Select Page

নির্বাচনী হলফনামায় অর্থ-গাড়ি-বাড়ির হিসাব দিলেন ফেরদৌস

নির্বাচনী হলফনামায় অর্থ-গাড়ি-বাড়ির হিসাব দিলেন ফেরদৌস

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ। অনেকগুলো প্লট-ফ্ল্যাটের মালিক চিত্রনায়ক ফেরদৌস নিজে ২০ লাখ টাকা দামের গাড়ি ব্যবহার করলেও তার স্ত্রী চড়েন এক কোটি ৮৫ লাখ টাকার গাড়িতে। তার বার্ষিক আয় ৫০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। এ ছাড়া তার কোনো ব্যাংক ঋণ নেই।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ২৯ নভেম্বর হলফনামা জমা দেন এই প্রার্থী।

হলফনামায় ফেরদৌস উল্লেখ করেছেন, তিনি যে গাড়িতে চড়েন, সেটির নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৪১১, যার দাম  ২০ লাখ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৭-৪১৬৫, যার দাম ১ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা।

ফেরদৌস থাকেন পুরোনো বনানী ডিওএইচএসের ৩ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর হোল্ডিংয়ে। ভবনটির পাঁচ তলায় দুটি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। ফ্ল্যাট দুটির দাম দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা। রাজউকের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টে তার আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে (নম্বর ১০১)। তবে এটির কোনো দাম উল্লেখ করেননি তিনি।

মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে কোতোয়ালি থানা এলাকায় চার দশমিক ৬৫ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত একটি তিন তলা বাড়ির ২০ শতাংশ ফ্লোরের মালিক ফেরদৌস। পূর্বাচলের ৭ নম্বর সেক্টরে ৩০১ নম্বর রোডে পাঁচ কাঠা আয়তনের একটি প্লটেরও মালিক তিনি।

এছাড়া পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তার দুটি প্লট রয়েছে। একটির আয়তন ২৬ ও আরেকটির ৩৩ শতাংশ। রাজধানীর ধামালকোর্টে আছে কার পার্কিংসহ দুটি ফ্ল্যাট, যা মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মিরপুরের বাউনিয়ায় সাড়ে ১৬ শতাংশের আরেকটি প্লট রয়েছে নায়ক ফেরদৌসের। সাভারের আশুলিয়ায় ৭ কাঠা আয়তনের আরও দুটি প্লট রয়েছে তাঁর।

স্ত্রীর আছে ৪০ ভরি স্বর্ণ। তার নিজের স্বর্ণালংকার ২০ ভরি। রোলেক্স ঘড়ি আছে একটি, যা উপহার হিসেবে পাওয়া।

নূজহাত ফিল্মস নামে চলচ্চিত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ আছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। আসবাবপত্রের দাম অজানা। ফেরদৌসের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১৫ লাখ টাকার। এ ছাড়া দুটি ব্যাংকে আছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্র, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারও রয়েছে।

হলফনামায় নায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘আমি একক বা যৌথভাবে বা আমার ওপর নির্ভরশীল কোনো সদস্য অথবা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ধরনের ঋণ গ্রহণ করিনি।’

এদিকে ফেরদৌসের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন জাকের পার্টির মো. হুমায়ুন কবীর ও জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান।


মন্তব্য করুন