Select Page

‘ছুটির ঘণ্টা’ দেখে বহুদিন স্কুলের টয়লেট ব্যবহার করেননি ফারুকী

‘ছুটির ঘণ্টা’ দেখে বহুদিন স্কুলের টয়লেট ব্যবহার করেননি ফারুকী

এফডিসির বাইরের নির্মাতাদের সাধারণ এ ঘরানার নির্মাতা বা কলা-কুশলীদের নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় না। অল্প ব্যতিক্রমের মাঝে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

মঙ্গলবার রাতে সদ্য প্রয়াত আজিজুর রহমানকে স্মরণ করেছেন তিনি। ফারুকী জানান, তাদের ব্যক্তিগত জানা-শোনা ছিল। তার নাটক দেখে আজিজুর রহমান নিজেই যোগাযোগ করেন।

ফারুকী ফেসবুকে লেখেন, ‘আজিজ ভাই মারা গেছেন, জানতে পারলাম বেশ পরে। আজিজ ভাই মানে ফিল্মমেকার আজিজুর রহমান। ছোট বেলায় তাঁর পরিচালিত “ছুটির ঘন্টা” দেখে বহু মাস স্কুলের টয়লেট ব্যবহার করার সাহস পাই নাই। পরে শুনছি, উনি নাকি ঐ ছবি করার আইডিয়া পান একটা নিউজ রিপোর্ট থেকে। সেই যুগে বাংলাদেশে বসে নিউজ রিপোর্ট থেকে আইডিয়া নিয়ে প্রেম পিরিতি ছাড়া মেনস্ট্রিমের জন্য একটা ছবি করার হিকমত সহজ নহে।

আমার সৌভাগ্য বড় হয়ে নিয়তি আমাকে আজিজ ভাইয়ের কাছে নিয়ে আসে। একুশে টেলিভিশনের জন্য কানামাছি নামে একটা টেলিফিল্ম বানাই। পুরা ছবিটা একটা জাহাজের ভিতর। জাহাজ ঢাকা থেকে সুন্দরবন যায়, আর দর্শক হিসাবে আমার যাই সুন্দর-মনের ভিতর। ঐ টেলিফিল্ম আমি শ্যুট করতে যাই কোনো স্ক্রিপ্ট ছাড়া। পুরা কাজটা ইমপ্রোভাইজেশনের মাধ্যমে করি। এবং ঐ কাজেই আমি প্রথম মেট্রোপলিটন কলোকুইয়াল ব্যবহার করি। তো সেই টেলিফিল্ম দেখে উনি আমাকে খুঁজে বের করেন। এবং আমি যা না, উনি সেই প্রশংসা করতে থাকেন আমাকে নিয়ে। উনি এই কাজটা করেন সেই যুগে যখন এফডিসি কেন্দ্রিক একদল ফিল্মমেকার হাজারটা উপায় বের করতেছিলেন আমার চাকা পাংকচার করার জন্য। তো সেইখানে উনার কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা আমাকে ইন্সপায়ার করছে এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই।

এরপর মাঝে মধ্যে কথা হতো। কিন্তু কানাডা চলে যাওয়ার পর যোগাযোগ কমে যায়।

আজিজ ভাই, আমার আম্মা বলতেন মৃত মানুষ নাকি সব দেখতে পায়। জীবিতরা তো শুধু চোখের সামনে যা তাই দেখতে পায়। মৃতরা দেখে কাছে দুরে, বাইরে ভেতরে সব। আপনি নিশ্চয়ই দেখছেন, আপনার জন্য কেনো জানি কান্না পাচ্ছে। যদিও আপনার সাথে আমার এমন কোনো স্মৃতি নাই যে কাঁদতে পারি। তবু কেনো মন কাঁদে হায়?’


মন্তব্য করুন