি’ বলে লিখেছে বা প্রচার করেছে। যা সর্বৈব মিথ্যা। মিডিয়া ভুল করলেও (যদিও এই ভুল মারাত্মক) সৌদের উচিত ছিল চেপে না গিয়ে মুখ খোলা।

২০১১ সালের ১৬ মার্চ সেন্সর সার্টিফিকেট পায় সৌদ পরিচালিত প্রথম ছবি (ডিজিটাল) ‘খণ্ডগল্প ১৯৭১’। ২৬ মার্চ চ্যানেল আইতে এ ছবির প্রিমিয়ার হয়। ১৬ মার্চ বাংলানিউজ২৪ একটি সংবাদে ‘নাটক’ বলে ‘খন্ডগল্প ১৯৭১’কে অভিহিত করে। ‘প্রথম আলো’র ৩০ নভেম্বরের একটি সংবাদ বলছে- নাটক নয়, ‘খণ্ডগল্প ১৯৭১’ ছবি হিসেবেই কলকাতা উৎসবে অংশগ্রহণ করে।

২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে পুরস্কার পায় সেমন্তী। মেয়েটি এই সম্মানজনক পুরস্কার পায় ‘খন্ডগল্প ১৯৭১’-এ অভিনয়ের জন্য। অথচ সৌদ বিলকুল ছবিটিকে মিডিয়ার কাছ থেকে আড়াল করেছেন।

রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত একটি ছবির প্রতি কেন এই বিরাগ? বোধহয় এই কারণেই যে, শুরুতে যা ছিল ‘নাটক’, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের কারসাজিতে তাই হয়ে গেল ‘সিনেমা’। বছরের পর বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি গন্ডায় গন্ডায় নাটক বানিয়ে ছবি বলে চালিয়ে দিচ্ছে। কোনো সিনেমা হলে মুক্তি না দিয়ে শুধুমাত্র টিভি প্রিমিয়ার করছে সেসব সিনেমা নামধারী নাটকগুলো।

সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে- নাটকগুলোর জন্য জাতীয় পুরস্কার ছিনিয়ে নিচ্ছে ইমপ্রেস। দর্শকপ্রিয় হওয়া স্বত্তেও শত শত ছবির ভাগ্যে জাতীয় পুরস্কার জুটছে না। শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েও জুরি বোর্ডের মন গলছে না সিনেমার নির্মাতাদের প্রতি। উল্টোদিকে কোনমতে ‘সিনেমা’র সীল লাগিয়ে ইমপ্রেস গৌরবজনক পুরস্কারগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে।”

‘খণ্ডগল্প ১৯৭১’ এমন একটি ‘সিনেমার চেহারায় নাটক’ বলেই সৌদ পুরস্কার পেয়েও ছবির জন্য কোন কৃতিত্ব দাবি করছেন না। তথাকথিত ডিজিটাল ছবিটিকে নিজের প্রথম ছবি না বলে দ্বিতীয় ছবিকেই বলছেন ‘অভিষেক’।”


মন্তব্য করুন