Select Page

বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ প্রযোজনা : যা বললেন ফারুকী

বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ প্রযোজনা : যা বললেন ফারুকী

যৌথ প্রযোজনা বললেই, ভারত-বাংলাদেশ এমন চিত্র ভেসে ওঠে। এবার একাধিক দেশের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার মতে সুষ্ঠু নীতিমালার আওতায় শুধু ভারত নয়, এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যৌথ প্রযোজনা হোক।

ফারুকী ফেসবুকে লেখেন, ‘চারিদিকে এখন কোলাবোরেশন, কো-প্রোডাকশন এইসব নিয়ে কথা হচ্ছে। যেটা খুবই স্বাস্থ্যকর। মেইনস্ট্রিম ফর্মুলা ছবিগুলোর যতোখানি না দরকার, এই ধরনের কোলাবোরেশন তারচেয়ে বেশি দরকার। অঁতর ছবিগুলোর, যারা নিজের ফর্মুলায় গল্প বলতে চান।

কিন্তু এই ক্ষেত্রে মুশকিল হলো, আমরা যৌথ প্রযোজনা বলতে কেবল ভারত, বা আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে, কোলকাতা বুঝি। সময় এসেছে বোঝার যে দক্ষিণ এশিয়াতে আরো দেশ আছে। নেপাল তার মাঝে অন্যতম। নেপাল এবং বাংলাদেশের চিত্রভাষা তৈরির লড়াইয়ে একটা মিল আছে যে, দুই দেশই বলিউড স্কুলের ছায়ার তল থেকে বের হয়ে নিজের ঢংয়ে গল্প বলার চেষ্টা করছে।

গত কয় বছরে নেপালের অর্জন ঈর্ষনীয়। ভেনিস-বার্লিনে ওদের ফিচার ফিল্ম গেছে, যেটা আমরা পারিনি। আবার আমাদের অনেক অর্জন আছে যেটা হয়তো ওরা পারেনি। কিন্তু আমাদের দুই দেশেরই দর্শক আছে, গল্প আছে, গল্প বলার মানুষও বাড়ছে। আমি মনে করি, দুই দেশের সরকারেরই এই বিষয়ে নজর দেয়া প্রয়োজন যাতে বাংলাদেশ-নেপাল কোপ্রোডাকশনের পাশাপাশি দুই দেশের ছবি দুই দেশে রিলিজের একটা বন্দোবস্ত যেন করা যায়।

এবারের ‘একাদেশমা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে’ নেপাল ফোকাস কান্ট্রি করেছে বাংলাদেশকে। তরুণ ফিল্মমেকার ভাই-বোনেরা, আপানাদের শর্ট ফিল্ম নির্ধারিত সময়ে জমা দিন। প্রতিযোগিতার ফল যাই হোক, লেটস লিভ আ মার্ক। এবং এই উৎসবের মধ্য দিয়ে নেপাল-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনা এবং বাজার সম্প্রসারনের আলোচনা শুরু হোক।’


মন্তব্য করুন