চাষী নজরুলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী
কালজয়ী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার। ২০১৫ সালের এই দিনে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৪১ সালের ২৩শে অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চলচ্চিত্রাঙ্গনে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তার বিচরণ। চলচ্চিত্র পরিচালনা প্রধান ক্ষেত্র হলেও প্রযোজনা ও অভিনয়েও ছিল তার উল্লেখযোগ্য পদচারণা। ছোটবেলায় চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল। চাষী নজরুল ইসলামের ডাক নাম ছিল তিনু। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক তার নাম রেখেছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম। মূলত তার মামার নামের পদবি থেকে তার নামের শুরুতে ‘চাষী’ পদবি সংযুক্ত করেন শেরেবাংলা একে ফজলুল হক। প্রয়াত পরিচালক ফতেহ লোহানীর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার মধ্যদিয়ে ১৯৬২ সালে চাষী নজরুল ইসলাম চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৩ সালে তিনি কাজ করেন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ওবায়দুল হকের সঙ্গে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। নাম দিয়েছেন ‘ওরা ১১ জন’। এরপর তিনি একাই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছয়টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত ছবি হচ্ছে ‘সংগ্রাম’, ‘দেবদাস’, ‘ভালো মানুষ’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শুভদা’, ‘বেহুলা লক্ষ্মীন্দর’, ‘দাঙ্গা-ফ্যাসাদ’, ‘মিয়া ভাই’, ‘বিরহ ব্যথা’, ‘লেডি স্মাগলার’, ‘বাসনা’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘শাস্তি’, ‘আজকের প্রতিবাদ’, ‘শিল্পী’, ‘সুভা’, ‘দুই পুরুষ’, ‘হাছন রাজা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘ধ্রুবতারা’, ‘রঙিন দেবদাস’। চাষী নজরুল ইসলাম মৃত্যুর আগে সর্বশেষ নির্মাণ করেছিলেন ‘অন্তরঙ্গ’ ও ‘ভুল যদি হয়’ ছবি দুটি। তবে মৃত্যুর পর সেগুলো মুক্তিও পেয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্তরঙ্গ’ ছবিটি। আর ‘ভুল যদি হয়’ মুক্তি পায় ৮ই জানুয়ারি।
এদিকে কালজয়ী এ নির্মাতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চাষী নজরুল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করবেন ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক জ্যোৎস্না কাজী।
সূত্র : মানব জমিন