‘মহুয়া সুন্দরী’ পরী যা বললেন
রওশন আরা নীপা পরিচালিত ‘মহুয়া সুন্দরী’কে নিজের অভিনীত সেরা সিনেমা বলে মন্তব্য করেছেন পরী মনি। ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর প্রিয়াংকা শুটিং স্পটে সিনেমাটির মুক্তি উপলক্ষে এক প্রীতি সম্মেলনে এ কথা বলেন পরীমনি। ‘মহুয়া সুন্দরী’ মুক্তি পাচ্ছে ২০ নভেম্বর।
মহুয়া চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে পরীমনি বলেন, “আমার জীবনে এ ধরনের ছবিতে আর কাজ করা হবে কিনা জানি না। আমার এখন পর্যন্ত করা ছবিগুলোর মধ্যে সেরা একটি কাজ ‘মহুয়া সুন্দরী’। আমি আমার দর্শকদের অনুরোধ করবো তারা যেন হলে গিয়ে ছবিটি দেখেন।”
সরকারি অনুদান ও মাস্টার অপেরার যৌথ প্রযোজনায় ‘ময়মনসিংহ গীতিকা’র জনপ্রিয় উপাখ্যান ‘মহুয়ার পালা’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ হয়েছে। সিনেমাটির প্রযোজনায়ও যুক্ত আছেন পরী মনি। মহুয়া সুন্দরী নামের ছবিটির চিত্রনাট্যও লিখেছেন নির্মাতা নিজেই। আরও অভিনয় করছেন মামুনুর রশীদ, সুচরিতা, সুমিত, জয়রাজ প্রমুখ। ছবিতে গান আছে ছয়টি। সংগীতায়োজন করেছেন ইমন সাহা এবং অমিত চট্টোপাধ্যায়।
প্রীতি সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্রটির পোস্টারের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পোস্টারের মোড়ক উন্মোচন শেষে ছবিটি সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন, নির্মাতা সালাউদ্দিন জাকি, সোহানুর রহমান সোহান, গাজী মাজারুল আনোয়ার, সাদেক বাচ্চু, সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী, ইমন সাহা, জয় রাজ, পরীমনি এবং নির্মাতা রওশন আরা নীপা। অনুষ্ঠানে বক্তারা ছবিটির সাফল্য কামনা করেন। এবং সবাইকে হলে গিয়ে ছবিটি দেখার অনুরোধ করেন।
ধারাভাষ্যকার গাজী মাজহারুল ইসলাম বলেন, “এর আগে যে দুইবার ‘মহুয়া সুন্দরী’ ছবিটি বানানো হয়েছিল তার পাবলিসিটির জন্য আমি কাজ করেছিলাম। এই ছবির একই কাজ প্রায় ৩০ বছর পর করলাম। ছবিটি একেবারেই আধুনিক সময়ের উপযোগী করে বানানো হয়েছে। দেখে মনে হবে ২০১৫ সালেরই গল্প।”
কবি দ্বিজ কানাই ৩০০ বছর আগে একটি পালাগান রচনা করেন ‘মহুয়া সুন্দরী’ নামে। পালাগানটিতে মোট ৭৫৫টি ছত্র আছে, যেগুলোকে দীনেশচন্দ্র সেন ২৪টি অধ্যায়ে বিভক্ত করেছেন। বিখ্যাত এ পালাগানটি নিয়ে এর আগে দুটি ছবি নির্মিত হয়েছে।
১৯৬৬ সালে আলী মনসুর নির্মাণ করেছিলেন ‘মহুয়া’। পরে ১৯৮৬ সালে শামসুদ্দিন টগর নির্মাণ করেন ‘মহুয়া সুন্দরী’। আর এবার ২৯ বছর পর রওশন আরা নিপার পরিচালনায় ‘মহুয়া সুন্দরী’ ছবি মুক্তি পাচ্ছে।