Select Page

সমালোচকদের ‘পেইড’ বললেন ‘আত্মবিশ্বাসী’ হিমেল আশরাফ

সমালোচকদের ‘পেইড’ বললেন ‘আত্মবিশ্বাসী’ হিমেল আশরাফ

অল্প-স্বল্প সমালোচনা মেনে না নেয়াই এখন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়ে। কেউ সিনেমার ঘাটতি বা অসন্তুষ্টির কথা বললেই শুনতে হয় ‘পেইড’ গালি! এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হন ঈদে শতাধিক প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া সিনেমা ‘প্রিয়তমা’র পরিচালক হিমেল আশরাফও।

ছয় বছর আগে ঘোষণা দেয়া সিনেমা এক মাসে নির্মাণ করে তিনি অসাধ্য সাধন করেছেন। তুমুল সাড়া পাওয়া এই সিনেমা নিয়ে অল্প কিছু সমালোচনা এসেছে সামাজিক মাধ্যম ও রিভিউতে।

যার মধ্যে অনেকেই বলেছেন, হিমেল আশরাফ ছবির মূল গল্পের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারেননি। তাই গতানুগতিক শাকিব খানকে দেখিয়েছেন ‘প্রিয়তমা’র বড় একটি অংশে। এরপর মূল গল্পে ফেরেন তিনি।

এছাড়া টেকনিক্যালি অনেক সমস্যার কথা উঠেছে। সমালোচকরা বলছেন, সময়ের অভাবে সবদিক নিখুঁত করতে পারেননি হিমেল আশরাফ।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসে তিনি সব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিলেন। জানান, তিনি ছয় মাস সময় পেলেও হুবহু একই সিনেমাটি বানাতেন। এই সিনেমা নিয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট তিনি।

অবশ্য সিনেমা নিয়ে বড়গলায় আগেও কথা বলেছেন। ছবির নায়ক মিডিয়া এড়িয়ে চললেও টিভি বা ফেসবুকে বেশ সরব ছিলেন ‘আত্মবিশ্বাসী’ এই পরিচালক। তুমুল সাড়ার মাঝেও দু-একটি সমালোচনাকে ‘পেইড’ বলে নাকচের চেষ্টাটাও চোখে লাগল।

হিমেল আশরাফ বলেছেন, ‘আমিও হলে হলে ঘুরি, তবে চুপি চুপি, হলের ভেতর চুপচাপ এক কোনায় দাড়িয়ে থাকি। তবে সিনেমার পর্দায় না, দর্শকের দিকে তাকিয়ে থাকি। তারা কোন সংলাপে হাসে, কোন সংলাপে কাঁদে, কোন দৃশ্যে হাসে, কোন দৃশ্যে রাগ হয় বোঝার চেষ্টা করি।

অবাক হয়ে দেখি কী গভীরভাবে দর্শক প্রিয়তমার গল্পের মধ্যে ঢুকে গেছে। সুমন চরিত্রের সাথে সাথে কিভাবে তারা রিএ্যাক্ট করতে থাকে, সুমনের সাথে তারা কাঁদে, কখনো সুমনের হয়ে চিৎকার করে। আমি বুঝি প্রিয়তমার সুমন কে, ইতি কে তারা তাদের করে নিয়েছে।

প্রতিটা শো’র শেষ দৃশ্যের আগে আমি নিশ্চিন্ত মনে বের হই, আমি জানি এই সাধারণ দর্শকরাই আমার হয়ে কথা বলবে। এদের ভালোবাসাই সকল অন্যায়, মিথ্যা অপপ্রচার বা সিন্ডিকেটের জবাব দেবে।

এক সিনেমা দিয়ে সবাইকে খুশি করা যায় না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি ১০০ ভাগ স্যাটিসফাইড কারন আমি যাদের জন্য সিনেমা বানিয়েছিলাম সেই সাধারণ দর্শকরা খুশি।
আর একটা কথা বলি, কম সময়ের সাথে এই সিনেমার নির্মানের কোন সম্পর্ক নাই। ৬ মাস সময় পেলেও আমি এই সিনেমাটাই বানাতাম, হুবহু এটাই। যাদের কাছে এই সিনেমা ভালো লাগে নাই তারা বুঝে নেবেন হয় আপনি আমার টার্গেট দর্শক ছিলেন না অথবা আপনার আমার সিনেমার রুচি আলাদা।
আমাকে ইনবক্সে অনেকে অনেক প্রশ্ন করেন। আমি শুধু হেসে একটাই উত্তর দেই প্রিয়তমা যাদের সিনেমা তারাই কথা বলছে, প্রতিবাদ করছে, অন্যদের হলে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাধারন মানুষ এখন প্রিয়তমার পক্ষে। গুটি কয়েক পেইড মানুষ এই ভালোবাসার কাছে বড্ড ক্ষুদ্র…।’


মন্তব্য করুন