জীবনে একটাই উপন্যাস পড়েছেন মাহি
না, ক্লাসের বাইরে অন্য কোনো বই পড়ার অভ্যাস ছিল না মাহিয়া মাহির। তাই জীবনের প্রথম উপন্যাসটা পড়লেন সিনেমায় আসার কয়েক বছর পর! তাও সিনেমার জন্য।
সেই উপন্যাসটি ছিল হুমায়ূন আহমেদের ‘কৃষ্ণপক্ষ’। বোঝাই যাচ্ছে, মেহের আফরোজ শাওনের একই নামের সিনেমার জন্যই পড়েছেন!
প্রথম আলোর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাহির প্রস্তুতির গল্পটা মোটামুটি এ রকমই। আগে যতগুলো ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন, প্রায় কোনোটিরই চিত্রনাট্য পড়তে হয়নি তাকে। গল্পটা শুনতাম, তারপর গিয়ে দাঁড়াতেন ক্যামেরার সামনে। এমনকি বই পড়ার অভ্যাসও নেই এই তারকার!
জানালেন, ক্লাসের বইয়ের বাইরে সম্ভবত তার পড়া প্রথম বই হুমায়ূন আহমেদের ‘কৃষ্ণপক্ষ’, সেও সিনেমাটিতে অভিনয় করার খাতিরে পড়া।
মাহি বলেন, “কৃষ্ণপক্ষ’ ছবিটার কোনো চিত্রনাট্য ছিল না। পরিচালক আমাকে বইটা ধরিয়ে দিলেন। এবার আমাকে বই পড়তে হবে! এটা ভেবে আমি তো পড়লাম বিপদে। ক্লাসের বই ছাড়া জীবনে কোনো দিন বই পড়িনি। বইটা পড়তে শুরু করলাম। ভালো লাগল।”
আরও বলেন, “ওই বইটা পড়ার পর থেকে মনে হয়েছে, হুমায়ূন আহমেদের কোনো চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি দ্বিতীয়বার চিন্তা করব না এবং অবশ্যই আগে বইটা পড়ে নেব।”
এ দিকে অনেক দিন পর ক্যামেরার সামনে ফিরছেন মাহি। সম্প্রতি অনুদানের ‘আশীর্বাদ’ নামে একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এরই আগে ঠিকঠাক করা ছিল শাকিব খানের সঙ্গে ‘নবাব এলএলবি’। গত রোববার সন্ধ্যায় তাঁর বসার কথা ছিল এই ছবিটিরই চিত্রনাট্য নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘না জানি সন্ধ্যায় আবার মনে হয়, থাকুক। কাল পড়ব!’ ‘নবাব এলএলবি’র ছবির শুটিং শুরু হয়ে গেছে। বুধবার থেকে শুরু হবে মাহির অংশের কাজ। সিনেমায় চুক্তি সইয়ের পর থেকে ক্যামেরার সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর আগের সব প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি খুব বেশি হোমওয়ার্ক করতে পারি না। সাইন করার পর থেকে ডিরেক্টর আমাকে বলতে শুরু করেন, “ক্যারেক্টারে ঢোকার চেষ্টা করো, ক্যারেক্টারে ঢোকার চেষ্টা করো”, আমি কোনোভাবেই ক্যারেক্টারে ঢুকতে পারি না, যতক্ষণ না শুটিং স্পটে ঢুকি। স্পটে যাব, ডিরেক্টর আমাকে ক্যারেক্টার ব্রিফ করবেন, গিয়ে দাঁড়াব ক্যামেরার সামনে! শুটিং স্পটে ঢোকার পর থেকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো পর্যন্ত সময়ই আমার প্রস্তুতি।’