Select Page

পরী মনির মামলায় নাসির গ্রেপ্তার

পরী মনির মামলায় নাসির গ্রেপ্তার

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টি নেতা নাসির উদ্দিন মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডে নাসির উদ্দিনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে পরী মনি ছয়জনের বিরুদ্ধে থানা অভিযোগ করেন। এরপর নাসিরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নাসির ইউ মাহমুদ বা নাসির উদ্দিন মাহমুদ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান। ছিলেন লায়ন ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান। গ্রেপ্তার অপর চারজনের নাম জানা যায়নি।

রবিবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে পরী মনি জানান, চার দিন আগে উত্তরা বোট ক্লাবে তাককে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করে নাসির ইউ মাহমুদ। তিনি উত্তরা বোট ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যফেয়ার্স এর দায়িত্বে আছেন।

নায়িকা জানান, তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয় ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। রাত আড়াইটার দিকে বনানী থানায় অভিযোগ করেন। থানা অভিযোগ নিলেও তাকে অভিযোগের কপি দেওয়া হয় নাই।

এর আগে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে পরী ফেসবুকে লেখেন-

“বরাবর,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমি পরীমণি।এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক।আমার পেশা চলচ্চিত্র।
আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আমি এর বিচার চাই।

এই বিচার কই চাইবো আমি? কোথায় চাইবো? কে করবে সঠিক বিচার ? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজির আহমেদ আইজিপি
স্যার! আমি কাউকে পাইনা মা।
যাদেরকে পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনা বিস্তারিত জেনে, দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়!

আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারিনা। আজ আমার সাথে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কী বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মতো (যাদের অনেক নাম এক্ষুণি মনে পড়ে গেল) তাদের মতো আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো।

আফসোস ছাড়া কারোর কি করবার থাকবে তখন!
আমি তাদের মতো চুপ কি করে থাকতে পারি মা?
আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোন অন্যায় মেনে নিতে!

আমার মা যখন মারা যান তখন আমার বয়স আড়াই বছর। এতদিনে কখনো আমার এক মুহুর্ত মাকে খুব দরকার এখন,
মনে হয়নি এটা। আজ মনে হচ্ছে , ভীষণ রকম মনে হচ্ছে মাকে দরকার ,একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার।

আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা।
মা আমি বাচঁতে চাই।
আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা ?”


মন্তব্য করুন