Select Page

নায়কোচিত ইমরান

নায়কোচিত ইমরান

ইমরান.. আশি-নব্বই দশকের নায়ক।

ছবির সংখ্যা বেশি না হলেও ভালো নায়ক ছিল। তার সময়ের ব্যস্ত তারকাদের সাথেই ছবি করেছে। তার লুক ছিল যেমনি নায়কোচিত ঠিক তেমনি অভিনয়টাও ভালো করত।

শাবানা কথা বলে না, কোনো অনুভূতিও নেই তার। বেঁচে থেকেও মরে যাবার মতো। ইমরান শেষবারের মত মাকে কথা বলতে বললে মা তখনো চুপ। তারপর ইমরান জলভরা চোখে অভিমানে বেদনায় চলে যেতে থাকে। যেই বাসার বাইরে যাবে অমনি মা শাবানা `খোকা’ বলে চিৎকার দেয়। ইমরান মাথা ঘুরিয়ে অসাধারণ একটা এক্সপ্রেশন দেয়। ছবির নাম ‘অজান্তে।’ রিয়াজের মতো নায়ক যে আজ বড় তারকা এ ছবিতে ইমরানের ভূমিকা ছিল বেশি। ‘মাগো তুমি একবার খোকা বলে ডাকো’ জনপ্রিয় এ গানের লিপে ছিল ইমরান। পুরো ছবিতে নিজের সেরা অভিনয়টা করেছে।

পাপড়ির সঙ্গে ইমরান

কাঞ্চির বিপরীতে ‘দেমাগ’ ছবিটি ইমরানের উল্লেখযোগ্য ছবি। একক নায়কের ভূমিকায় ছিল। অ্যাকশন ছবি ছিল।

প্রবীরমিত্র তার বাচ্চা ছেলেকে ডাস্টবিনে রেখেছিল অনেক আগে। পরে আর একটা বিয়ে করলে সে ঘরে ছেলে থাকে ইমরান। ছেলেকে আদর করে না তাই ইমরান বলে-‘আমি জানি বাবা তোমার ঐ অশ্রু শুধু সেই ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হারানো ছেলের জন্য।’ ছবির নাম ‘বদসুরত।’ এ ছবিতে ইলিয়াস কাঞ্চনের সৎভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিল ইমরান।

ইমরান ও কাঞ্চি

‘পিতামাতার পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত/ এই কথাটি যে বুঝেছে সেই তো সুখী হয়েছে’

‘পিতা-মাতা-সন্তান’ ছবির এ গানের অন্যতম নায়ক ছিল ইমরান।

জসিমের ছবিতে সেকেন্ড হিরোর রোল করেছে দু’একটি ছবিতে।

ইমরানের প্রেম ছিল ‘লড়াকু’ ছবির আলোচিত নায়িকা পাপড়ির সাথে। পরে কাঞ্চি-র সাথেও প্রেম ও বিয়ের পর ডিভোর্সও হয়েছিল। ইমরান-কাঞ্চি একটা জনপ্রিয় জুটিও দাঁড়িয়ে গিয়েছিল একটা সময়।

বর্তমানে ইমরান

আলোচনার টেবিল না পাওয়া নায়কদের মধ্যে ইমরান অন্যতম। ভালো ছবি ও অভিনয়ের মধ্যে বেঁচে থাকবে দর্শকের মাঝে।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র গত শতকে যেভাবে সমৃদ্ধ ছিল সেই সমৃদ্ধির দিকে আবারও যেতে প্রতিদিনই স্বপ্ন দেখি। সেকালের সিনেমা থেকে গ্রহণ বর্জন করে আগামী দিনের চলচ্চিত্রের প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠুক। আমি প্রথমত একজন চলচ্চিত্র দর্শক তারপর সমালোচক হিশেবে প্রতিষ্ঠিত হবার স্বপ্ন দেখি। দেশের সিনেমার সোনালি দিনের উৎকর্ষ জানাতে গবেষণামূলক কাজ করে আগামী প্রজন্মকে দেশের সিনেমাপ্রেমী করার সাধনা করে যেতে চাই।

মন্তব্য করুন