Select Page

মুনমুন অশ্লীল কিছু করেননি

মুনমুন অশ্লীল কিছু করেননি

mun-mun-bfdc

২০১৪ সালে সর্বশেষ ‘কুমারী মা’ সিনেমায় দেখা যায় আলোচিত নায়িকা মুনমুনকে। এর আগে বেশকিছু বছর পর্দায় দেখা যায়নি অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত এ নায়িকা। চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝিতে তিনি সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র ‌‘কাসার থালায় রূপালি চাঁদ’ সিনেমাতে শুটিং শুরু করেন। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন অভিনেতা ড্যানি সিডাক।

এমন খবর প্রকাশে মিডিয়ায় শুরু হয় তোলপাড়। তবে এ অভিনেত্রী রাইজিংবিডিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের জানান, তিনি কখনো অশ্লীল কিছু করেননি।

আপনাকে নিয়ে অনেককেই নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা যায়। কিন্তু কেন?— এ প্রশ্নের উত্তরে মুনমুন বলেন, “এর কারণ হলো দর্শকদের সামনে আমাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যারা আমার সিনেমা দেখছেন আর যারা দেখেননি, সবার সামনে আমাকে এমনভাবে উপস্থাপনা করা হয়, যাতে মনে হয় আমি সিনেমায় উলঙ্গ হয়ে কাজ করেছি। বাস্তবতা হলো- আমি কোনো দিনই কোনো সিনেমায় উলঙ্গ হয়ে অথবা অশ্লীল কোনো দৃশ্যে কাজ করিনি। এক ঈদে আমার অভিনীত সিনেমা ‘রানী কেন ডাকাত’ মুক্তি পায়। তখন একই সঙ্গে সাতটি সিনেমা মুক্তি পায়। তবে সবগুলো সিনেমাকে টপকিয়ে ‘রানী কেন ডাকাত’ দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এ সিনেমার ধারে কাছেও যেতে পারেনি অন্য সিনেমাগুলো। বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তখন থেকেই আমার পিছনে কিছু লোক লাগে।”

আপনার অভিনীত ‘নিষিদ্ধ নারী’, ‘মহিলা হোস্টেল’ এর মতো সিনেমাগুলো নিয়ে বেশ বির্তক রয়েছে। এ বিষয়ে আপনার অভিমত জানতে চাই।– এর উত্তরে মুনমুন বলেন, “আমার অভিনীত শেষের দিকের তিন থেকে চারটা সিনেমায় অশ্লীলতা ছিল। তবে সেগুলোতে আমার অভিনীত অংশগুলোতে অশ্লীল কিছু ছিল না। অশ্লীল যা কিছু ছিল, তা হচ্ছে ‘কাটপিস’। এর জন্য তো আর আমি দায়ী নই। আমি তো পরিচালক-প্রযোজক নয়। আমার অভিনীত অশ্লীল কোনো দৃশ্য নেই। তবে আমার সিনেমায় অন্যের দৃশ্য কাটপিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।”

munmun

অনেক সময় নারী শিল্পীদের সংক্ষিপ্ত পোশাক পরিয়ে অভিনয় করানো হয়। এটাতো একজন অভিনয় শিল্পীর না জানার কিছুই নেই।– এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তা ঠিক। এজন্য আমিও ব্যক্তিগতভাবে অনেকবার প্রতিবাদ করেছি। একবার আমি এক সিনেমার সেটে পরিচালকের সঙ্গে ঝগড়াও করে শুটিং স্পট থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য উদ্যত হই। সে সময় তারা আমাকে আটকিয়ে দেয়। সেদিন আমি তাদের নির্বাচিত খোলামেলা পোশাক পরতে রাজি ছিলাম না। পরে বিরোধিতার মুখে তারা আমার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়। আমি, আমার সঙ্গে থাকা কস্টিউম পড়ে শট দিই। কিন্তু পরে সিনেমাটিতে দেখলাম, তারা আমাকে বিকৃতভাবে পর্দায় উপস্থাপন করেছে।’

মুনমুনকে প্রশ্ন করা হয়, ‌মাঝে একটা সময় দেশের চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনি যে সময়টার কথা বলছেন, তখন নায়িকাদের কোনো দোষ ছিল না। অভিনেত্রীরা চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে অশ্লীল দৃশ্যে কাজ করেছেন। এতে শিল্পীদের কোনো কিছু করার ছিল না। সে সময় তারা বড় জোর সিনেমার কাজ ছেড়ে দিতে পারত। কিন্তু কিছু লোক ছিল যারা নানা কৌশলে মেয়েদের মগজ ধোলাই করত। তারা মেয়েদের জীবনকে একবারে বরবাদ করে দিয়েছে। এ রকম একটি ঘটনার কারণে পারিবারিক অশান্তি তৈরি হওয়ায় একটা মেয়ে আত্মহত্যাও করে। এমন কিছু মেয়েরা সে সময় কাজ করেছে, যারা পরিবারের কাছেও খারাপ ছিল, আবার সিনেমায় কাজ করতে এসে পরিচালকদের কথা মানতে হতো। আসলে তারা সিনেমার কাজও ছেড়ে দিতে পারেনি সে সময়। পরিবারও তাদের পাশে থাকেনি। সব মিলিয়ে তারা ছিল পরিস্থিতির শিকার। আদতে মেয়েদের কোনো দোষ ছিল না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আসল দোষটা টাকা লগ্নিকারীদের। অধিক মুনাফার লোভে তারা এসব কাজ করেছেন। আমার সময় ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী এসেছেন, যাদের ভবিষৎ খুবই উজ্জ্বল হতে পারত। তাদের প্রথমই গলা টিপে মেরে ফেলছে এসব খারাপ লোকেরা।’

সবশেষে তিনি ভালো কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।ms


মন্তব্য করুন