জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৭৮-১৯৮০)
১৯৭৮ : প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ সর্বোচ্চ ১০ টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে। আমজাদ হোসেন এই ছবির জন্য ৫ টি পুরষ্কার অর্জন করেন। তবে এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারে হ্যাটট্টিক অর্জন করা নায়িকা ববিতা পুরস্কৃত না হওয়ায় অনেকেই হতাশ হন। অনেকের মতে, কবরীর সাথে যৌথভাবে পুরস্কৃত হতে পারতেন ববিতা। সেরা গায়ক শাখায় সৈয়দ আবদুল হাদী ও আবদুল জব্বারের মধ্যে ভীষণ প্রতিযোগিতা হয়, দুইজনই পুরস্কার প্রাপ্য ছিলেন। সৈয়দ আবদুল হাদী পরবর্তীতে আরো বেশ কয়েকবার পুরস্কৃত হলেও আবদুল জব্বার এখন পর্যন্ত জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেননি।
১. সেরা চলচ্চিত্র- গোলাপী এখন ট্রেনে
২. সেরা পরিচালক- আমজাদ হোসেন (গোলাপী এখন ট্রেনে)
৩. সেরা চিত্রনাট্যকার- আমজাদ হোসেন (গোলাপী এখন ট্রেনে)
৪. সেরা সংলাপ রচয়িতা- আমজাদ হোসেন (গোলাপী এখন ট্রেনে)
৫. সেরা সংগীত পরিচালক- আলাউদ্দিন আলী (গোলাপী এখন ট্রেনে)
৬. সেরা অভিনেতা (যৌথভাবে)- রাজ্জাক (অশিক্ষিত) ও বুলবুল আহমেদ ( বধূ বিদায়)
৭. সেরা অভিনেত্রী- কবরী (সারেং বউ)
৮. সেরা সহ অভিনেতা- আনোয়ার হোসেন (গোলাপী এখন ট্রেনে)
৯. সেরা সহ অভিনেত্রী- আনোয়ারা (গোলাপী এখন ট্রেনে)
১০. সেরা শিশু শিল্পী (যৌথভাবে)- সুমন সাহা (অশিক্ষিত) ও শাকিল ( ডুমুরের ফুল)
১১. সেরা গীতিকার- আমজাদ হোসেন (গোলাপী এখন ট্রেনে)
১২.সেরা গায়ক- সৈয়দ আবদুল হাদী(গোলাপী এখন ট্রেনে)
১৩.সেরা গায়িকা- সাবিনা ইয়াসমিন(গোলাপী এখন ট্রেনে)
১৪. সেরা চিত্রগ্রাহক ( সাদাকালো)- অরুন রায় (বধূ বিদায়)
১৫. সেরা চিত্রগ্রাহক (রঙ্গিন)- রফিকুল বারী চৌধুরী (গোলাপী এখন ট্রেনে)
১৬. সেরা সম্পাদক- নুরুন্নবী (ডুমুরের ফুল)
১৯৭৯ : প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবু ইসহাকের উপন্যাস অবলম্বনে বাংলাদেশ সরকারি অনুদানে প্রথম নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ সর্বোচ্চ ৮টি শাখায় জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। সেরা অভিনেতা শাখায় এই বছর কাউকে পুরস্কার দেয়া হয়নি। যদিও এই শাখায় ঈমান ছবির জন্য নায়ক ওয়াসিম প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছিলেন। সেরা সহ অভিনেত্রী শাখায় রওশন জামিল পুরস্কার পাবার জোর গুঞ্জন উঠলেও পুরস্কৃত হন আনোয়ারা।
১. সেরা চলচ্চিত্র- সূর্য দীঘল বাড়ী
২. সেরা পরিচালক- শেখ নিয়ামত আলী ও মসিউদ্দিন শাকের (সূর্য দীঘল বাড়ী)
