Select Page

প্রিয়তমার মান বাড়ালো ‘ঈশ্বর’

প্রিয়তমার মান বাড়ালো ‘ঈশ্বর’

নব্বই দশকের সংগীতজগতের সুপারস্টার গীতিকার-সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। এখনো নিজেকে সচল রেখেছেন গুণে-মানে। আর হালের সবচেয়ে প্রতিভাবান গীতিকবি সোমেশ্বর অলি। যেন-তেন লিরিকে দেখা মেলে না তার।

এই দুই প্রতিভা সিনেমায় দুর্লভ। তারা এক হয়েছেন হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার জন্য। ঈদের দিন প্রকাশিত এই ছবির ‘ঈশ্বর’ গানটি এখন শ্রোতাদের মাতাচ্ছে। আর চমৎকার গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন রিয়াদ।

এর আগে শাকিব খান ও ইধিকা পাল অভিনীত ‘প্রিয়তমা’র দুটি ট্র্যাক প্রকাশ হয়। কিং খানের বিশাল ভক্তশ্রেণীর কারণে ডিজিটাল মাধ্যমে ভিউ গতি তরতর করে বাড়ে। কিন্তু কোনো গানই আপ-টু-দ্য-মার্ক নয়। সেখানেই মান বাড়ালো প্রিন্স মাহমুদ, সোমেশ্বর অলি ও রিয়াদের গান।

‘ঈশ্বর’ গানটির সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে সিনেমার মজার কিছু সংলাপ। যা আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এক গানে সিনেমার নায়ক-নায়িকার পরিচয়ের পাশাপাশি ট্র্যাজেডি পরিণতির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। তার চেয়ে বড় কথা, গানের কথা, সুর ও গায়কীর আবেদন ‘ঈশ্বর’কে অতিকাঙ্ক্ষিত করে তুলেছে।

জানা যায়, প্রিন্স মাহমুদকে দিয়ে গানটি লেখানোর পরিকল্পনা ছিল পরিচালক হিমেল আশরাফের। চ্যানেল আই অনলাইনকে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, হিমেল আমাকে এমনভাবে গানটি করার কথা বলছে ওর কথাগুলো আমাকে ইমোশনাল করে দেয়। গল্পটা এত চমৎকারভাবে শোনায় আমি গল্পে ঢুকে যাই। অলি খুব সহজভাবে গানটা লিখেছে। তাছাড়া ছবি গল্পকার প্রয়াত ফারুক হোসেন আমার পরিচিত। সবকিছু মিলিয়ে আমি আর না করতে পারিনি।

প্রিন্স মাহমুদ বলেন, এই সিচুয়েশনের গানগুলো অনেকে বানায় কিন্তু কেন জানি একই রকম লাগে। আমি একটু ভেবে নিজের মত করে সুর এনেছি। বেশী বেশী মায়া বাড়াতে চেয়েছি। কারণ সুরে মায়া তৈরি না হলে সে গান দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায় না। তাছাড়া এই গানটি কিন্তু নগর কেন্দ্রিক না। সব অঞ্চলের মানুষ এই গান রিলেট করতে পারবে এবং প্রকাশের পর তাই হচ্ছে। গানটা যখন তৈরি করি শাকিব তার ব্যক্তিগত জীবনে ঝামেলার মধ্যে যাচ্ছিল। আমার বারবার মনে হচ্ছিল ‘ঈশ্বর’ গানটা যখন শুনবে মানুষ তখন যেন এ গানের মাধ্যমে শাকিবের প্রতি দর্শকদের মায়া জন্মায়।

সোমেশ্বর অলি বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে হিমেল আশরাফ আমাকে ‘প্রিয়তমা’র গল্প শুনিয়েছিলেন। গল্পের পরিস্থিতিটা এমন যে, কাউকে দোষারোপ করে নয়, নিয়তি তাড়িত একটা বিচ্ছেদ ঘটেছে। কী ঘটেছে সেটাও অজানা। পরিচালক বলেননি আমাকে। ‘ঈশ্বর কী তোমার-আমার মিলন লিখতে পারতো না’, এই লাইনটা আগে থেকেই আমার লেখা ছিল। বাকি কথাগুলো গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লিখে ফেলি। কোরাস লাইনটা নিয়ে আমার উচ্ছ্বাস ছিল। এরপর ৫-৭ দিনের মধ্যে লিরিকটা নির্মাতাকে দেই। জানলাম যে, ছবির সংশ্লিষ্ট সবাই লিরিকটা পছন্দ করেছেন।

আরো বলেন, কয়েক মাস ধরেই আমি গান লেখালেখি নিয়ে এক প্রকার চিন্তিত ও বিরক্ত অবস্থায় ছিলাম। কারণ হিসেবে বলা যায়, সবকিছু ঠিক ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। কোথায় যেন কমতি, ঘাটতি থেকে যাচ্ছে! এ অবস্থায় কিছু কিছু কাজ করা থেকে বিরতও ছিলাম। এমন সময়েই ‘ঈশ্বর’ গানটি লেখার প্রস্তাব আসে। রিলিজের পর কিছুটা স্বস্তিবোধ করছি। সবার এত এত রেসপন্স! প্রায় সবই ইতিবাচক। এটা তো বেশ ভালো লাগার ব্যাপার। আমি গানটার নাম দিয়েছি ‘বিষাদগীতি’। প্রিন্স ভাইয়ের ভাষায়, চারদিকে কষ্ট উদযাপন করছে সবাই।

এদিকে গানটির ভালো লাগা সীমানা অতিক্রম করেছে। শুধু ভারতের বাংলাভাষী নয়, দেশটির হিন্দিভাষীরাও ‘ঈশ্বর’ উন্মাদনায় মেতেছেন। ইউটিউব প্ল্যাটফরমে অজস্র ভিডিও রেকমেন্ডেশনে আসছে, যেসবে ভারতীয় বাংলাভাষীদের পাশাপাশি হিন্দিভাষীরাও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।


মন্তব্য করুন