পুরস্কার জিতল ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’
ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত এনএফডিসির বার্ষিক ফিল্ম বাজারের অংশ কো-প্রোডাকশন মার্কেটে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রকল্পের পুরস্কার জিতেছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’। পুরস্কার হিসেবে ফারুকী পেয়েছেন নগদ ১০ লাখ রুপি ও সনদপত্র।
সোমবার রাতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হাতে ১০ লাখ রুপি ও সনদপত্র তুলে দেন রোম উৎসবের শৈল্পিক পরিচালক মার্কো মুলার।
এদিকে পুরস্কার জেতার বিষয়টি জানিয়ে ফারুকী সোমবার ফেসবুকে লিখেন-
হাউ গুড ইজ দ্যাট, পিপল!!!
‘আমার পরবর্তী ছবি “নো ল্যান্ডস ম্যান” সাউথ এশিয়ার ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট মার্কেট “ফিল্ম বাজারে” বেস্ট প্রজেক্ট এওয়ার্ড পেয়েছে ।
এওয়ার্ডের দশ লাখ রুপি অবশ্যই একটা ব্যাপার । তারচেয়েও বড় ব্যাপার বোধ হয় এর প্রেস্টিজ । যারা ওয়াকিবহাল নন প্রজেক্ট মার্কেট সম্পর্কে, তাদের জন্য এইটুকু তথ্য দেয়া যায় – প্রজেক্ট মার্কেটে ফিল্মমেকাররা তাদের পরের ছবির গল্প এবং আগের কাজ পাঠান। সেখান থেকে পঁচিশ-তিরিশটা প্রজেক্ট সিলেক্ট হয়। তারপর সিলেক্টেড ছবির পরিচালকরা তাদের স্ক্রিপ্ট পিচ করেন । সেখান থেকে বেস্ট প্রজেক্ট এওয়ার্ড দেয়া হলো আজকে। আর ফিল্মবাজার প্রজেক্ট মার্কেট সম্পর্কে একটা তথ্যই যথেষ্ট – কান, ভেনিস, বার্লিনের প্রোগ্রামাররা পরবর্তী সাউথ এশিয়ান ছবি সিলেকশনের জন্য ফিল্মবাজারের দিকে রাডার ফেলে রাখে । লাঞ্চবক্স (কান), কোর্ট (ভেনিস ), মার্গারিটা উইথ আ স্ট্র (টরন্টো )- ফিল্মবাজারের আলোচিত প্রজেক্টের ছোট্ট তিনটা উদাহরণ।’
উল্লেখ্য, প্রজেক্ট মার্কেটে নির্মাতারা তাদের পরের ছবির গল্প এবং আগের কাজ পাঠান। সেখান থেকে ২৫-৩০টি প্রজেক্ট নির্বাচিত হয়। তারপর নির্বাচিত ছবির পরিচালকরা তাদের স্ক্রিপ্ট পিচ করেন। সেখান থেকে সেরা প্রজেক্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এবারের ফিল্ম বাজারে কো-প্রোডাকশন মার্কেটে নির্বাচিত প্রজেক্টের সংখ্যা ছিল ৩০টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মিরান, আসিম আহলুওয়ালিয়া, সাবিহা সুমার এবং আমির বশিরের প্রজেক্ট।