৩. সেরা চিত্রনাট্যকার- শেখ নিয়ামত আলী ও মসিউদ্দিন শাকের (সূর্য দীঘল বাড়ী)
৪. সেরা সংলাপ রচয়িতা- আমজাদ হোসেন (সুন্দরী)
৫. সেরা সংগীত পরিচালক- আলাউদ্দিন আলী (সুন্দরী)
৬. সেরা অভিনেত্রী- ডলি আনোয়ার (সূর্য দীঘল বাড়ী)
৭. সেরা সহ অভিনেতা- সাইফুদ্দিন (সুন্দরী)
৮. সেরা সহ অভিনেত্রী- আনোয়ারা (সুন্দরী)
৯. সেরা শিশু শিল্পী (যৌথভাবে)- সজীব ও ইলোরা গহর (সূর্য দীঘল বাড়ী)
১০. বিশেষ শাখায় সেরা শিশু শিল্পী- লেনিন (সূর্য দীঘল বাড়ী)
১১. সেরা গীতিকার- আমজাদ হোসেন (সুন্দরী)
১২. সেরা গায়ক- সৈয়দ আবদুল হাদী ( সুন্দরী)
১৩. সেরা গায়িকা- সাবিনা ইয়াসমিন (সুন্দরী)
১৪. সেরা চিত্রগ্রাহক- আনোয়ার হোসেন (সূর্য দীঘল বাড়ী)
১৫. সেরা সম্পাদক- সাইদুল আনাম টুটুল (সূর্য দীঘল বাড়ী)
১৬. সেরা শিল্প নির্দেশক- আব্দুস সবুর (আরাধনা)
১৯৮০ : সরকারি অনুদানে নির্মিত প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘এমিলের গোয়েন্দাবাহিনী’ সর্বোচ্চ ৫টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে। কিংবদন্তি তিন সংগীত ব্যক্তিত্ব আলাউদ্দিন আলী,সৈয়দ আবদুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিন পরপর তিনবার পুরস্কার পেয়ে হ্যাটট্টিক করেন।বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত সিনেমা ‘ছুটির ঘন্টা’ সেরা শিশু শিল্পী সহ কোনো শাখায় পুরস্কৃত না হওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
১. সেরা চলচ্চিত্র- এমিলের গোয়েন্দাবাহিনী
২. সেরা পরিচালক- আবদুল্লাহ আল মামুন (এখনই সময়)
৩. সেরা চিত্রনাট্যকার- খান আতাউর রহমান (ডানপিটে ছেলে)
৪. সেরা সংলাপ রচয়িতা- সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (ঘুড্ডি)
৫. সেরা সংগীত পরিচালক- আলাউদ্দিন আলী (কসাই)
৬. সেরা অভিনেতা- বুলবুল আহমেদ (শেষ উত্তর)
৭. সেরা অভিনেত্রী- শাবানা (সখী তুমি কার)
৮. সেরা সহ অভিনেতা- গোলাম মুস্তাফা (এমিলের গোয়েন্দাবাহিনী)
৯. সেরা সহ অভিনেত্রী- রোজিনা ( কসাই)
১০. সেরা শিশুশিল্পী (যৌথভাবে)- শাকিল (ডানপিটে ছেলে) ও টিপটিপ (এমিলের গোয়েন্দাবাহিনী)
১১. সেরা গীতিকার- খান আতাউর রহমান ( ডানপিটে ছেলে)
১২. সেরা গায়ক- সৈয়দ আবদুল হাদী (কসাই)
১৩. সেরা গায়িকা- সাবিনা ইয়াসমিন (কসাই)
১৪. সেরা চিত্রগ্রাহক (সাদাকালো)- শফিকুল ইসলাম স্বপন (ঘুড্ডি)
১৫. সেরা চিত্রগ্রাহক (রঙ্গিন)- আনোয়ার হোসেন (এমিলের গোয়েন্দাবাহিনী)
১৬. সেরা সম্পাদক- বাদল রহমান (এমিলের গোয়েন্দাবাহিনী)
১৭. সেরা শব্দগ্রাহক- মুস্তফা কামাল (যদি জানতেম)