Select Page

শাকিবের ‘সময়জ্ঞান’ নিয়ে এক সময়ের পরিচালক জুটির পরস্পরবিরোধী মন্তব্য

শাকিবের ‘সময়জ্ঞান’ নিয়ে এক সময়ের পরিচালক জুটির পরস্পরবিরোধী মন্তব্য

ওয়াজেদ আলী সুমন, শাকিব খান ও শাহীন সুমন

শাহীন সুমন নামে যুগল পরিচালক শাহীনসুমন একসময় অনেক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এখন তারা শাহীন সুমন ও ওয়াজেদ আলী সুমন হয়ে আলাদা আলাদাভাবে ছবি নির্মাণ করেন। তাদের আলোচিত ছবিগুলো মূলত শাকিব খান নির্ভর। সম্প্রতি সাবেক এ জুটি নায়কের ‘সময়জ্ঞান’ নিয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করলেন।

নেতিবাচক মন্তব্যটি করেন শাহীন সুমন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির এ সাধারণ সম্পাদক শাকিব খানকে নিয়ে (যুগলভাবে) নির্মাণ করেছেন ২২টি চলচ্চিত্র।

শাকিব খানকে নাকি বাংলাদেশের নির্মাতা ব্যবহার করতে পারছেন না? এমনই একটি প্রশ্নের উত্তরে শাহীন সুমন বলেন, শাকিব খান কলকাতার সেটে যায় ভোর ৬টায়।আর আমাদের সেটে আসে বিকেল ৩টায়।

আরও বলেন, একদিনেই কী শাকিব খান হয়ে গেছে, আমাদের বাংলাদেশের মেধাবী ডিরেক্টররাই শাকিব খান বানিয়েছে। শাকিব খান বাংলাদেশ থেকে হওয়ার পরে কিন্তু কলকাতায় গিয়েছে। শাকিব খানকে আমারই তৈরি করেছি। কলকাতায় গিয়েই একটা ছবিতে একটু গেটাপ, চুলের স্টাইল করে দেখতে অন্যরকম হওয়ার কারনে খুব বেশি প্রাধান্য দিলেন যে কোলকাতার লোকরা পারে, ওদের টেকনিশিয়ানরা পারে আর আমাদের দেশে কি টেকনিশিয়ান ছিলো না আমাদের দেশ কি শাকিব খানকে পয়দা করেনি।

এ দিকে ওয়াজেদ আলী সুমন বলেন, কথায় আছে খেতে না পারলে ‘আঙুর ফল টক’। শাকিব খানের বেলায়ও এমনটিই বেশি ঘটে। যখন তার সঙ্গে কোন নির্মাতা প্রযোজকের সম্পর্ক ভালো থাকে, তাদের শিডিউল দেয় তখন সে খুবই ভালো। শিডিউল দিতে না পারলেই শাকিব খারাপ। কয়েকদিন ধরে শাকিব খানের নামে শিডিউল ফাঁসানোসহ নানা অভিযোগ যারা তুলছেন যখন তাদের সঙ্গে শাকিব কাজ করেছেন তখন তাদের অভিযোগ কই ছিলো?

শাকিব খানকে নিয়ে ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবিটি নির্মাণ করছেন ওয়াজেদ আলী সুমন। শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত এই ছবিটিতেও শাকিব খান কখনও শিডিউল ফাঁসাননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যদিও প্রতিষ্ঠানের ‘বিদ্রোহী’ নিয়ে উল্টো ঘটনা রয়েছে বলে অভিযোগ প্রযোজক সেলিম খান ও পরিচালক শাহীন সুমনের।

ওয়াজেদ আলী সুমন বলেন, ইচ্ছে করলেই একজন স্টার জন্ম দেওয়া যায় না। সুপারস্টাররা হচ্ছে গডগিফটেড। এ পর্যন্ত ৫০ ছবি পরিচালনা করেছি। এর বেশিরভাগ ছবির নায়ক শাকিব খান। আমার নিজের প্রযোজনায় নির্মিত ছবিতে নায়ক ছিলেন শাকিব। এর মধ্যে রয়েছে এক বুক জ্বালা, মনে বড় কষ্ট, টাইগার নম্বর ওয়ান। কোন ছবিতে কখনও শিডিউর ফাঁসাননি তিনি। বরং টানা কাজ করে মাত্র ৯ দিনেই শুটিং শেষ করে দেয়ার রেকর্ডও আছে। আমার সঙ্গে তো সিডিউল নিয়ে কখনো সমস্যা হয়নি।

আরও বলেন, পৃথিবীর সব ইন্ডাস্ট্রির সুপার স্টারদের মধ্যে স্টারডম বিষয়টি থাকে। শাকিবের মধ্যে সেটা আছে। শাকিব তো এমনিতেই সুপার স্টার হয়নি তার সেই যোগ্যতা আছে বলেই হয়েছে। আল্লাহ্ যাকে সম্মান দিয়েছে আমারা কেনো দিবোনা। শাকিব খানকে নিয়ে সিনেমা বানালে প্রযোজকের টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব বেশি আছে বর্তমান প্রেক্ষাপৃটে। আমি বলতে চাই, শাকিব খানের পর বিকল্প তেমন কোনো অভিনয়শিল্পীই আসেননি, যাদের উপর পরিচালকেরা ভরসা করতে পারেন।

শাকিবকে নিয়ে ওয়াজেদ আলী সুমন কিছুদিন আগে শুটিং শেষ করলেন ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমার। এ ছবির সিক্যুয়ালের ঘোষণাও এসেছে।

সূত্র/প্রতিঘণ্টা ও সমকাল


মন্তব্য করুন