Select Page

প্রেমের সমাধি: ঢাকা-কলকাতার তফাত

প্রেমের সমাধি: ঢাকা-কলকাতার তফাত

ফিল্মের নায়ক বাপ্পারাজপ্রসেনজিত দুজনই ‘প্রেমের সমাধি’ গানে অভিনয় করছেন। বাপ্পারাজের অভিনয় প্রসেনজিতের চাইতে বেটার সেখানে।

দৃশ্যায়নের দিক থেকেও বাংলাদেশিটা বেটার। শাবনাজ, অমিত হাসানের অভিনয় এই গানে কলকাতার বাকি দুজনের চাইতে ভালো।

বাপ্পারাজ শুকনার মধ্যে অনেকবার পড়েন, গড়াগড়ি খান, এরপর পানিতে নামেন। অন্যদিকে কলকাতার ভার্সনে প্রসেনজিত প্রায় এক মিনিট পরেই কাদায় নেমে যান। এই দোষ পরিচালনার।

শাবনাজ নৌকার মধ্যে ভেতরে বসে থাকেন, সাথে আরেক মেয়ে। খুশি অমিত হাসান একবার আসতে চাইলেও আসেন না শাবনাজের কান্দন দেখে। কিন্তু অন্য মেয়েরে ইশারা দেন তার টেইক কেয়ার করার জন্য।

অন্যদিকে কলকাতার গানে ওই নায়ক-নায়িকা নৌকায় দাঁড়াইয়া থাকেন। অল্পদূরে দৌড়াইতে থাকা প্রসেনজিতরে তাদের দেখতে পারার কথা।

গানের পরিচালনা ও অভিনয়, দুই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশি ভার্সন এগিয়ে।

কিন্তু, পরবর্তীকালে দেখা গেল, প্রসেনজিত নিজেরে সময়ের সাথে আপডেট করে নিতে পারলেন। ভিন্ন ধরনের ফিল্মে অভিনয় করে নিজের নায়ক হিশাবে জনপ্রিয়তা রাখতে পারলেন। বাপ্পারাজ নিজেরে রি-ডিফাইন করতে পারলেন না।

প্রেমের সমাধি (১৯৯৬), পরিচালনা ইফতেখার জাহান
বকুল প্রিয়া (১৯৯৭), পরিচালনা স্বপন সাহা

এর দোষ শুধু অভিনেতার বলা যাবে না। কলকাতায় ওই ভিন্ন ধারার কিছু ফিল্ম তৈরি হয়েছিল, তাদের দর্শক ছিল। বাংলাদেশে এটা হয়নি। ফলে অভিনেতারা সুযোগও পান নাই।

তারা যে টাইপ অভিনয় করে জনপ্রিয় হইছিলেন, ওই টাইপের চরিত্রেই তাদের নেয়া হইছে। ওই ধরনের কাহিনি ও চরিত্রের প্রয়োজন ফুরাইলে তারাও উপযোগিতা হারাইছেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত

লেখক ও বিশ্লেষক

মন্তব্য করুন